অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পথে নদীতে ডুবে মারা যাওয়া দুই বাংলাদেশির মরদেহ পাঠানো হচ্ছে বাংলাদেশে। নিহত দুই তরুণ শাহাদাত হোসেন নয়নের বাড়ি নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী ও মাইনুল হাসান হৃদয়ের বাড়ি বেগমগঞ্জ উপজেলায়।
গত ৩১ জুন ব্রুকলিনে বাংলাদেশ মুসলিম সেন্টারে নিহত দুই তরুণের জানাজার পর বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানায় নিউ ইয়র্কে মানবাধিকার সংস্থা ‘দেশিজ রাইজিং আপ অ্যান্ড মুভিং (ড্রাম)’-এর সংগঠক কাজী ফৌজিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রে ‘বৃহত্তর নোয়াখালী জেলা সোসাইটি’র সাধারণ সম্পাদক জাহিদ মিন্টু জানান, গত ১৪ মে শাহাদাত হোসেন নয়ন ও মাইনুল হাসান হৃদয়ের লাশ টেক্সাস-মেক্সিকো সীমান্ত সংলগ্ন ওয়েব কাউন্টিতে রাইয়ো গ্র্যান্দে নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। দালালকে মোটা টাকা দিয়ে আরো কয়েকজনের সাথে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা বিভিন্ন দেশ ঘুরে মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার সময় নিহত হোন।
ড্রামের কমিউনিটি অর্গানাইজার কাজী ফৌজিয়া বলেন, “টেক্সাসের মেডিকেল এক্সামিনারের প্রসেসিং সেন্টার থেকে লাশ উদ্ধার করতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হলো। কারণ, উভয়কেই বেওয়ারিশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিলো।”
এ ব্যাপারে ইমিগ্রেশন আইনজীবীরা বলছেন, অবৈধ পথে যুক্তরাষ্ট্রে আসার জন্য প্রতিবছর প্রায় ১০ হাজাররের বেশিও অভিবাসী জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছে। তবে এমন ঝুঁকি কারোরই নেওয়া উচিত নয় বলে মনে করেন আইনজীবীরা। এই ধরনের ঝুঁকিতে সম্প্রতি অনেক মানুষ পানিতে ডুবে নয়তোবা গভীর জংগলে হিংস্র প্রাণীর আক্রমণে জীবন হারাচ্ছেন।
সুত্র - ভয়েস বাংলা
No comments:
Post a Comment