শুধু একটা গোমেদ পাথরই ভাবিয়ে তুলেছে বিজ্ঞানীদের। গ্যালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জ থেকে উদ্ধার হয়েছে এই রঙিন পাথর। অত্যন্ত মূল্যবান হলেও এ ক্ষেত্রে ভূতত্ত্ববিদদের কাছে এই পাথর অন্য এক কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর তা হল এর বয়স। গোমেদে রয়েছে ইউরেনিয়াম। তা থেকেই বিশেষ পদ্ধতি থেকেই নির্ধারিত করা যায় বয়স।
বিজ্ঞানীদের একাংশের দাবি, প্রাচীন এই গোমেদের বয়স ৪০০ কোটি বছরেরও বেশি। এ দিকে গ্যালাপ্যাগোস দ্বীপপুঞ্জের বয়স আনুমানিক ৪০.২ লক্ষ বছর। এত পুরনো পাথর এই দ্বীপে কোথা থেকে এল?
২০১৪ সালে জোহানেস গুটেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ববিদ ইকুয়েডরের একটি বালিতট থেকে গোমেদটি পান। প্রাথমিক ভাবে গোমেদটির বয়স দেখে অবাক হয়ে যান বিজ্ঞানীরা। রহস্য সমাধানে চীনে ওই গোমেদটিকে পাঠানো হয়।
গ্যালাপ্যাগোস দ্বীপ তৈরি হয়েছিল মাটির নীচ থেকে ভূপৃষ্ঠের উপরে ম্যাগমা বেরিয়ে এসে। ধীরে ধীরে যা শীতল হয়ে তৈরি হয় দ্বীপটি। কিন্তু তুলনামূলক আধুনিক ম্যাগমা থেকে তৈরি হওয়া যে পাথর, তার তুলনায় এই পাথরটির বয়স বেশি। এতেই ঘনাচ্ছে রহস্য।
এই দ্বীপপু়্ঞ্জ থেকে এর পর একের পর এক প্রাচীন আমলের গোমেদ বা জা়রকন খুঁজে পাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত গোমেদগুলির বয়স জানা যায়নি। কিন্তু সঠিক বয়স জানা গেলে গ্যালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জের বয়স নিয়েও সংশয় তৈরি হবে।
গ্যালাপ্যাগোস দ্বীপপুঞ্জের শিলা থেকেই তৈরি এই গোমেদ পাথরগুলি। কিন্তু প্রাচীন গোমেদগুলি কী ভাবে গ্যালাপ্যাগোসের আগ্নেয়গিরির শিলার মাঝে পাওয়া গেল, সেই রহস্যই সমাধানের চেষ্টা চলছে।
No comments:
Post a Comment