Social Icons

Sunday, August 26, 2018

পরকীয়া বেশি উপভোগ করেন নারীরাই: গবেষণা


পুরুষদের বিরুদ্ধে ঝুড়ি ঝুড়ি অভিযোগ। তারা নাকি পরকীয়া করে। বিয়ে করা সত্ত্বেও, স্ত্রী বর্তমান থাকা সত্ত্বেও অন্য একজনের সঙ্গে সম্পর্ক জড়িয়ে পড়ে। এই নিয়ে পুরুষদের দিকে ওঠা আঙুলের অভাব নেই। ব্যাপারটা যে একেবারে মিথ্যা তা নয়। কিন্তু জানেন কি, পুরুষের থেকে বেশি পরকীয়া উপভোগ করে নারীরা?
কোনও নারীর কথাটা শুনে আঁতে ঘা লাগবে, তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু একটি সমীক্ষায় সম্প্রতি এমন তথ্যই প্রকাশ পেয়েছে। একজন গবেষক কয়েকজনকে নিয়ে একটি গবেষণা করেছিলেন। তার টার্গেট ছিল পরকীয়া করে এমন মানুষ। তা সে নারীই হোক বা পুরুষ। সেখানে কিছু অবাক করা বিষয় উঠে আসে।
প্রায় এক হাজার মানুষের উপর গবেষণা চালানো হয়। এই গবেষণা থেকে যে তথ্য উঠে এসেছে তা ‘জার্নাল অফ সেক্সুয়ালিটি’-তে প্রকাশ পেয়েছে। গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছে, এর পিছনে রয়েছে স্বামী বা স্ত্রীকে প্রতারণা করার আনন্দ। এ এক অদ্ভুত আনন্দ। তাই স্বামী বা স্ত্রীকে প্রতারণা করে অনেকেই পরকীয়ায় জড়ায়। যৌনতা এক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান বিযয়। সপ্তাহে অন্তত দু’বার পরকীয়ার পার্টনারের সঙ্গে এরা সেক্স করে।
তবে শুধু যৌনতা নয়। মানসিক সুখও একটা বড়সড় জায়গা দখল করে রেখেছে। তবে এটি বেশিরভাগ সময় নারীদের ক্ষেত্রেই দেখা যায়। অনেক সময় নারীরা বিয়ের পর সুখে থাকে না। সাংসারিক অশান্তিই তাদের সংসার বিমুখ করে দেয়। ফলে স্বামীকে ছেড়ে অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায় নারীরা। অনেকে জানে হয়তো, সে সম্পর্ক চিরস্থায়ী নয়। হয়তো তা অলীক সুখ। কিন্তু ক্ষণিকের শান্তি তখন তাদের কাছে মহার্ঘ্য হয়ে ওঠে। কিন্তু পুরুষের ক্ষেত্রে এটি দেখা যায় না। তবে ব্যতিক্রম কি আর নেই?
গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছে পরকীয়া সম্পর্কের ক্ষেত্রে নারীদেরই পাল্লা ভারী। কারণ সম্পর্কে জড়ানোর ক্ষেত্রে তারাই এগিয়ে আসে আগে, দায়িত্ব নেয় বেশি। কারণ গবেষণা বলছে, মেয়েদের মধ্যে আবেগ থাকে বেশি। সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করলে তা তারা মেনে নিতে পারে না। তাই পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে তারা। তবে ব্যতিক্রম এক্ষেত্রেও আছে। শুধুমাত্র যৌন চাহিদা মেটাতেও অনেক সময় নারীরা সম্পর্কে জড়ায়।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

