দেশীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম সফল তারকাজুটি ও তারকা দম্পতি নাইম শাবনাজ। বেশ কিছুদিন হলো চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানগুলোয় খুব বেশি দেখা যাচ্ছে না তাদের। দুই সন্তান নামিরা এবং মাহাদিয়ার লেখাপড়া নিয়ে উভয়ে ব্যস্ত। যে কারণে ছকে বাঁধা জীবনের বাইরে অন্য কোথাও যাওয়ার সময় নেই এই তারকা দম্পতির।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরায় প্রখ্যাত গীতিকার ও চলচ্চিত্রকার গাজী মাজহারুল আনোয়ারের ছেলে সরফরাজ মেহেদী আনোয়ার উপল ১৯৯১ সালে আমেরিকায় প্রতিষ্ঠিত আমেরিকান চেইন কফি শপ ‘ক্রিমসন কাপ’-এর পুনর্যাত্রা করেন রাজধানীর উত্তরায়। এই পুনর্যাত্রা উপলকে শুভকামনা জানাতে উপস্থিত হয়েছিলেন আঁখি আলমগীর, দিঠি আনোয়ার, চলচ্চিত্র প্রযোজক সুমন দে, ওমর সানী ও মৌসুমীর ছেলে ফারদিন এহসানসহ অনেকে।
সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত অনেকেই এ উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলেন। কিন্তু যখনই উপল ঘরে ফেরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই হঠাৎ ‘ক্রিমসন কাপ’-এ শুভেচ্ছা, শুভ কামনা জানাতে উপস্থিত হন তারকা দম্পতি নাইম শাবনাজ। দুজনকে হঠাৎ নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত দেখে ভীষণ খুশি হন উপল। অবশ্য নাইম-শাবনাজও ভীষণ খুশি ছিলেন সেখানে উপস্থিত হয়ে। কারণ, উপলের পরিবারের সঙ্গে নাইম-শাবনাজের সম্পর্ক পারিবারিক।
নাইম-শাবনাজের প্রথম চলচ্চিত্র ‘চাঁদনী’র সবগুলো গান লিখেছিলেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। এরপরও তাদের দুজনের অভিনীত আরো অনেক চলচ্চিত্রের গান লিখেছেন তিনি। সেই হিসেবেও একটি আলাদা সম্পর্ক রয়েছে এই পরিবারের সঙ্গে নাইম-শাবনাজের। নাইম বলেন, ‘উপল তার এই কফি শপটিকে বেশ আধুনিকভাবেই গড়ে তুলেছেন। সুন্দর পরিবেশে সত্যিই অন্যরকম সময় কাটল। তার এ ব্যবসার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
শাবনাজ বলেন, ‘উত্তরায় এত চমৎকার পরিবেশের কফি শপ আর নেই বললেই চলে। অবশ্য ক্রিমসন কাপ যেহেতু আমেরিকান চেইনের, তাই এর পরিবেশ অন্য আর কোনোটির সঙ্গে তুলনার প্রশ্নই আসে না। শুভ কামনা উপলের জন্য।’
উপল বলেন, ‘নাইম ভাই ও শাবনাজ আপুর প্রতি কৃতজ্ঞ যে তারা আমাকে দোয়া করতে এসেছিলেন। সেই সঙ্গে আরো যারা এসেছিলেন তাদের প্রতিও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।’
উল্লেখ্য, উপলই প্রথম বাংলাদেশে ২০১৫ সালে বনানীতে প্রথম ‘ক্রিমসন কাপ’ গড়ে তোলেন। উদ্বোধন করেন অনন্ত জলিল ও বর্ষা। এরপর ধানমণ্ডি, উত্তরা, গুলশানে দুটো এবং ঢাকা ক্লাবে তা প্রতিষ্ঠা করেন।
No comments:
Post a Comment