গর্ভকালীন পরিচর্যার অভাব, ওষুধ, চিকিৎসা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের ঘাটতির কারণে ভেনেজুয়েলার অন্তঃসত্ত্বা নারীরা সন্তানের জন্ম দিতে সীমান্ত পেরিয়ে ব্রাজিলে যাচ্ছেন।
সেখানে প্রতিদিন জন্ম নিচ্ছে ভেনেজুয়েলার তিনজন করে শিশু।
দেশ ছেড়ে যাওয়া ভেনেজুয়েলীয় নারীদের একজন হচ্ছেন মারিয়া তেরেসা লোপেজ। ব্রাজিলের হাসপাতালে গত সোমবার রাতেই জন্ম নিয়েছে তার সন্তান।
লোপেজ বলেন, “আমি দেশে থেকে গেলে আমার সন্তান মরে যেত। কারণ, সেখানে না আছে কোনো খাবার, না ওষুধ আর না কোনো চিকিৎসক।”
লোপেজ ৫ মাস আগে ব্রাজিল সীমান্তে পৌঁছেছিলেন। ভেনেজুয়েলার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট থেকে পালিয়ে যাওয়া হাজারো মানুষের মত তিনিও দেশ ছাড়েন।
ভেনেজুয়েলায় বিশ্বে সবচেয়ে চরম মুদ্রাস্ফীতি, খাবার এবং ওষুধের সঙ্কট চলছে। অনেকেই সেখানে অনাহারে আছে এবং অর্থনৈতিক নিশ্চয়তার খোঁজে দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। দেশটিতে খাদ্য সঙকট এত চরম আকার ধারণ করেছে যে সেখানে অনেক পরিবারই আবর্জনা থেকে খাবার কুড়িয়ে খাচ্ছে।
ভেনেজুয়েলাবাসীরা অনেকেই দেশ ছেড়ে ইকুয়েডরে যাচ্ছে এবং ব্রাজিলের শরণার্থী শিবিরেও আশ্রয় নিচ্ছে।
গত বছর ব্রাজিলের বোয়া ভিস্তা হাসপাতালে জন্ম নেওয়া ভেনেজুয়েলার শিশুর সংখ্যা বেড়ে ৫৬৬ এবং এ বছর প্রথমার্ধে আরো বেড়ে ৫৭১ হয়েছে। ২০১৬ সালে ভেনেজুয়েলীয় শরণার্থী সংকট শুরুর সময়ে যে সংখ্যা ছিল ২৮৮। আর এ আগের বছর অর্থাৎ, ২০১৫ সালে ব্রাজিলে ভেনেজুয়েলার কোনো শিশুই জন্ম নেয়নি। ব্রাজিলের রোরাইমা স্বাস্থ্য বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে।
কিন্তু রোরাইমা রাজ্যে গর্ভবতী মায়েদের জন্য একটি মাত্র হাসপাতাল থাকায় সেখানে রোগীর ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
রোরাইমার স্বাস্থ্য সুরক্ষা সমন্বয়ক ডানিয়েলা সুজা বলেছেন, “প্রতিদিন সীমান্ত পেরিয়ে ৮শ মানুষ আসছে। তাদের মধ্যে বহু নারী ও শিশুর চিকিৎসা সেবা প্রয়োজন।”
No comments:
Post a Comment