একাধিক যৌন সম্পর্কে বাড়ে ক্যানসার ঝুঁকি: গবেষণা

যৌনতা প্রাণীর জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। যৌনতা দেয় সুখ। দেয় পরম তৃপ্তি। কিন্তু ভুল যৌনজীবন ডেকে আনতে পারে নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি।
চিকিৎসকরা বলছেন, টিকা আবিস্কারের পর একটু হলেও কমেছিল যোনিমুখ ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু ফের মুখ থুবড়ে পড়ল চিকিৎসা বিজ্ঞানের এই অগ্রগতি।
চিকিৎসকদের কপালে ভাঁজ ফেলে ফের বাড়ছে সারভাইকাল ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা। শুধুই যোনি মুখের ক্যানসার নয়, হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) সংক্রমণের কারণে বাড়ছে গলা ও অন্য বেশ কিছু অঙ্গে ক্যানসারের প্রবণতা।
যুক্তরাষ্ট্রের ওহিয়ো স্টেট ইউনিভার্সিটির সাম্প্রতিক একটি গবেষণার রিপোর্ট অনুযায়ী,  ১৯৯৯ সালে এই ভাইরাস আক্রমণে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩০ হাজার যা ২০১৫ সালে বেড়ে হয়েছে ৪৩ হাজার। হঠাৎ এই উলটো পুরাণের কারণ নিয়ে চিকিৎসক মহলে উদ্বেগ যত বেড়েছে ততই খোঁজ পড়েছে প্রকৃত কারণের।
এইচপিভি ভ্যাক্সিনে ফল মিলছে না বলে মানতে নারাজ বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, টিকাকরণে সাফল্য না মেলায় রোগের পুনরাবির্ভাব ঘটছে। যুক্তরাষ্ট্রে ছেলে হোক বা মেয়ে, বয়ঃসন্ধি পেরলেই এইচপিভি ভ্যাক্সিন নিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
যদিও ভ্যাক্সিন নিতে মানুষকে যথেষ্ট উৎসাহী করা যায়নি। বরং টিকাকরণের বিষয়ে সাধারণের উৎসাহে বেশ কিছুটা ভাটা পড়েছে।
অন্যদিকে, বয়ঃসন্ধির গণ্ডি পেরতে না পেরতেই শুরু হয়ে যায় অবাধ যৌন সম্পর্ক। যৌবনের চাহিদা পূরণে এক শরীর থেকে অন্য শরীরে পৌঁছে যেতেও দেরি হয় না। আর সেই বহু মিলনের সুযোগেই শরীরে ঢুকে পড়ে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস।
এই ভাইরাসের সংক্রমণে শুধু যৌনাঙ্গই নয়, সঙ্গে মলদ্বার, ঠোঁট, মুখ, গলাতেও ক্যানসার হতে পারে। সবমিলিয়ে এগারো বছর বয়স হলেই ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে সবােইকে টিকাকরণে উৎসাহী করাই এই মুহূর্তে চিকিৎসকদের সামনে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্চ।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিনি।

তিনটি লক্ষণ বলে দেবে আপনি ভুল সম্পর্কে আছেন

সম্পর্কে জড়িয়ে গেলে তখন ভালো মন্দ বুঝার হুঁস থাকেনা। বিশেষত প্রেমের ক্ষেত্রে সঙ্গীর আচরণ আমাদের মানসিকভাবে অবসন্ন করতে পারে এবং বিভিন্ন কাজে প্রভাব ফেলতে পারে। তিলে তিলে গড়ে তোলা একটা সম্পর্কে যখন সমস্যা দেখা দেয় তখন আমাদের পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতেও বেশ সমস্যা হয়। কিন্তু অনেক সময়েই সম্পর্কে সমস্যার আসল কারণটা খুঁজে বের করা অসম্ভব মনে হয়। সেই কারণেই আমরা বেশ কিছু কারণ খুঁজে বের করেছি যা দেখলেই আপনি বুঝবেন সঙ্গীর সঙ্গে আপনার সম্পর্কটা সুস্থ- স্বাভাবিক নাকি জটিল?  
সম্পর্কটা সুস্থ-স্বাভাবিক নয়, তা বোঝার কয়েকটা লক্ষণ এখানে তুলে ধরা হলঃ

১. আপনার মনের কথা আপনি বলেন না বা বলতে পারেন না
আপনার মনের কথা বলার থেকে বারবার যদি আপনাকে পিছপা হতে হয় তবে বুঝবেন নিশ্চয়ই কোনও গলদ আছে। সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপনার সঙ্গী আপনার নিরাপদ আশ্রয় হওয়া উচিত, যেখানে আপনি নির্দ্বিধায় মনের কথা বলতে পারেন। কিন্তু আপনাকে সে বুঝবে না এই ভেবে যদি আপনি পিছিয়ে আসেন অথবা আপনার কথায় ঝগড়া অশান্তি হবে এই ভয়ে যদি আপনি সব সময় ব্যতিব্যস্ত হয়ে থাকেন তবে আমরা আপনাকে বলবো আপনি ভুল মানুষের সঙ্গে রয়েছেন। প্রত্যেকটা মজবুত সম্পর্কের ভিত হল বিশ্বাস।
২. আপনি বোর হয়ে গেছেন
আপনি কি আপনার সঙ্গীর সঙ্গে থাকতে বোর হয়ে যান? সে আশপাশে থাকলেই আপনার বিরক্তি লাগে? তার সঙ্গে সময় কাটানোর থেকে আপনার একা থাকতে ভাললাগে? এমন হলে আপনাদের একসঙ্গে বসে কথা বলে এই বিষয়ে মীমাংসা করা প্রয়োজন। আর আপনার যদি নিজের সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছাটুকুও না থাকে তবে আপনার সত্যিই এই বিষয়টা নিয়ে ভেবে দেখা প্রয়োজন। প্রয়োজনে সম্পর্কটা শেষ করে দিন। কারণ, জীবনটা অনেক বড়। চিরকাল তো আর আপনি বোর হতে পারেন না!
৩. প্রতি মুহূর্তে আপনি নিজেকে প্রশ্ন করে চলেছেন
আপনি জীবনের এমন একটা পর্যায় চলে গেছেন যেখানে আপনি নিজের প্রতিটা কাজের জন্য নিজেকে প্রশ্ন করেন। অবস্থাটা এমনই যখন আপনি সম্পর্কের প্রতিটা সমস্যার জন্য নিজেকে দোষারোপ করেন। এক্ষেত্রে সমস্যা অত্যন্ত গুরুতর। আর তাই আপনার উচিত এবার সময় নিয়ে ভেবে দেখে সম্পর্কটা শেষ করা।
এসি  

ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্টে ৫৯ বাংলাদেশির নাম


ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্টে ঝুলছে ৫৯ বাংলাদেশির নাম। তাদের কেউ আন্ডারওয়ার্ল্ডের ডন, কেউ গডফাদার। কেউ মানবতাবিরোধী অপরাধী। আবার কেউ চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামি। এ তালিকায় রয়েছে বঙ্গবন্ধুর খুনিরাও। বছরের পর বছর তারা গা-ঢাকা দিয়ে আছে বিভিন্ন দেশে। তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি কার্যকর করতেই বাংলাদেশ থেকে ইন্টারপোলের সাহায্য চাওয়া হয়েছে। ইন্টারপোল তাদের ওয়েবসাইটে এসব অপরাধীর নাম ও ছবি প্রকাশ করেছে।
বর্তমানে তালিকায় থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। তবে নানান জটিলতার কারণে বছরের পর বছর চেষ্টা চালিয়েও এসব অপরাধীকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না।
ইন্টারপোলের রেড নোটিশে যাদের নাম রয়েছে তারা হল- রফিকুল ইসলাম, প্রকাশ কুমার বিশ্বাস, আমিনুর রসুল, হারিস আহমেদ, জাফর আহমেদ, আবদুল জব্বার, নবী হোসাইন, জিসান, তৌফিক আলম, মিন্টু, শাহাদাত হোসাইন, আতাউর রহমান, নাসির উদ্দিন রতন, চাঁন মিয়া, প্রশান্ত সরদার, সুলতান সাজিদ, হারুন শেখ, মনোতোষ বসাক, আমিনুর রহমান, গোলাম ফারুক অভি, রাতুল আহমেদ বাবু, হাসন আলী ওরফে সৈয়দ মো. হাছন, সৈয়দ মোহাম্মদ হোসাইন ওরফে হোসেন, জাহিদ হোসেন খোকন, আবদুল হারিস চৌধুরী, আবদুল জব্বার, আহমেদ কবির ওরফে সুরত আলম, রফিকুল ইসলাম, সাজ্জাদ হোসেন খান, হাসেম কিসমত, শরিফুল হক ডালিম, মোল্লা মাসুদ, মো. ইউসুফ, মো. নাঈম খান ইকরাম, মকবুল হোসাইন, সালাহউদ্দিন মিন্টু, খন্দকার আবদুর রশিদ, মঈন উদ্দিন চৌধুরী, এসএইচএমবি নূর চৌধুরী, আলহাজ মাওলানা মো. তাজউদ্দিন মিয়া, আশরাফুজ্জামান খান, খোরশেদ আলম, মোহাম্মদ চৌধুরী আতাউর রহমান, ত্রিমতি সুব্রত বাইন, আবুল কালাম আজাদ, সৈয়দ, আমান উল্লাহ শফিক, নুরুল দিপু, আহমেদ মঞ্জু, চন্দন কুমার রায়, এএম রাশেদ চৌধুরী, মোসলেহ উদ্দিন খান, নাজমুল আনসার, আবদুল মাজেদ, আহমেদ শারফুল হোসাইন, কালা জাহাঙ্গীর ওরফে ফেরদৌস, খন্দকার তানভীর ইসলাম জয়, শামীম আহমেদ।
ইন্টারপোলের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, বিচার বা দণ্ড ঘোষণার জন্য বাংলাদেশের বিচার কর্তৃপক্ষের কাছে ওয়ান্টেড ব্যক্তিরা পলাতক। রেড নোটিশের মাধ্যমে তাদের অবস্থান জানা এবং গ্রেফতারের চেষ্টা করা হয়। ওই ব্যক্তিরা যে দেশে দোষী সাব্যস্ত হয় সেই দেশে প্রত্যর্পণে সহায়তা করে ইন্টারপোল।

