দিনভর বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারদের ভোট দেওয়া, অনেক কেন্দ্র দখল, ভোট বর্জন, এজেন্ট ঢুকতে না দেওয়া, কেন্দ্র স্থগিতসহ নানান ঘটনার মধ্যে দিয়ে শেষ হলো সিলেট সিটি করপোরেশনের ভোট গ্রহণ। সোমবার সকাল ৮ থেকে এই তিন সিটিতে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলাকালে নগরের বখতেয়ার বিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে গুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে তালহা খান প্রত্যয় নামে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ব্যাপক ভোট কারচুপির অভিযোগ করে সিলেট সিটি নির্বাচনে বিএনপি’র মেয়রপ্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, এই প্রহসনের নির্বাচন মানি না। এই নির্বাচনে জয়ী হলেও আমি মানি না। এই নির্বাচন বাতিল করে আমি আবারো ভোটগ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
কারচুপি, ব্যালট ছিনতাই, এজেন্টকে বের দেওয়াসহ নানান অনিয়মের অভিযোগে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনের দু’টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
কেন্দ্র দু’টি হলো-২৪ নম্বর ওয়ার্ডের হবিনন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কাজী বোরহান উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র।নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি। সিসিক নির্বাচনে মহানগরের খাজদবীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের তিনটি কক্ষের ব্যালট পেপার ছিনতাই ও একটি কক্ষে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের পর কক্ষগুলো তালাবদ্ধ করে দেন সংশ্লিষ্ট দুই প্রিজাইডিং অফিসার। সোয়া ঘণ্টা পর আবার ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
এর আগে জনগণ যে রায় দেবে তা মেনে নেবেন বলে ভোট দিয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন সিসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। আর বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করে সাংবাদিকদের সংগে আলাপে ভোট প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে নিজের ‘শঙ্কা’র কথা জানান।
No comments:
Post a Comment