দলের মধ্যে তাকে সবাই 'মাস্টার' বলেই ডাকে। রাশভারী না হলেও কড়া শিক্ষকের মতোই তিনি। কোচিং পেশায় আসার আগে তিনি একটি স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। সে কারণেই হয়তো সুয়ারেজ-কাভানিদের নিয়ে তিনি নতুন নতুন পরীক্ষায় প্রতিপক্ষকে ঘাবড়ে দিতে অভ্যস্ত। এবারের বিশ্বকাপেও উরুগুয়ের কোচ অস্কার তাবারেজ ৪-৪-২-এর যে ছক কষেছেন, তাতে নাকি চমক থাকবে।
খেলোয়াড়ি জীবনে নিজে ডিফেন্ডারের ভূমিকা পালন করেছেন, সে কারণেই হয়তো তিনি রক্ষণাত্মক কৌশলকেই খেলার অন্যতম ভিত মনে করেন। 'আমরা সব সময়ই রক্ষণে খুব শক্তিশালী একটি দল এবং এবারও সেটা থেকে বিচ্যুত হবো না। ফুটবল একটি সমষ্টিগত খেলা, এখানে এক-দু'জনকে নিয়ে ম্যাচ জেতা যায় না। আমি মনে করি, গোল করার দিকে সব মনোযোগ না রেখে গোল ঠেকিয়ে রাখার দিকেও রাখা উচিত। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, প্রতিপক্ষের চেয়ে যেন আমার গোলের সংখ্যা বেশি থাকে।'
যে দলে সুয়ারেজ আর কাভানির মতো স্ট্রাইকার রয়েছেন, সেই দল কেন এত রক্ষণাত্মক খেলবে? উরুগুয়ের এক দৈনিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তাবারেজ। 'এবারের বিশ্বকাপে আমরা রক্ষণভাগকে শক্তিশালী রেখেই সুয়ারেজ আর কাভানির আক্রমণাত্মক খেলাকে কাজে লাগাতে চাই। এটাকে নেতিবাচক কৌশল ভাবা ঠিক নয়, আমরা ইতিবাচক স্পিরিট নিয়েই বিশ্বকাপে ভালো খেলব। যার অর্থ, ম্যাচ ধরে ধরে এগিয়ে যাওয়া। তবে এসব মাঠে করে দেখানোর আগে কথায় বলে বোঝাতে চাইছি না আমি।'
১২ বছর ধরে উরুগুয়ের কোচিং করানোর পর তাবারেজের ওপর আস্থা রাখতেই পারেন সুয়ারেজরা। বছর একাত্তরের এই বর্ষীয়ান কোচকে ফিফার পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সম্মান 'ফিফা অর্ডার অব মেরিট' দেওয়া হয়েছে। উরুগুয়ে ছাড়াও তিনি কলম্বিয়া, আর্জেন্টিনা, ইতালি আর স্পেনের মতো দলকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। তাই তাবারেজ যে এবারও নতুন কিছু দেখাতে চাইছেন, তাতে ভরসা রাখতেই হয়। 'বিশ্বকাপ শুরু হলেই বোঝা যাবে তার বাস্তবতা।'
১৫ জুন মিসরের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে উরুগুয়ের বিশ্বকাপ মিশন। স্বাগতিক রাশিয়া ছাড়াও ওই গ্রুপে রয়েছে সৌদি আরব। গেল বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই কোস্টারিকার কাছে হেরে গিয়েছিলেন সুয়ারেজরা। পরে অবশ্য ফ্রান্স-ইতালির মতো দলকে হারিয়েছিল উরগুয়ে। এবারে শুরুটা তাই বেশ সতর্কতার সঙ্গেই করতে চাইছেন উরুগুইয়ান কোচ অস্কার তাবারেজ।
No comments:
Post a Comment