বন্ধ হয়ে গেলো মালয়েশিয়ায় শ্রমিক রপ্তানির প্রক্রিয়া

একটি সংঘবদ্ধ চক্রের অনৈতিক ব্যবসা পরিচালনার কারণে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হয়ে গেলো। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ কমিটির বৈঠকে ১ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশের শ্রমিক নিয়োগ বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কুয়ালালামপুর থেকে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ১৪ আগস্ট মালয়েশিয়ার পার্লামেন্টে মাহাথির মোহাম্মদের সভাপতিত্বে বিদেশি শ্রমিক ব্যবস্থাপনাবিষয়ক বিশেষ কমিটির বৈঠক হয়। ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত মালয়েশিয়া ইতিমধ্যে বাংলাদেশকে জানিয়ে দিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব নমিতা হালদার বলেন, ‘মালয়েশিয়া শ্রমিক নিয়োগ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত ২১ আগস্ট আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে।’
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই মাহাথির মোহাম্মদ বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগে সংঘবদ্ধ চক্রের যুক্ততা আর বাড়তি টাকা নেওয়ার প্রসংগটি তুলেছিলেন। ফলে মালয়েশিয়া যে কঠোর কোনো ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে, তার আভাস ছিলো।
বৈদেশিক কর্মসংস্থানে জড়িত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সংগে কথা বলে জানা গেছে, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা দেশের জন্য যথেষ্ট ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। কারণ গত কয়েক বছরে সৌদিআরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের পরের স্থানটি মালয়েশিয়ার। তাই এ বাজার বন্ধ হওয়াটা দেশের বৈদেশিক কর্মসংস্থান আর রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে অনিবার্যভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
কুয়ালালামপুর থেকে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে ২১ আগস্ট বাংলাদেশকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, দুই দেশের সরকারের মধ্যে ২০১৫ সালের ২৬ আগস্টের ঐকমত্য অনুযায়ী শ্রমিক নিয়োগ বা বাতিলের অধিকার মালয়েশিয়ার রয়েছে। সে অনুযায়ী মালয়েশিয়া শ্রমিক নিয়োগ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর বাংলাদেশের শ্রমিকদের নিয়োগ বন্ধের এ সিদ্ধান্ত ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে। শ্রমিক নিয়োগের বিষয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে দুই দেশের মন্ত্রীদের মধ্যে আলোচনার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
যে কারণে শ্রমিক রপ্তানি স্থগিত হলো:
মালয়েশিয়ার দৈনিক নিউ স্ট্রেইটস টাইমস-এর খবরে বলা হয়েছে, বিদেশি শ্রমিক ব্যবস্থাপনাবিষয়ক বিশেষ কমিটির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সংগে কথা বলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী। তিনি সে সময় বলেন, জনশক্তি রপ্তানিতে একতরফা ভেঙে দেওয়া এবং লোক পাঠানের খরচ কমাতে বাংলাদেশ সরকারের সংগে আলোচনা চলছে। এখন শুধু ১০টি এজেন্সি বাংলাদেশের লোকজনকে মালয়েশিয়ায় পাঠাতে পারে। এটি একধরনের একচেটিয়া প্রক্রিয়া।
এই একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ ভেঙে দেওয়ার প্রসংগে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ব্যবসাটিকে বাংলাদেশের সব এজেন্টের জন্য খুলে দিতে চাই। এতে করে ব্যবসায় প্রতিযোগিতা বাড়বে, জনশক্তি রপ্তানির খরচ কমবে। বাংলাদেশ ও নেপাল থেকে শ্রমিক নিয়োগের ব্যাপারে একটি অভিন্ন পন্থা অনুসরণ করা হবে। এ জন্য সাবেক প্রধান বিচারপতি কিংবা সাবেক মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি স্বাধীন টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। কমিটি শ্রমবাজারের বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করবে।’
জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বায়রার সাবেক সভাপতি বেনজির আহমেদ বলেন, মালয়েশিয়ায় ১ সেপ্টেম্বর থেকে বাজার স্থগিতের কথা শুনিনি। মালয়েশিয়ার সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকলে তা আমাদের জনশক্তির বাজারের জন্য বিরাট ক্ষতি হবে। আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, মালয়েশিয়ার সরকার ভবিষ্যতে শুধু ১০টি এজেন্সি নয়, বাংলাদেশের সব এজেন্সির জন্য মালয়েশিয়ার বাজার উন্মুক্ত করবে।’
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই অর্থাৎ প্রথম সাত মাসে ৪ লাখ ৫১ হাজার ৫৩৬ জন বাংলাদেশি কাজের জন্য বিদেশে গেছেন। তাঁদের মধ্যে শুধু সৌদি আরব আর মালয়েশিয়ায় ১ লাখের বেশি শ্রমিক গেছেন। এ সংখ্যা যথাক্রমে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৫৭৭ ও ১ লাখ ৯ হাজার ৫৬২। এ ছাড়া ২০১৭, ২০১৬ ও ২০১৫ সালে মালয়েশিয়াগামী বাংলাদেশি নাগরিকের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৯৯ হাজার ৭৮৭, ৪০ হাজার ১২৬ এবং ৩০ হাজার ৪৮৩। সূত্র- প্রথম অালো।

ভেনেজুয়েলায় মাংস প্রতি কেজি ২৬৭২ টাকা আর আলু ৫৬২!


