দেশে ক্রমবর্ধন ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে এবার যুদ্ধ ঘোষণা করলো পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সিয়েরালিওন। দেশটিতে নির্যাতনের ঘটনা রুখতে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস মাদা বিও। একই সঙ্গে নারী নির্যাতন নিয়ে সমাজের উদাসীন মনোভাব অবসানের ডাক দিয়েছেন তিনি।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি দেশটিতে পাঁচ বছরের এক মেয়েকে তার চাচার (২৮) ধর্ষণের ঘটনায় নড়ে বসেছে দেশটির সরকার। এ ঘটনায় শিশুর কোমর থেকে পা পর্যন্ত প্যারালাইজড হয়ে গেছে। এর পরই যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে জনগণ।
ঘটনার কয়েক মাস পর প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দেন, যারা অপ্রাপ্তবয়স্কদের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে তাদের কারাদণ্ডের মুখোমুখি হতে হবে।
প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস বলেন, ‘আমাদের সমাজে অনেক পরিবার আছে যারা নির্যাতনের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষতা ও উদাসীনতার সংস্কৃতি অনুশীলন করে। যা নির্যাতিতাকে মানসিকভাবে আঘাত করে। তাই আমাদের জাতি হিসেবে দাঁড়াতে হবে এবং এই হতাশা মোকাবেলা করতে হবে।’
সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, গত বছর আট হাজার ৫০৫টি যৌন নিপীড়নের অপরাধ নথিভুক্ত হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে আমি আরও নির্দেশনা দিচ্ছি, সকল সরকারি হাসপাতালগুলোতে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের শিকার প্রত্যেককে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।’
প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে আমি আরও নির্দেশনা দিচ্ছি, সকল সরকারি হাসপাতালগুলোতে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের শিকার প্রত্যেককে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।’
সিয়েরালিওনে ধর্ষণ ফৌজদারী অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হলেও বর্তমান আইনে দোষ প্রমাণে পাঁচ বছর থেকে সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। তবে সামাজিক রক্ষণশীলতার কারণে অধিকাংশ ক্ষেত্রে নির্যাতিতার পরিবার বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বাধ্য হন। যে কারণে সাজার হার খুবই কম। সম্প্রতি আইন সংশোধন করে শিশু ধর্ষণে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সংস্থান করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment