সিরিয়ার রাকায় ইসলামিক স্টেট এর কথিত খেলাফতে যোগ দেয়া ব্রিটিশ-বাংলাদেশি স্কুলছাত্রী শামিমা বেগম যুক্তরাজ্যে ফেরার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন। ২০১৫ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে আইএসের উদ্দেশ্যে লন্ডন ছেড়েছিলো সে। পরে এক সিরিয়ায় আইএসের এক জিহাদিকে বিয়ে করে শামিমা। বর্তমানে সে ৯ মাসের গর্ভবতী। বিবিসি।
শামিমার সঙ্গে সিরিয়া গিয়েছিলো তার আরও দুই স্কুল বান্ধবীও। তাদের মধ্যে খাদিজা সুলতানা নামে অপর এক বাংলাদেশিও ছিলো। খাদিজা বোমা বর্ষণে নিহত হয় বলে জানিয়েছে শামিমা।
বর্তমানে সিরিয়ার একটি শরণার্থী শিবিরে বসবাস করছে শামিমা। সেখানে বসেই টাইমস ম্যাগাজিনের সাংবাদিক অ্যান্থনি লয়েডকে সাক্ষাৎকার দিয়েছে সে। শিবিরে অনাগত শিশুর প্রসব ও পরিচর্যা ঠিকভাবে হবে না বলে আশঙ্কা তার। তাই ফিরতে চায় যুক্তরাজ্যে।
আইএসের কথিত খেলাফতে কেমন ছিলো শামিমার জীবন?
শামিমা, খাদিজা ও আমিরা বান্ধবীদের সঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে তুরস্ক হয়ে সিরিয়ার রাকা শহরে পাড়ি জমায়। রাকায় কিছুদিন তাদেরকে হবু ‘জিহাদি বধু’দের জন্য তৈরি করা একটি ক্যাম্পে রাখা হয়। পরে নেদারল্যান্ড থেকে আসা এক জিহাদির সঙ্গে শামিমাকে বিয়ে দেয়া হয়।
রাকায় কিছুদিন সংসার করার পর স্বামী ও শামিমা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে আরেকটি জিহাদি গ্রুপের কাছে আত্মসমর্পণ করে শামিমার স্বামী।
আইএসের কথিত খেলাফতে থাকাকালীন শামিমার ২টি সন্তান হয়। চিকিৎসা সেবা না পেয়ে উভয় সন্তানই মারা যায়। তাই বর্তমানে তৃতীয় সন্তান নিয়ে চিন্তিত শামিমা।
টাইম ম্যাগাজিনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে শামিমা বলে, ‘আমি এখন আর ১৪ বয়সী হঠাৎ পালিয়ে যাওয়া কিশোরী নই।’ তবে যা করেছেন তার জন্য মোটেও অনুতপ্ত নয় বলে জানিয়েছে সে।
শামিমা জানায়, রাকা শহরের ডাস্টবিনে খন্ডিত মাথা দেখতে পেয়েছিলো সে। তবে এমন দৃশ্য তাকে তেমন একটা বিচলিত করেনি।
এদিকে, শামিমার যুক্তরাজ্যে ফিরতে চাওয়ার আবেদনের বিষয়ে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘যেকোন ব্রিটিশ নাগরিকেরই নিজ দেশে ফেরার অধিকার রয়েছে। তবে যুদ্ধে অংশ নেয়ার পর কেউ ফিরতে চাইলে তাকে অবশ্যই তদন্তের মুখোমুখি হতে হবে।’
No comments:
Post a Comment