এক কিলোগ্রাম আলুর দাম ৫৬২ টাকা। এক কিলোগ্রাম চাল ৭০২ টাকা। প্রতি কেজি গাজর ৮৪৩ টাকা। পনির ২১০৯ টাকা আর প্রতি কেজি মাংস ২৬৭২ টাকা। বাংলাদেশের বাজারে গেলে এমন আজব আকাশছোঁয়া দামের মুখোমুখি হতে হবে না আপনাকে। কিন্তু ভেনেজুয়েলার বাসিন্দাদের পড়তে হচ্ছে এমনই পরিস্থিতিতে।
জানা গেছে, সেদেশে মুদ্রাস্ফীতির ভয়াবহ রাক্ষুসে থাবায় চরম দুরবস্থা সাধারণ নাগরিকদের দৈনন্দিন জীবনযাপনে। বাংলাদেশি টাকায় এখন এমনই দাম এই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের। ভেনেজুয়েলার মুদ্রা বলিভার। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে একটা মুরগির দাম দেড় কোটি বলিভারে পৌঁছে গিয়েছে! 
লাতিন আমেরিকার এই দেশে দেখা দিয়েছে তীব্র আর্থিক মন্দা। আইএমএফ (ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ড)-এর হিসেব অনুযায়ী, এ বছর সেদেশের মুদ্রাস্ফীতির হার দশ লাখ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। কাজেই নলা যায়, পরিস্থিতি খুব ঘোরতর। গত সোমবার ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরাই মুদ্রাস্ফীতির মোকাবিলায় নতুন নোট বাজারে এনেছেন। ঘোষণা করেছেন নতুন অর্থনীতি। 

সানি লিওনের সংগ্রহে রয়েছে যে ৬ মূল্যবান জিনিস!

অন্ধকার অতীত পেরিয়ে অনেক লড়াই করে পায়ের তলার মাটি শক্ত করেছেন তিনি ৷ পর্ন ছবির নায়িকা থেকে আজ তিনি বলিউডের জনপ্রিয় মুখ ৷ অতীত নিয়ে আজ আর ভাবিত নন সানি লিওন ৷ স্বামী আর তিন সন্তান নিয়ে এখন সুখের সংসার বলিউডের বেবি ডলের ৷ 
বছরে ২ কোটি আয় করেন তিনি ৷ ইতিমধ্যেই সংগ্রশালা ভরিয়েছেন এমন কিছু মহাসূল্যবান জিনিসে, যা দেখে তাক লেগে যেতে পারে আপানারও। আসুন জেনে নেওয়া যাক, যে ৬ মহামূল্যবান জিনিস রয়েছে সানি লিওনের সংগ্রহে-
১। অডি এ ৫-
 এক্ষেত্রে শাহরুখ খান, সালমান খান, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া আর দীপিকা পাড়ুকোনের পরেই আসবে সানি লিওনের নাম ৷ বলিউডে তিনিই পাঁচ নম্বর যাঁর সংগ্রহে রয়েছে এই জার্মান বিলাসবহুল গাড়িটি ৷ অডি এ ৫-এর দাম ৫৫ লাখ টাকা ৷
২। বিএমডাব্লিউ ৭ সিরিজ-
অন্যদিকে, ৭৫ লাখের বিএমডাব্লিউ ৭ সিরিজও রয়েছে নায়িকার সংগ্রহে ৷
৩। মাসেরাতি গিবলি-
গাড়ির প্রতি আলাদা একটা ভালবাসা রয়েছে সানির ৷ বিশেষ করে স্পোর্টস কার খুবই পছন্দ নায়িকার। আর সেই জন্যই ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা খরচ করে এই গাড়িটি কিনে ফেলেছেন সানি ৷
৪। লস অ্যাঞ্জেলসে বাংলো-
বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুল শহরে নিজের বাংলো কিনে ফেলেছেন এই বলি ডিভা ৷ ৫টি শয়নকক্ষ, স্যুইমিং পুল, বাগান, থিয়েটার হল কী নেই সেখানে ৷ ১৯ কোটি টাকার বাংলো তো এমনই হওয়ার কথা ৷ তবে এখানেই শেষ নয়, আন্দেরিতেও ৩ কোটির একটি দুর্দান্ত ফ্ল্যাট রয়েছে নায়িকার ৷
৫। লাস্ট-
সানির পারফিউম ব্র্যান্ডের নাম ‘লাস্ট’৷ বিশ্ব জুড়ে ৬৫ কোটির ব্যবসা রয়েছে এই পারফিউম কোম্পানির ৷
৬। স্টারস্ট্রাক-
শুধু পারমিউম ব্র্যান্ডই নয়, সানি লিওনের একটি কসমেটিক ব্র্যান্ডও রয়েছে ৷ এই মুহূর্তে স্টারস্ট্রাকের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৮৫ কোটি ৷

