আন্তর্জাতিক বাজারে তেল বিক্রি থেকে আয়কৃত অর্থ যুক্তরাষ্ট্রের বদলে রাশিয়ার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে ভেনেজুয়েলা। ইতিমধ্যে রাশিয়ার গ্যাজপ্রমব্যাংক এও-তে খুলেছে নতুন অ্যাকাউন্ট।ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রায়ত্ত্ব তেল কোম্পানি পিডিভিএসএ’র পক্ষ থেকে ক্রেতাদের রাশিয়ার ওই ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নাম্বার সরবরাহ করা হয়েছে।
পিডিভিএসএ’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তেল কেনার অর্থ ওই অ্যাকাউন্টে জমা দিতে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির জয়েন্ট ভেঞ্চারগুলোকেও একই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একাধিক সূত্র ও অভ্যন্তরীণ নথির বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
গত এক মাস ধরে ভেনেজুয়েলায় তীব্র রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা চলছে।
চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি এরপর চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি ভেনেজুয়েলার রাজধানী কারাকাসে সরকারবিরোধী এক বিক্ষোভের সময় বিরোধী নেতা হুয়ান গুয়াইদো বর্তমান প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে অবৈধ উল্লেখ করে নিজেকে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেন। সেখানে শপথও নেন তিনি।
গুয়াইদোর এমন ঘোষণার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেন। এছাড়াও আরো কয়েকটি লাতিন আমেরিকান দেশও গুয়াইদোকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে সমর্থন দেয়।
অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর প্রতি সমর্থনের কথা ঘোষণা করে রাশিয়া, চীন, তুরস্ক ও মেক্সিকোসহ আরো কয়েকটি দেশ।
এছাড়া মাদুরো সরকারের ওপর নানা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন প্রশাসন। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রায়ত্ত্ব তেল কোম্পানি পিডিভিএসএ’র ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
ট্রাম্প প্রশাসন থেকে বলা হয়, ভেনেজুয়েলার তেল খাত থেকে উপার্জিত অর্থ দেশটির স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট হুয়ান গুয়াইদোকে দেওয়া হবে।
এছাড়া সম্প্রতি মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো এবং তার মিত্ররা এখন থেকে আর দেশটির জনগণের সম্পদ হরণ করতে পারবে না।
এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়ার ব্যাংকের দ্বারস্থ হল ভেনেজুয়েলা।
অন্যদিকে গেল শুক্রবার ভেনেজুয়েলার সুপ্রিম কোর্ট বিরোধী নেতা হুয়ান গুয়াইদোর নিজেকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার সিদ্ধান্তকে অবৈধ হিসেবে রায় দেয়।
শুক্রবারের রায়ে বলা হয়েছে, গুয়াইদো যে প্রেসিডেন্সি দাবি করেছে তা অবৈধ ও অকার্যকর।
বিচারক জুয়ান মেনডোজা এক বিবৃতিতে বলেন, গুয়াইদোর এমন ঘোষণা দেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। দেশের প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় তিনি অন্যায়ভাবে হস্তক্ষেপ করছেন।
No comments:
Post a Comment