বাম থেকে) ধর্ষণের আগে ঘুমন্ত ওই নারীর সঙ্গে ড্যানিয়েলের সেলফি, নিহত ড্যানিয়েল কোরেয়া, এবং সর্বশেষ ছবিটি খুনী এডিনসন ব্রিটস জুনিয়রের। ছবি : ডেইলি মেইল
অবশেষে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার ড্যানিয়েল কোরেয়ার হত্যা রহস্যের কিনারা হলো। খুনের ১০ দিনের মাথায় সাও পাওলো পুলিশ প্রাথমিকভাবে খুনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে ধারণা পেয়েছে। ধরা পড়া হত্যাকারী নিজেই জানিয়েছেন খুনের কারণ। এক ভিডিও বার্তায় তার স্পষ্ট স্বীকারোক্তি, 'ও আমার স্ত্রীকে ধর্ষণ করছিল, তাই খুন করেছি।'
গত ২৮ অগস্ট ২৪ বছর বয়সি ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার ড্যানিয়েল কোরেয়ার গলা কাটা মৃতদেহ উদ্ধার হয় পারানার রাজধানী শহর কিউরিটিবার দক্ষিণ প্রান্তের একটি গ্রামীণ অঞ্চল থেকে। কেটে নেওয়া হয়েছিল তার যৌনাঙ্গও। ২০১৫ সালে সাও পাওলো এফসিতে যোগ দেওয়া মিডফিল্ডারকে চলতি বছরেই লিয়েনে দলে নিয়েছিল ব্রাজিলের দ্বিতীয় ডিভিশন ক্লাব সাও বেনতো।
খুনের তদন্তে নেমে সাউদার্ন পারানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে ৩৮ বছর বয়সী এডিনসন ব্রিটস জুনিয়র নামক এক ব্যক্তিকে। অপরাধ স্বীকার করে নিয়ে সে জানিয়েছে, চোখের সামনে স্ত্রীকে ধর্ষিতা হতে দেখে সে ঠিক সেটাই করেছে, যেটা আর পাঁচজন পুরুষ করা স্বাভাবিক। এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পরও তার কোনো অনুতাপ নেই। পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে তার স্ত্রী ক্রিশ্চিনা ব্রিটস ও কন্যাকেও।
এডিনসনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ঘটনাটি ঘটে তার মেয়ের ১৮ তম জন্মদিনের পার্টিতে। ড্যানিয়েল এডিনসনের বেডরুমের দরজা আটকে তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করছিল। স্ত্রীর চিৎকার শুনে দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে এডিনসন। তখনও কোরেয়ার অত্যাচার চলছিল এডিনসনের স্ত্রীর উপর। ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ওই মুহূর্তে কোরেয়াকে খুন করে সে।
এডিনসন ধর্ষণের তত্ত্ব খাড়া করে আত্মপক্ষ সমর্থনের চেষ্টা করলেও ক্রিশ্চিনার সঙ্গে কোরোয়ার পূর্ব সম্পর্ক ছিল বলে তার পরিচিতজনেরা জানিয়েছেন। সেই সূত্রে ড্যানিয়েলের সঙ্গে ক্রিশ্চিনার ঘনিষ্ট মুহূর্তের বেশ কিছু ছবিও হাতে এসেছে পুলিশের। এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে, কে সত্য বলছে আর কে মিথ্যা। তাহলেই জানা যাবে, সেদিন আসলে কী ঘটেছিল।
No comments:
Post a Comment