আপনার খাবারে হয়তো রয়েছে এমন উপাদান, যা আপনার যৌন উদ্দীপনা অনেকটাই কমিয়ে দিচ্ছে। তার উপর ডেকে আনছে নানা রোগকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সবের মূলে রয়েছে চিনি। রক্তে শর্করা বাড়লে শুধু ডায়াবেটিস, ওবেসিটি নয়, একই সঙ্গে ডালপালা মেলে আনুসঙ্গিক নানা রোগ। যার কারণে তছনছ হতে পারে যৌন জীবন।
খাবারে অতিরিক্ত চিনি মহিলাদের ঋতুস্রাব অনিয়মিত করে, কমে যেতে পারে যৌন হরমোনের নিঃসরণ।
পুরুষদের স্তন ভারী হয়ে যায়। কমে যায় টেস্টোস্টেরণের মাত্রা। ইস্ট্রোজেন নিঃসরণ অনিয়মিত হয়। ফলে যৌন উদ্দীপনা কমে যায়।
রক্তে শর্করা বাড়লে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি তো রয়েছেই, সেই সঙ্গে বারে বারে খিদে পাওয়া, হতাশা ও মানসিক অবসাদ গ্রাস করবে শরীরকে। অল্পেতেই ক্লান্তি বোধ হবে।
চিনি লেপটিন হরমোনের নিঃসরণ অনেক কমিয়ে দেয়। শরীরের গড়ন, ওবেসিটি নিয়ন্ত্রণ করে লেপটিন হরমোন। যৌনক্ষমতাও নিয়ন্ত্রণ করে। লেপটিনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে কমে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা।
শুধু যে খাবারে চিনি মেশালে বিপদ হয় এমন নয়, প্রক্রিয়াজাত খাবারও সমান বিপজ্জনক৷ কারণ তাতে অ্যাডেড সুগার থাকে, তা সে ব্রেকফাস্ট সিরিয়াল হোক কি পাউরুটি, প্যাকেটের ফলের রস হোক কি বিয়ার, সস, কেচাপ, কুকিস, ক্যান্ডি, মেয়োনিজ ও অন্যান্য স্যালাড ড্রেসিং, ঠান্ডা পানীয়৷ হিসেব বলছে, একটি ১২ আউন্সের ঠান্ডা পানীয়তে থাকে ৯ চামচের মতো চিনি৷ একটা বড় সিনামন রোলে থাকে ১৩ চামচ৷ এক স্কুপ চকলেট আইসক্রীমে ৫ চামচ৷ এর সঙ্গে দিনে একাধিক বার চিনি চর্চিত চা-কফি তো রয়েছেই৷ ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’-র নির্দেশ অনুযায়ী, পুরুষদের দিনে ৯ চামচ ও মহিলাদের ৬ চামচের বেশি চিনি খাওয়া উচিত নয়৷
কৃত্রিম চিনি আরও ক্ষতিকর-
চিনির বিকল্প হিসেবে অনেকেই সুগার ফ্রি বা কৃত্রিম চিনি খাওয়া শুরু করেছেন৷ কিন্তু জেনে রাখুন কৃত্রিম চিনির মধ্যেও লুকিয়ে থাকে ছদ্মবেশী সুগার৷ যা শরীরের বিপদ বাড়িয়ে দেয় দ্বিগুণ মাত্রায়৷ কার্বোনেটেড নরম পানীয়, সুগার ফ্রি কাশির ওষুধ, ইয়োগার্ট ইত্যাদিতে অ্যাসপারটেম জাতীয় সুগার সাবস্টিটিউট মেশানো থাকে৷ নিয়মিত খেলে হৃদস্পন্দন পাল্টে যেতে পারে৷ তা ছাড়া
মাইগ্রেন, দৃষ্টিশক্তির সমস্যা, এবং যৌন হরমোনের নিঃসরণ একেবারেই কমে যায়৷
ছবি ও তথ্য - ইন্টারনেট
No comments:
Post a Comment