ভেনেজুয়েলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো ত্রাণসামগ্রী যেন দেশটিতে প্রবেশ করতে পারে সেজন্য করিডোর হিসেবে ব্যবহৃত একটি ব্রিজ খুলে দিতে কারাকাসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশিংটন। ভেনেজুয়েলার স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট হুয়ান গুইদোর অনুরোধে এসব ত্রাণ পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। তবে কলম্বিয়া সীমান্তের একটি ব্রিজ অবরোধ করে তা আটকে দেয় ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর অনুগত সেনারা। ত্রাণ প্রত্যাখান করে যুক্তরাষ্ট্রকে বরং তেলের ওপর আরোপ করা অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন মাদুরো।
মার্কিন সহায়তাকে 'সম্মানহানি'র প্রচেষ্টা হিসেবে আখ্যায়িত করে মাদুরো বলেছেন, ভেনেজুয়েলার মানুষ ভিক্ষুক নয়। ফলে ওই ত্রাণ কিভাবে ভেনেজুয়েলায় পৌঁছাবে কিংবা আদৌ পৌঁছাবে কিনা, তা নিশ্চিত নয়। এমন পরিস্থিতিতে টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।
তিনি বলেন, ভেনেজুয়েলার জনগণের নিদারুণভাবে মানবিক সাহায্য প্রয়োজন। ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে যেন এসব ত্রাণ পৌঁছানো যায় মাদুরো সরকারকে অবশ্যই সে ব্যবস্থা করতে হবে।
নির্বাচনি কারচুপির অভিযোগ আর অর্থনৈতিক সংকট ভেনেজুয়েলার জনগণকে তাড়িত করেছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে। বিক্ষোভের সুযোগে ২৩ জানুয়ারি নিজেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন বিরোধী দলীয় নেতা জুয়ান গুইদো। ২৮ জানুয়ারি (সোমবার) যুক্তরাষ্ট্রে ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল ও গ্যাস কোম্পানি পিডিভিএসএর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোকে পদত্যাগে চাপ সৃষ্টিতে এই সিদ্ধান্ত নেয় তারা। সেই প্রসঙ্গ টেনে মাদুরো যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে তার ভাষণে বলেন, 'ভেনেজুয়েলাকে সহায়তা দিতে চাও? তাহলে আগে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করো।'
২৩ জানুয়ারি পশ্চিমা সমর্থিত গুইদো ঘোষণা দেন, ভেনেজুয়েলাবাসীর জন্য তিনি আন্তর্জাতিক ‘ত্রাণ সহযোগীদের’ নেটওয়ার্ক তৈরি করবেন। তার অনুরোধে ত্রাণ পাঠানোর ঘোষণা দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। সূত্র: বিবিসি।
No comments:
Post a Comment