খোঁজ নেই ৮৮ হাজার মার্কিনির

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে নিখোঁজ রয়েছেন প্রায় ৮৮ হাজার মানুষ। তারা আদৌ বেঁচে আছেন কিনা এ ব্যাপারে তাদের পরিবারের কোনো ধারণা নেই। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এ উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে। তাদের সন্ধানের জন্য মামলাও চালু রয়েছে। কোনো হদিস না মেলায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারকে। 
নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের বিশেষ করে নিখোঁজ ব্যক্তির সঙ্গে কারো যৌথ অংশীদারিত্বের সম্পর্ক রয়েছে, তাদেরই বেশি ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। যৌথ সম্পত্তি বিক্রি বা এ ধরনের কোনো অপ্রত্যাশিত সমস্যার মুখে না পড়লে হারিয়ে যাওয়া লোকটির পরিবার বুঝতে পারে না যে অন্ততপক্ষে তাদের একটি ডেথ সার্টিফিকেটের প্রয়োজন রয়েছে। 
অনেকেই ডেথ সার্টিফিকেট সংগ্রহ করেন না এই আশায় যে তার প্রিয় মানুষটি বেঁচে আছেন। একদিন ঠিকই ফিরে আসবেন। 
সারা রানাডাজো নামের এক নারী ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের কাছে বলেন, প্রিয় মানুষের নিখোঁজ থাকার ঘটনায় একটি ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়া স্বামী বা স্ত্রী তার সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেন না। অবসর নেওয়ার পর সুবিধাভোগের ক্ষেত্রেও তাদের সমস্যায় পড়তে হয়, সমস্যায় পড়তে হয় নিজেদের সম্পত্তি রক্ষায়ও। তাই অনেকটা বুক বেঁধেই প্রিয় মানুষের ডেথ সার্টিফিকেট সংগ্রহ করেন অনেকেই। 
রোসারা অ্যালিসিয়া ইয়ু'র স্বামী ২০১২ সাল থেকে নিখোঁজ। এরপর থেকে একাই সংসার সামলাতে হয় তাকে। একজন বাস ড্রাইভার হিসেবে তিনি যা আয় করেন, তা দিয়ে তার ও তার ৬ সন্তানের সংসার চালাতে রীতিমতো হিমশিমই খেতে হয় ইয়ুকে। পরে আদালত ইয়ু'র স্বামীকে মৃত ঘোষণা করলে ইয়ু তাদের ক্যালিফোর্নিয়ার বাড়িটি বিক্রি করতে সক্ষম হন। স্বামীর লাইফ ইন্স্যুরেন্সের অর্থও উদ্ধার করতে পারেন। 
মৃত ঘোষণার আবেদনগুলোর ক্ষেত্রে কাজ করেন এমন একজন আইনজীবী বেথ চ্যাপম্যান বলেন, এটি একটি আবেগময় বিষয়। মরদেহ না পেলে আদালতের কাছে এমন আবেদন করতে অনেকেরই বুক ভেঙে যায়।

Thursday, August 23, 2018

ব্রাজিলে স্বর্ণখনিতে কাজের উদ্দেশ্যে মিনাজ জেরাইস প্রদেশে বসতি স্থাপিত হয় ।


১৫০০ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিলে পর্তুগিজ অভিযাত্রী পেদ্রু আলভারেজ কাবরাউ পরিচালিত একটি পর্তুগিজ নৌবহর বর্তমানের ব্রাজিলে এসে পৌঁছায় এবং পর্তুগালের রাজা প্রথম মানুয়েলের নামে ভূখণ্ডটিতে পর্তুগালের অধিকার দাবি করে। সে সময় পর্তুগিজরা ব্রাজিলে বসবাসরত প্রস্তর যুগের আদিবাসীদের সাথে পরিচিত হয়। এসকল আদিবাসীদের বেশিরভাগ-ই কথা বলতো তুপি-গুয়ারানি পরিবারের বিভিন্ন ভাষায়, এবং আদিবাসী গোত্রগুলো পরস্পরের মধ্যে যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত ছিল।

১৫৩২ খ্রিস্টাব্দে ব্রাজিলে প্রথম পর্তুগিজ উপনিবেশটি গোড়াপত্তন হয় । তবে ১৫৩৪ সালে ডম তৃতীয় জোয়াউঁ কর্তৃক সমগ্র অঞ্চলটি ১২টি পৃথক বংশানুক্রমিক নেতৃত্বে ভাগ করে দেওয়ার মাধ্যমে কার্যকরভাবে ঔপনিবেশিক প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু পরবর্তীতে এই প্রথাটি সমস্যাপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হয়, এবং ১৫৪৯ খ্রিস্টাব্দে পর্তুগালের রাজা পুরো উপনিবেশ প্রশাসনের জন্য একজন গভর্নর-জেনারেল নিয়োগ দেন। পর্তুগিজরা কিছু আদিবাসী গোত্রকে নিজেদের দলে নেয়। অপরদিকে বাকিদেরকে তঁরা দাস হিসেবে বশ্যতা স্বীকার করতে বাধ্য করে। এছাড়াও কিছু কিছু গোত্রকে দীর্ঘ যুদ্ধে হারিয়ে ও রোগ বিস্তারের মাধ্যমে নিঃশেষ করে দেয়। ইউরোপীয় রোগের সংক্রমণ প্রতিরোধের উপায় সেসকল আদিবাসীদের জানা ছিল না, তাই খুব সহজেই তাঁরা রোগাক্রান্ত হয়। ১৬শ শতকের মধ্যভাগে ঔপনিবেশিকেরা উত্তর-পূর্ব উপকূলের ভালো মাটি ও ক্রান্তীয় জলবায়ুর সুযোগ নিয়ে সেখানে চিনির প্ল্যান্টেশন স্থাপন করে। সে সময় চিনি ছিল ব্রাজিলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি পণ্য। আন্তজার্তিক বাজারের ক্রমবর্ধমান চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে পর্তুগিজরা আফ্রিকান দাসদেরও ব্রাজিলে নিয়ে আসা শুরু করে।



ফরাসিদের সাথে যুদ্ধের মাধ্যমে পর্তুগিজরা তাঁদের দখলকৃত ভূখণ্ড ধীরে ধীরে আরও বিস্তৃত করতে থাকে। ১৯৫৭ সালে তাঁরা দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থিত রিউ দি জানেইরু ও ১৬১৫ সালে উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত সাউঁ লুইসে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। ১৬৬৯ খ্রিস্টাব্দ থেকে তাঁরা আমাজন অরণ্য অভিমূখে অভিযান শুরু করে ও ঐ অঞ্চলে অবস্থিত ব্রিটিশ ও ওলন্দাজ উপনিবেশগুলোর নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। নিয়ন্ত্রণ লাভের পর পর্তুগিজরা অঞ্চলগুলোতে নিজেদের গ্রাম ও দুর্গ প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণকে আরও সুসংহত করে। ১৬৮০ খ্রিস্টাব্দে তাঁদের এ অভিযান সর্ব দক্ষিণে বিস্তৃত হয়। সেখানে রিও দে লা প্লাতা নদীর তীরে তাঁরা সাক্রামেন্তো শহরের গোড়াপত্তন করে, বর্তমানে যা উরুগুয়ের অংশ।

১৭ শতকের শেষভাগে ব্রাজিলের চিনি রপ্তানির পরিমাণ কমতে থাকে, তবে ১৬৯০-এর দশকে ব্রাজিলের দক্ষিণ-পূর্ব ভাগে বেশ কিছু স্বর্ণখনি আবিষ্কৃত হয়। পর্তুগিজ ভাষায় বান্দিরাঞ্চিস (Bandeirantes) নামে পরিচিত এই পর্তুগিজ স্কাউটরা বর্তমান ব্রাজিলের মাতু গ্রসো ও গোইয়াস অঞ্চলে স্বর্ণখনির সন্ধান পান। তৎকালীন সময়ে জায়গাটির নামকরণ করা হয় মিনাজ জেরাইস (বাংলা অর্থ ‘সাধারণ খনি’), যা বর্তমানে ব্রাজিলের একটি প্রদেশ। স্বর্ণখনি আবিস্কারের ফলে চিনি রপ্তানি কমে যাওয়া থেকে সৃষ্ট অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে পর্তুগিজ উপনিবেশ রক্ষা পায়। এছাড়াও স্বর্ণখনিতে কাজের উদ্দেশ্যে সমগ্র ব্রাজিলসহ পর্তুগাল থেকে হাজার হাজার অভিবাসী এ অঞ্চলে পাড়ি জমায়। এই সময় দেশের অভ্যন্তরভাগে বসতি স্থাপিত হয় এবং অর্থনীতি ও জনসংখ্যার প্রধান কেন্দ্র দেশের উত্তর-পূর্ব থেকে দক্ষিণ-পূর্ব অংশে স্থানান্তরিত হয়।

স্পেনীয় ঔপনিবেশিক শাসকগণ এ অঞ্চলে পর্তুগিজ উপনিবেশের সম্প্রসারণে বাঁধা প্রদান করে আসছিল। ১৪৯৪ সালে স্পেন অধিকৃত ভূখণ্ডে পর্তুগিজদের উপনিবেশ সম্প্রসারণ রোধে উভয়পক্ষের মধ্যে তোর্দিজিলাস চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ১৯৭৭ সালে স্পেনীয়রা পর্তুগিজ অধিকৃত বান্দা ওরিয়েন্টাল নিজেদের দখলে আনতে সমর্থ হয়। যদিও পরবর্তীকালে এ বিজয় নিষ্ফল বলে প্রতীয়মান হয়, কারণ ঐ বছরেই পর্তুগিজ ও স্পেনীয় সাম্রাজ্যের ভেতর প্রথম সান লিদিফোনসো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ চুক্তি অনুসারে এ অঞ্চলের পর্তুগিজদের সম্প্রসারিত সকল অঞ্চলে পর্তুগালের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত হয়। বর্তমান ব্রাজিলের সীমানাও মূলত এই সম্প্রসারিত ভূখণ্ডের সীমানার প্রতি লক্ষ্য রেখেই নির্ধারিত হয়েছে।

