বিশ্বকাপ ফুটবল দোরগোড়ায়। ১৪ জুন রাশিয়ায় বসবে বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর। সারা বিশ্ব ফুটবল জ্বরে ভুগছে। প্রিয় খেলোয়াড়ের জার্সি কেনার হিড়িক পড়ে গেছে।
বাংলাদেশেও প্রিয় দলের জার্সি এবং পতাকা কিনতে সমর্থকরা ধরনা দিচ্ছেন দোকানগুলোতে। কেউ পছন্দের ফুটবলারের নামাংকিত জার্সি কিনছেন। আবার অনেকে প্রিয় দলের জার্সিতে নিজের নাম লিখিয়ে নিচ্ছেন।
আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের জার্সি বিক্রি হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। এর পরই রয়েছে জার্মানি, স্পেন আর পর্তুগালের জার্সি। ঢাকার গুলিস্তান ও বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে রাস্তার দু’পাশে তাকালে মনে হবে ব্রাজিল কিংবা আর্জেন্টিনার কোনো শহরের অলিগলি।
দোকানে, হকারদের হাতে হলুদ ও আকাশি জার্সি। জার্সির মানের ওপর নির্ভর করে দাম। পতাকা বিক্রেতারা ঘুরে বেড়াচ্ছেন বাঁশের সঙ্গে রংবেরঙের পতাকা ঝুলিয়ে। বাঁশের মাথায় সবার ওপর শোভা পাচ্ছে বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা। গুলিস্তান ঘুরে এমন অসংখ্য দোকান দেখা গেছে যেখানে সাধারণ জামাকাপড়ের বদলে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার জার্সি বিক্রি হচ্ছে।
সমবায় টুইন টাওয়ারে জার্সি বানানোর ধুম পড়েছে। বিভিন্ন দোকানে ধুমছে বিক্রি হচ্ছে জার্সি। এ মার্কেটের অন্যতম পরিচালক কামাল উদ্দিন খান বলেন, ‘বিশ্বের সেরা বিনোদন ফুটবল বিশ্বকাপ। চার বছর পর আসে। গুলিস্তান স্পোর্টস মার্কেট এবং আমাদের এই টুইন টাওয়ার মার্কেটে এতটুকু সময় নেই কর্মচারীদের। তাদের চোখে ঘুম নেই। দিন-রাত বিরামহীন জার্সি তৈরির কাজ করছেন কারিগররা। ক্রেতারা ৯০ ভাগই আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের সমর্থক। এ দু’দেশের জার্সি বিক্রি হচ্ছে বেশি।’
গুলিস্তানে আমিন অ্যান্ড কোংয়ের স্বত্বাধিকারী আজিজুর রহমান বলেন, ‘পবিত্র রমজানের আগে আমি দু’দফা জার্সি তুলেছিলাম। সব বিক্রি হয়ে গেছে। এখন আবার নতুন করে জার্সির অর্ডার দিয়েছি। আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের জার্সির চাহিদাই বেশি। ৯৫ ভাগ জার্সির অর্ডার দিয়েছি এই দু’দেশের।’
তিনি যোগ করেন, ‘সামনেই ঈদুল ফিতর। পছন্দের জামাকাপড় কিনছে সবাই। কিন্তু এবার ঈদ আর বিশ্বকাপের মৌসুম একসঙ্গে হওয়ায় জামাকাপড়ের পাশাপাশি প্রিয় দলের জার্সি এবং পতাকাও কিনছে সবাই।’
ভাসমান বিক্রেতা হুমায়ুন কবির বলেন, ‘প্রত্যেকদিন কমপক্ষে ১০০ পতাকা বিক্রি করি। মেসি-নেইমার লেখা জার্সিরও চাহিদা রয়েছে। আমি গুলিস্তানের বিভিন্ন দোকান থেকে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের জার্সি সংগ্রহ করে রাস্তায় ঘুরে ঘুরে বিক্রি করি।
No comments:
Post a Comment