স্যার, তার (সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী শফিক তুহিন) বিরুদ্ধে আমার আগেই মামলা করা উচিত ছিল। কিন্তু মামলাটা না করে আমি বড় ভুল করেছি। কারণ আমার বিরুদ্ধে আগে ফেসবুকে সে (সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী শফিক তুহিন) মানহানিকর কথা লিখেছে। আমি শুধু সেই কথাগুলোর প্রতিবাদ স্বরুপ উত্তর দিয়েছি।
বুধবার আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বিচারককে উদ্দেশ্য করে কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর রিমান্ড ও জামিন শুনানিতে এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, অনুমতি ছাড়াই সংগীতকর্মসহ অন্যান্য গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীদের ৬১৭টি গান সবার অজান্তে বিক্রি করেছি এ অভিযোগ আনা হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমি এর লাভের এক টাকাও পাইনি। প্রয়োজনে আপনি আমার সমস্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট চেক করে দেখতে পারেন। শুধু শুধু হয়রানি করার জন্য ঘটনা সাজিয়ে এ মামলা করা হয়েছে।
আদালতে আসিফের আইনজীবী মো. ওমর ফারুক ও আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘স্যার দরখাস্তকারী আসিফ আকবর আবারও গান শুরু করেছেন। সামনে পবিত্র ঈদ। ভক্তরা তাকে নিয়ে ঈদ করতে চায়। এ মামলায় যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তাকে জামিন দিলে পালাতক হবেন না।
এর আগে আদালত পুলিশের জেনারেল রেকডিং অফিসার (জিআরও) তাহেরা বানু রিমান্ডের পক্ষে বলেন, ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটন, মূল হোতাকে খুঁজে বের করা, আসামির সহযোগীদের নাম ও ঠিকানা এবং আসামির নাম ঠিকানা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া মামলার অভিযোগের বিষয়ে ইলেক্ট্রনিকস ডিভাইসের পরিচিতি এবং আসিফের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানার জন্য তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে জামিন ও রিমান্ড আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম কেশব রায় চৌধুরী।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ১ জুন রাতে একটি বেসরকারী টেলিভিশন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি ‘গান চুরির’ বিষয়টি জানতে পারেন বাদী। পরে আসামি আসিফ তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আর্ব এন্টারটেইনমেন্ট এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গানগুলো বিক্রি করে ‘প্রতারণার মাধ্যমে’ বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন। ঘটনা জানার পর গত ২ জুন রাতে শফিক তুহিন বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিলে আসিফ আকবর সেখানে বিভিন্ন অশালীন মন্তব্য করেন এবং হুমকি দেন। পরে ফেইসবুক লাইভেও ‘অবমাননাকর, অশালীন ও মিথ্যা’ বক্তব্য এবং ‘শায়েস্তা করার হুমকি’ দেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
No comments:
Post a Comment