ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্টে ঝুলছে ৫৯ বাংলাদেশির নাম। তাদের কেউ আন্ডারওয়ার্ল্ডের ডন, কেউ গডফাদার। কেউ মানবতাবিরোধী অপরাধী। আবার কেউ চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামি। এ তালিকায় রয়েছে বঙ্গবন্ধুর খুনিরাও। বছরের পর বছর তারা গা-ঢাকা দিয়ে আছে বিভিন্ন দেশে। তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি কার্যকর করতেই বাংলাদেশ থেকে ইন্টারপোলের সাহায্য চাওয়া হয়েছে। ইন্টারপোল তাদের ওয়েবসাইটে এসব অপরাধীর নাম ও ছবি প্রকাশ করেছে।
বর্তমানে তালিকায় থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। তবে নানান জটিলতার কারণে বছরের পর বছর চেষ্টা চালিয়েও এসব অপরাধীকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না।
ইন্টারপোলের রেড নোটিশে যাদের নাম রয়েছে তারা হল- রফিকুল ইসলাম, প্রকাশ কুমার বিশ্বাস, আমিনুর রসুল, হারিস আহমেদ, জাফর আহমেদ, আবদুল জব্বার, নবী হোসাইন, জিসান, তৌফিক আলম, মিন্টু, শাহাদাত হোসাইন, আতাউর রহমান, নাসির উদ্দিন রতন, চাঁন মিয়া, প্রশান্ত সরদার, সুলতান সাজিদ, হারুন শেখ, মনোতোষ বসাক, আমিনুর রহমান, গোলাম ফারুক অভি, রাতুল আহমেদ বাবু, হাসন আলী ওরফে সৈয়দ মো. হাছন, সৈয়দ মোহাম্মদ হোসাইন ওরফে হোসেন, জাহিদ হোসেন খোকন, আবদুল হারিস চৌধুরী, আবদুল জব্বার, আহমেদ কবির ওরফে সুরত আলম, রফিকুল ইসলাম, সাজ্জাদ হোসেন খান, হাসেম কিসমত, শরিফুল হক ডালিম, মোল্লা মাসুদ, মো. ইউসুফ, মো. নাঈম খান ইকরাম, মকবুল হোসাইন, সালাহউদ্দিন মিন্টু, খন্দকার আবদুর রশিদ, মঈন উদ্দিন চৌধুরী, এসএইচএমবি নূর চৌধুরী, আলহাজ মাওলানা মো. তাজউদ্দিন মিয়া, আশরাফুজ্জামান খান, খোরশেদ আলম, মোহাম্মদ চৌধুরী আতাউর রহমান, ত্রিমতি সুব্রত বাইন, আবুল কালাম আজাদ, সৈয়দ, আমান উল্লাহ শফিক, নুরুল দিপু, আহমেদ মঞ্জু, চন্দন কুমার রায়, এএম রাশেদ চৌধুরী, মোসলেহ উদ্দিন খান, নাজমুল আনসার, আবদুল মাজেদ, আহমেদ শারফুল হোসাইন, কালা জাহাঙ্গীর ওরফে ফেরদৌস, খন্দকার তানভীর ইসলাম জয়, শামীম আহমেদ।
ইন্টারপোলের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, বিচার বা দণ্ড ঘোষণার জন্য বাংলাদেশের বিচার কর্তৃপক্ষের কাছে ওয়ান্টেড ব্যক্তিরা পলাতক। রেড নোটিশের মাধ্যমে তাদের অবস্থান জানা এবং গ্রেফতারের চেষ্টা করা হয়। ওই ব্যক্তিরা যে দেশে দোষী সাব্যস্ত হয় সেই দেশে প্রত্যর্পণে সহায়তা করে ইন্টারপোল।
No comments:
Post a Comment