জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তর করার ফলে অনেক দেশ পৃথিবীর পরাশক্তি হিসেবে নিজেদের উপস্থাপন করছে।ব্রাজিল, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা প্রভৃতি দেশগুলো তাদের বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে বিভিন্ন কর্মসংস্থান যোগান দেওয়ার মাধ্যমে উন্নত বিশ্বের মধ্যে তাদের আধিপত্য বিস্তার করার সম্যক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
একটি দেশের উন্নতির প্রধান সোপান হল সে দেশের জনসংখ্যাকে যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া। একমাত্র কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দেশের মানুষ দেশের উন্নয়নে যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারে। কর্মসংস্থান না হলে দেশের বেকার জনগোষ্ঠী বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ে। ফলে বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়ে পড়ে।
যে দেশে বেকারত্বের হার কর্মজীবী মানুষের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি সে দেশের উন্নয়ন অসম্ভব। তাই দেশের উন্নতির স্বার্থে বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। সরকার বিভিন্ন যুগোপযোগী উপায় বের করে বেকার সমস্যার সমাধান করতে পারে।
মানবসম্পদের যথাযথ ব্যবহারের ফলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব। উন্নত প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার, কৃষিক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার, তথ্যের অবাধ প্রবাহ বিদ্যমান রাখা, পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের সৃষ্টি, শিক্ষার সঠিক মান সুনিশ্চিত করা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে মানব সম্পদ উন্নয়নে
অবদান রাখা সম্ভব।
উন্নত বিশ্বের দেশগুলো মানব সম্পদ উন্নয়নের মূলমন্ত্র নিয়ে সামনে ধাবিত হচ্ছে। তারা তাদের দেশের জনসংখ্যাকে বোঝা মনে না করে জনসম্পদে রূপান্তর করছে ফলে তারা সমগ্র বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রকে বর্তমান বিশ্বের
একক অধিপতি হিসেবে ধরা হয়। সেই সাথে পিছিয়ে নেই আয়তনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশ রাশিয়া এবং জনসংখ্যায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশ চীন।
সম্প্রতি ভারত, ব্রাজিল,সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ সহ বিশ্বের কয়েকটি দেশকে উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। আগামী এক দশকে এই দেশগুলো বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে পরিগনিত হবে।
সুশাসন এবং জবাবদিহিতামূলক গণতন্ত্রের দেশ হিসেবে বাংলাদেশও মানব সম্পদের যথাযথ ব্যবহার করছে। বেকারত্বের পরিমাণ কমিয়ে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসার কঠোর প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। বিশ্বের বড় বড় অর্থনীতিবিদদের ধারণা খুব শীঘ্রই বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল হতে যাচ্ছে। মানব সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের ফলে এটি সম্ভব হবে বলে তাদের একান্ত বিশ্বাস।
No comments:
Post a Comment