অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের কারণে বাংলাদেশ ভ্রমণে আরো সতর্ক থাকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
শনিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ভ্রমণ সতর্কতায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ডাকাতি, হামলা ও ধর্ষণের মতো ঘটনা ব্যাপকভিত্তিতে হয়ে থাকে। সন্ত্রাসবাদী গ্রুপগুলো বাংলাদেশে আক্রমণের জন্য অব্যাহতভাবে পরিকল্পনা করছে। তারা পর্যটন কেন্দ্র, বাস বা রেল স্ট্রেশন, বাজার বা শপিং মল, রেস্তোরাঁ ও ধর্মীয় স্থানে হামলা চালাতে পারে। পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি সত্ত্বেও শহরাঞ্চল সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকিতে রয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কর্মকর্তাদের কেবলমাত্র স্ত্রী বা স্বামী এবং প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানদের থাকার অনুমতি রয়েছে। দূতাবাসের কর্মকর্তাদের কঠোর বিধি-নিষেধের আওতায় বাংলাদেশে থাকতে, কাজ করতে ও চলাফেরা করতে হয়। তাদের নির্দিষ্ট এলাকার বাইরে পায়ে হেঁটে বা সাইকেলে চলাফেরা করা, মোটরসাইকেল, অটোরিক্সা (সিএনজি) বা রিক্সায় চড়া, অধিকাংশ জনসমাগম স্থলে যাওয়া, পূর্ব অনুমতি ছাড়া আন্তর্জাতিক হোটেলসহ বড় কোনো সমাবেশে যোগ দেয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
বাংলাদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সব ধরনের মিছিল বা রাজনৈতিক সমাবেশ এড়িয়ে চলা, ছিনতাই হলে প্রতিরোধের চেষ্টা না করা এবং নিরাপদ অঞ্চলে সরে গিয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করা এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ফেসবুক ও টুইটার অ্যাকাউন্ট অনুসরণ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
মাদক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে মানবাধিকার সম্মুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘ।
জাতিসঙ্ঘের মাদক ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণ দফতর (ইউএনওডিসি) জেনেভা থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, বাংলাদেশে মাদকবিরোধী অভিযানের ওপর ইউএনওডিসি গভীর নজর রাখছে। তিনটি আন্তর্জাতিক মাদক নিয়ন্ত্রণ সনদ ও বিশ্ব মাদক সমস্যার ওপর জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের আলোচনার ফলাফলের পরিপ্রেক্ষিতে মানবাধিকারের ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখতে দেয়া প্রতিশ্রুতির প্রতি সম্মান দেখতে ইউএনওডিসি সব সদস্য রাষ্ট্রকে আহ্বান জানাচ্ছে। আইনি ব্যবস্থা, আন্তর্জাতিক মান ও নীতি অনুসরন, প্রমাণভিত্তিক প্রতিরোধ উন্নয়ন, পুনর্বাসন ও সমাজের সাথে আবারো সম্পৃক্ত হওয়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে সব দেশের সাথে কাজ করতে প্রস্তুত ইউএনওডিসি।
এদিকে বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে কারাগারে অন্তরীণ রেখে অমানবিক আচরণসংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে নিউ ইয়র্কে জাতিসঙ্ঘ সদর দফতরে বিশ্ব সংস্থার মহাসচিবের উপ-মুখপাত্র ফরহান হক বলেছেন, ‘এ ব্যাপারে নতুন করে বলার কিছু নেই। প্রক্রিয়াটি নিয়ে আমরা অতীতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছি।’
মাদকবিরোধী অভিযানে মৃত্যুর ঘটনা সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ফরহান হক ইউএনওডিসির দেয়া বিবৃতি পড়ে শোনান।
No comments:
Post a Comment