বন্ধুর অফিসে চাকরির জন্য গিয়েছিলেন এক তরুণী। তবে স্বেচ্ছায় যাননি। বন্ধু তাকে চাকরি দেবে বলে ডেকে পাঠায়। এ জন্যই গিয়েছিলেন। কিন্তু অফিসে গিয়ে ধর্ষণ ও মারধরের শিকার হন। এমন অভিযোগ করেন ওই তরুণী।
গত ২ সেপ্টেম্বর দুপুর ৩টায় ভারতের দিল্লির উত্তম নগর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এদিকে মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠে।
ভিডিওতে দেখা যায়, নির্মমভাবে তরুণীর চুলের মুঠি ধরে মারধর করা হচ্ছে। ওই তরুণীকে টেনে নিয়ে তাকে কিল, চড় মারা হয়। তার পেটে লাথিও মারা হয়। করা হয় গালিগালাজ।
যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি হলেন রহিত সিংহ তোমর। এই যুবক দিল্লি পুলিশের (মধ্য) নারকোটিক্স বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর অশোক সিংহ তোমরের ছেলে। রহিতেরই এক বন্ধু গোটা ঘটনার ভিডিও করেন।
পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে নির্যাতিতা তরুণী বলেন, রহিত আমাকে ওর বন্ধুর অফিসে কাজের জন্য ডেকে পাঠায়। আমি সেখানে গেলে আমাকে ধর্ষণ করা হয়। ওই ঘটনার কথা আমি পুলিশকে জানাব বলতেই রহিত আমাকে মারধর করতে শুরু করে।
পুলিশ জানায়, অফিসটি পরিচালনা করেন রহিতের বন্ধু আলি হাসান। ২১ বছর বয়সী ওই তরুণী ওই অফিসে গিয়েছিলেন চাকরির খোঁজে।
এদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের নির্দেশে শুক্রবার রহিতকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৬ এবং ৩৫৪ নম্বর ধারায় মামলা করেছে পুলিশ। খবর: আনন্দবাজার
No comments:
Post a Comment