মার্কিন সেনারা চলে গেলে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় এলাকাগুলোর কী হবে তা নিয়ে অনেক দিন ধরেই চলছে আলোচনা। তাছাড়া উগ্রবাদী গোষ্ঠি আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয় কিভাবে চালিয়ে নেয়া হবে সেটিও একটি বড় প্রশ্ন। তবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান জানিয়েছেন, তার দেশ প্রস্তুত এই দায়িত্ব পালন করতে।
আঙ্কারার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে যুক্তরাষ্ট্র চেম্বার অব কমার্স এবং আমেরিকান-তুর্কি কাউন্সিলের সদস্যদের সামনে দেয়া এক বক্তৃতায় প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, সিরিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্র তার সেনা প্রত্যাহার করে নিয়ে ওই অঞ্চলের তত্ত্বাবধান ও নিরাপত্তায় কোন গ্যাপ সৃষ্টি হবে না। এই দায়িত্ব কাঁধে নিতে আমরা প্রস্তুত আছি।’
তিনি বলেন, উত্তর সিরিয়া একটি নিরাপদ অঞ্চলে গড়ে তোলা গুরুত্বপূর্ণ। তুরস্ক সকল সন্ত্রাসী গ্রুপের বিরুদ্ধে লড়াই করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ- বিশেষ করে আইএস, যারা এই অঞ্চলসহ সমগ্র বিশ্বের জন্যই বড় নিরাপত্তা হুমকি।
কুর্দি সশস্ত্র গোষ্ঠি পিকেকে ও তাদের সিরীয় শাখা ওয়াইপিজি’র প্রতি যুক্তরাষ্টের সমর্থন নিয়ে ওয়াশিংটন ও আঙ্কারার মধ্যে মতবিরোধ থাকলেও ট্রাম্পের সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনা দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনে ভুমিকা রাখবে বলে উল্লেখ করেন এরদোগান। তিনি বলেন, ‘তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক খারাপ করতে চায় যারা, তাদের সেই পরিকল্পনায় পানি ঢেলে দিয়েছে ট্রাম্পের সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা।’ তবে তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন এই বলে যে, ওয়াইপিজি সন্ত্রাসীদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ভালো পরিণতি ডেকে আনবে না।
এরদোগান বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত সিরিয়ার ওয়াইপিজিকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র । আমি বিশ্বাস করে নিকট ভবিষ্যতেই এই সমর্থনের পরিণতি স্পষ্ট হবে সবার কাছে’।
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে এরদোগান বলেন, দুই ন্যাটো মিত্র দেশ অতীতের অনেক সমস্যা সফলতার সাথে মোকাবেলঅ করেছে। তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য শক্তিশালীয় মিত্রতা রয়েছে - যা উভয় দেশের স্বার্থের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য সম্পর্ক ৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নিত করার প্রস্তাব দিয়েছে, যা আমি আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেণি।
No comments:
Post a Comment