ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট মাইকেল টিমার ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫০ লাখ মার্কিন ডলারেরও বেশি ঘুষ নিয়েছেন। দেশটির সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার এ বিষয়ে এক সাক্ষীর বক্তব্য প্রকাশ করেছে।
ব্রাজিলের মাংস প্যাকেটজাতকারী বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের প্রধান আদালতে এ সাক্ষ্য দিয়েছেন।
জেবিএস নামের ওই প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জোসলি বাতিস্তা অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনী প্রচারণা ও সহযোগীদের দেওয়ার জন্য গত সাত বছরে ২৫ লাখ মার্কিন ডলার নিয়েছিলেন মাইকেল টিমার। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট লুলা ডি সিলভা ও দিলমা রুসেফকেও রাজনৈতিক প্রচারণার জন্য যথাক্রমে পাঁচ কোটি ও তিন কোটি মার্কিন ডলার দেওয়া হয়েছিল। তবে লুলা ও রুসেফ উভয়েই এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
প্রতিষ্ঠানের আরেক পরিচালক বলেছেন, নির্বাচনী প্রচারণায় অনুদান হিসেবে টিমার ও তার সহযোগীদের ২০১৪ সালে ৪৬ লাখ মার্কিন ডলার দেওয়া হয়েছিল।
শুক্রবার আদালতে দেওয়া নথিতে অ্যাটর্নি জেনারেল রদ্রিগো জ্যানট লিখেছেন, অপারেশ কার ওয়াশ নামে ব্যাপক দুর্নীতির তদন্ত চলাকালে যে কয়জন রাজনীতিবিদ বাধা দিয়েছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন প্রেসিডেন্ট টিমার।
দুর্নীতির বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখতে এক সাক্ষীকে টিমার ঘুষ দিয়েছিলেন বলে বুধবার ব্রাজিলের পত্রিকা গ্লোবো এক প্রতিবেদনে জানায়। এরপরই টিমারের পদত্যাগের দাবি ওঠে। তবে বৃহস্পতিবার টিমার সাফ জানিয়েছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন না।
Saturday, May 20, 2017
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment