ঢাকা জেলার সাভারে পৃথক পৃথক স্থানে গত ২৪ ঘণ্টায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীসহ তিনজনকে ধর্ষণ এবং এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব ঘটনায় ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এদের মধ্যে এক নারীকে বোন ডেকে তার মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে। এ ঘটনায় রবিবার সাভার মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী তরুণীর পরিবারের সদস্যরা।
সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহসীনুল কাদির, ভুক্তভোগী মেয়েটির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে বখাটে মো. খায়রুলকে (৪৮) আটক করেছে পুলিশ। আটক খায়রুল রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার জাবেদ আলীর ছেলে এবং সাভার পৌর এলাকার ব্যাংক টাউন মহল্লার আব্দুল মাজেদের বাড়িতে ভাড়া থেকে পরিবহন শ্রমিক হিসেবে কাজ করে।
ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, পেশায় পরিবহন শ্রমিক বখাটে খায়রুলের গ্রামের বাড়ি মিঠাপুকুরে। সেই সুবাদে বাক প্রতিবন্ধী তরুণীর (১৪) মাকে বোন ডেকে নিয়মিত আসা-যাওয়া করতো। সম্প্রতি ওই তরুণী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করলে মূলত এরপরই বিষয়টি সবার জানাজানি হয়।
মোহসীনুল কাদির বাংলাদেশ প্রতিদিনকে আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক খায়রুল বিষয়টি স্বীকার করেছে। তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
অন্যদিকে সকালে সাভারের গেন্ডা এলাকায় নিজ ভাড়া বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে রাজু মিয়া নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। পরে ওই গৃহবধূ ধর্ষণের বিষয়টি সাভার মডেল থানা পুলিশকে জানায়। এছাড়া রাতে সাভারের নিমেরটেক এলাকায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে (২০) ধর্ষণের অভিযোগ করে সাভার মডেল থানার একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ এই ঘটনার ৪ আসামীর মধ্যে আকাশ নামে এ যুবককে আটক করেছে।
এদিকে, সাভারের ১০ বছরের এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী যুবক শিপনের বিরুদ্ধে। বিষয়টি প্রতিবাদ করায় উল্টো শিশুটির বাবাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে বাড়ির মালিক ও ধর্ষকের পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় রাতেই সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সকালে পুলিশ ভিকটিমদের উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্য ওসি মোহসিনুল কাদির বলেনম, এঘটনায় সাভার মডেল থানায় চারটি মামলা দায়েরের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
No comments:
Post a Comment