রাজধানীর শাহজাহানপুরে পাইপে পড়ে নিহত শিশু জিহাদের পরিবারকে আদালতের আদেশ অনুসারে ২০ লাখ টাকার ‘চেক ও পে-অর্ডার’ দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। আজ রোববার এ তথ্য জানান এ-সংক্রান্ত রিট মামলার আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল হালিম ও জিহাদের বাবা নাসির উদ্দিন।
ব্যারিস্টার আবদুল হালিম বলেন, ফায়ার সার্ভিস ১০ লাখ টাকার পে-অর্ডার এবং রেলওয়ে ১০ লাখ টাকার চেক দিয়েছে বলে শুনেছি। কিন্তু মঙ্গলবার আদালতে মামলাটির তারিখ রয়েছে। এর মধ্যে আমি হলফনামা না পাওয়া পর্যন্ত বিষয়টি পরিষ্কার করতে পারব না।
তবে জিহাদের বাবা নাসির উদ্দিন বলেন, গত ৬ তারিখ আমাকে চেক দিয়েছে। আমি ও আমার স্ত্রী খাদিজার নামে উত্তরা ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় যৌথ অ্যাকাউন্ট খুলেছি। গত বৃহস্পতিবার চেক জমা দিয়েছি। সোমবার ব্যাংকে যাব টাকা জমা হয়েছে কি না দেখব।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহম্মেদ খান জানান, আদালতের আদেশ মোতাবেক জিহাদের পরিবারকে অর্থ দেওয়া হয়েছে।
২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বাসার কাছে শাজাহানপুর রেলওয়ে মাঠের পাম্পের পাইপে পড়ে যায় জিহাদ। প্রায় ২৩ ঘণ্টা পর ২৭ ডিসেম্বর বিকেল ৩টার দিকে জিহাদকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এরপর শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এরপর ২৮ ডিসেম্বর জিহাদের পরিবারের জন্য ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে ‘চিল্ড্রেন চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’র পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল হালিম হাইকোর্টে রিট করেন। পরে ২০১৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি শিশু জিহাদের পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না— তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
রুলের শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের রায়ে শিশু জিহাদের পরিবারকে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে ১০ লাখ এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষকে ১০ লাখ টাকা (মোট ২০ লাখ টাকা) ৯০ দিনের মধ্যে তার বাবা-মার কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
No comments:
Post a Comment