মুদ্রা পাচার ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন রোধে শিথিলতার মাধ্যমে ঝুঁকি তৈরি করায় সৌদি আরব, পানামা, নাইজেরিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে ইউরোপীয় কমিশন। বুধবার ইইউ’র এক নির্বাহী এ তথ্য জানিয়েছেন। রয়টার্স।
ইউরোপের ব্যাংকগুলোতে ঘটা বিভিন্ন কেলেঙ্কারির পর মুদ্রাপাচার বিরোধী কঠোর অভিযানের অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু এ পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে ইইউ-র বেশ কয়েকটি সদস্য রাষ্ট্র। কালো তালিকাভুক্ত দেশ বিশেষ করে সৌদি আরবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সম্পর্ক থাকায় যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় কমিশনের এ সিদ্ধান্তে উদ্বেগ জানিয়েছে।
প্রস্তাবিত এ তালিকাকে স্বীকৃতি দিতে জোটভুক্ত ২৮টি দেশ সর্বোচ্চ দুই মাস সময় পাবে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে চাইলে তারা তালিকাটিকে প্রত্যাখ্যানও করতে পারে। ইইউ-র বিচার বিষয়ক কমিশনার ভেরা জোরুভা নতুন এ তালিকাটি প্রস্তাব করেছেন। সদস্য দেশগুলো একে খারিজ করবে না বলেও মনে করেন তিনি। “ব্যাংকিং সেক্টরে ঝুঁকি দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ায় পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে,” বলেছেন তিনি। ইইউ’র এ সংক্রান্ত আগের কালো তালিকায় ১৬টি দেশ ছিল।
নতুন তালিকাটিতে দেশের সংখ্যা ২৩টি। সৌদি আরব, পানামা, নাইজেরিয়া ছাড়াও নতুন যুক্ত হওয়া দেশগুলোর মধ্যে আছে লিবিয়া, বতসোয়ানা, ঘানা, সামোয়া, বাহামা এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে থাকা চার রাজ্য- আমেরিকান সামোয়া, ইউএস ভার্জিন আইল্যান্ডস, পুয়ের্তো রিকো ও গুয়াম।
কালো তালিকায় থাকার ফলে দেশগুলোর কেবল সম্মানহানিই হবে না, তাদের সঙ্গে ইইউয়ের আর্থিক সম্পর্কও আগের তুলনায় জটিল হয়ে উঠবে। ইইউ’র ব্যাংকগুলোকে এখন থেকে তালিকায় থাকা দেশগুলোর সঙ্গে লেনদেনের ক্ষেত্রে বাড়তি যাচাই-বাছাই করতে হবে, থাকতে হবে অতিরিক্ত সতর্ক।
আফগানিস্তান, উত্তর কোরিয়া, ইথিওপিয়া, ইরান, ইরাক, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, সিরিয়া, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো, তিউনিসিয়া ও ইয়েমেনের নাম ইইউর এ নতুন তালিকায়ও আছে। আগের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে কেবল বসনিয়া, গায়ানা, লাওস, উগান্ডা ও ভানুয়াতু। তালিকায় নাম না থাকলেও কমিশন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশের ওপর কড়া নজর রাখছে বলেও জানিয়েছেন জোরুভা।
No comments:
Post a Comment