ভেনিজুয়েলার সেনাবাহিনীর জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকি ও যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পিত ত্রাণ চালান ঠেকাতে তারা সীমান্তে অত্যন্ত সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
এদিকে সেনাবাহিনীর বাধা সত্ত্বেও বিরোধী দলীয় নেতা ও স্বঘোষিত অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট জুয়ান গুয়াইদো শনিবার বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে এই ত্রাণ সামগ্রী দেশে ঢুকাবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
এদিকে মাদুরোর প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হঁশিয়ারির পর কমান্ডাররা প্রেসিডেন্টের প্রতি তাদের আনুগত্য প্রায় দ্বিগুণ বাড়িয়েছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভ্লাদিমির পাদরিনো বলেন, ‘ভূখণ্ডগত অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনী সীমান্তে সতর্কতা অবস্থায় থাকবে।’
কুরাকাও ও প্রতিবেশী নেদারল্যান্ডে অ্যান্টিলেস দ্বীপপুঞ্জের আরুবা ও বোনাইয়ে দ্বীপের সঙ্গে সমুদ্র ও আকাশপথে সব ধরনের যোগাযোগ বাতিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের সত্যতা আঞ্চলিক কমান্ডার ভ্লাদিমির কুইন্তেরো নিশ্চিত করেন।
ভেনিজুয়েলায় চরম অর্থনৈতিক সংকট চলছে। খাবার ও ওষুধের চালানটি মাদুরো ও গুয়াইদোর মধ্যে ক্ষমতা দখলের মূখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ত্রাণের চালানটি ভেনিজুয়েলা সীমান্তবর্তী কলম্বিয়ায় মজুদ রয়েছে। গুয়াইদো কলম্বিয়া ছাড়াও ব্রাজিল ও কুরাকাও দিয়ে চালানগুলো ভেনিজুয়েলায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র বলেন, ভেনিজুয়েলায় ত্রাণের চালান পৌঁছে দিতে তার দেশ যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করবে। তবে এগুলো ঢুকতে দেয়া না দেয়া ভেনিজুয়েলার ইচ্ছার বিষয়।
মাদুরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই ত্রাণের মাধ্যমে ধূম্রজাল সৃষ্টির পরিকল্পনা করছে। তিনি ভেনিজুয়েলার সংকটের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধকে দায়ী করেন।
No comments:
Post a Comment