বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে ব্রাজিলের অভিজাত ফুটলব ক্লাব ফ্লামেঙ্গোর অনুশীলন মাঠের কাছে ডরমিটরিতে প্রাণঘাতী অগ্নিকান্ড হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ক্লাবটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
রাজধানী রিও ডি জেনিরোতে ফ্লামেঙ্গোর অনুশীলন মাঠ নিনহো ডি উরুবুতে শুক্রবার ভোরে ওই অগ্নিকাণ্ডে ১০ যুব ফুটবলার নিহত এবং আরও তিন জন আহত হন। আহতদের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ দুর্ঘটনার একদিন আগেই রিও ডি জেনিরোতে বিধ্বংসী ঝড়ের আঘাতে ছয় ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সিইও রিনাল্দো বেলোত্তি বলেন, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে প্রথমে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ইউনিটে আগুন লাগে এবং তা পুরো ডরমিটরিতে ছড়িয়ে পড়ে। রিওতে আগের দিনের বিপর্যয়কর পরিস্থিতির ধারাবাহিকতায় পরদিন এ ঘটনা ঘটেছে এবং আরো ভয়ঙ্কর বিপর্যয় নেমে এসেছে।”
ওই দিন ১৩ যুব খেলোয়াড় আগুন থেকে প্রাণে রক্ষা পেয়েছিলেন। তাদের একজন বলেন, ঘুম থেকে উঠে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ অংশে আগুন জ্বলতে দেখে তিনি ভবন থেকে দ্রুত বাইরে বেরিয়ে আসেন।
সংবাদ সম্মেলনে বেলোত্তি কোনো প্রশ্নের জাবাব দেননি। তবে তিনি বলেছেন, যথাযথ অনুমোদন না নিয়ে ভবনটি নির্মাণের যে খবর ছড়িয়ে পড়েছে তা সত্য নয়।
শুক্রবার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কয়েক ঘণ্টা পর নগরীর মেয়রের কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছিলেন, অনুমোদিত নকশায় যেখানে গাড়ি রাখার জায়গা (কার পার্ক) উল্লেখ করা হয়েছিল সেখানে ডরমিটরি বানানো হয়েছে।
“ডরমিটরিটি বন্ধ করে দিতে মেয়রের কার্যালয় থেকে ফ্লামেঙ্গো কর্তৃপক্ষকে প্রায় ৩০ বার সতর্ক করা হয়েছে।”
বেলোত্তি বলেন, অনুমোদন ছাড়া ডরমিটরি বানানো এবং আগুনের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই।
“সবাই এই এলাকা সম্পর্কে জানতেন। ডরমিটরিটি আরামদায়ক এবং খোলামেলা ছিল। আমরা সেটির জন্য গর্বিত ছিলাম।
“সত্য হল, সেখানে ভয়াবহ একটি দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। তবে ফ্লামেঙ্গো যথেষ্ট বিনিয়োগ করেনি বা ফ্লামেঙ্গো ঠিক মত যত্ন নেয়নি বলে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে, বিষয়টা তেমন নয়।”
নিহত ফুটবলাদের সবার বয়স ১৪ থেকে ১৬ মধ্যে। তাদের কয়েকজন ক্লাবের হয়ে খেলতেন।
ফ্লামেঙ্গো কর্তৃপক্ষ হতাহত খেলোয়াড়দের পরিচয় প্রকাশ করেনি।
No comments:
Post a Comment