১৮০৮ খ্রিস্টাব্দে পর্তুগিজ রাজ পরিবার, পর্তুগালে অনুপ্রবেশকৃত নেপোলিয়নের সেনাবাহিনীকে তাড়ানোর চেষ্টা করছিল। সে সময় নেপোলিয়নের সেনাবাহিনী পর্তুগালসহ মধ্য ইউরোপের বেশিরভাগ স্থানেই নিজেদের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত করতে সমর্থ হয়েছিল। প্রতিকুল পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে রাজ পরিবার নিজেদেরকে ব্রাজিলের রিউ দি জানেইরুতে সরিয়ে নেয়। ফলশ্রুতিতে এটি সম্পূর্ণ পর্তুগিজ সাম্রাজ্যের কেন্দ্র হয়ে ওঠে। ১৮১৫ সালে ডম ষষ্ঠ জোয়াউঁ, তাঁর অকর্মক্ষম মায়ের পক্ষে রিজেন্ট হিসেবে ব্রাজিলকে পর্তুগিজ উপনিবেশ থেকে উন্নীত করে পর্তুগালের সাথে একত্রিত একটি সার্বভৌম যুক্তরাজ্যীয় রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন, যার নাম হয় ইউনাইটেড কিংডম অফ পর্তুগাল, ব্রাজিল, অ্যান্ড দি আলগ্রাভিস। ১৮০৯ সালে পর্তুগিজরা ফরাসি গায়ানা দখল করে (যদিও পরবর্তীকালে ১৮১৭ সালে তা ফ্রান্সের কাছে ফিরিয়ে দেয়)। এছাড়ারও ১৮১৬ সালে ইস্টার্ন স্ট্রিপও তাঁরা নিজেদের দখলে নেয়, ও কিসপ্লাতিনা নামে নামকরণ করে। কিন্তু ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দে ব্রাজিল এ অঞ্চলটির ওপর তার নিয়ন্ত্রণ হারায়, এবং অঞ্চলটিতে উরুগুয়ে নামের একটি নতুন স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের গোড়াপত্তন হয়।

দক্ষিণ আমেরিকার সর্ববৃহৎ রাষ্ট্র ব্রাজিলে সন্তান জন্ম দিতে আসছেন ভেনেজুয়েলার গর্ভবতী নারীরা

ব্রাজিলের দ্বিতীয় রাজধানী রিও ডি জেনিরোতে মাদকবিরোধী অভিযানে নিহত ১৩

ব্রাজিলের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী রিও ডি জেনিরোর একাধিক বস্তি এলাকায় সোমবার নিরাপত্তা বাহিনীর মাদক বিরোধী ব্যাপক অভিযান চলাকালে সন্দেহভাজন ১১ অপরাধী নিহত হয়েছে। এ সময় পাল্টা হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্যও নিহত হয়।
রিও নগরীর নিরাপত্তার নেতৃত্ব দেয়া সামরিক কমান্ড জানায়, প্রেসিডেন্ট মিশেল তেমার রিওর নিরাপত্তা রক্ষায় তাদেরকে পাঠানোর পর এই প্রথম দুই সেনাসদস্য নিহত হলো।
জানা গেছে, সামরিক গাড়িবহর নিয়ে চার হাজার ২০০ সেনা সেনা মাদক চোরাকারবারিদের পেনহা, আলেমাও ও ম্যারি বস্তিতে প্রবেশ করে অভিযান চালানোর সময় এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এ অভিযানে ম্যারি বস্তি এলাকা থেকে ৪৩০ কেজি মাদক উদ্ধার করা হয়েছে।

Thursday, August 16, 2018

আর্জেন্টিনা থেকে অবসরে মেসি!

রাশিয়া বিশ্বকাপে শেষ ষোলো থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল মেসির আর্জেন্টিনাকে। দলটির সেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসিও ব্যর্থ হয়েছিলেন দলকে ভালো কিছু উপহার দিতে। বিশ্বকাপে দলের এই হতাশাজনক পারফরম্যান্স নিয়ে গণমাধ্যমে কোনো কথা বলেননি লিওনেল মেসি।
এদিকে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে, কোপা আমেরিকার আগ পর্যন্ত মেসিকে আর আর্জেন্টিনা দলে দেখা যাবে না।
আর্জেন্টাইন দৈনিক ক্লারিন জানিয়েছে, সাময়িক বিরতিতে যাচ্ছেন মেসি। তাই আগামী সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে কয়েকটি প্রীতি ম্যাচের আর্জেন্টিনা দলে দেখা যাবে না তাকে। যুক্তরাষ্ট্রে গুয়াতেমালা ও কলম্বিয়ার বিপক্ষে এবং সৌদি আরবে ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচে মেসির খেলার সম্ভাবনা নেই বলে শোনা যাচ্ছে। অবশ্য এর কারণ জানা যায়নি।
এদিকে দলটির কোচ হোর্হে সাম্পাওলিকে ছাঁটাই করা হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন তারই সহকারী লিওনেল স্কালোনি। তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর জানিয়েছিলেন, দলে মেসি নির্ভরতা কমাতে চান। প্রীতি ম্যাচ দিয়েই হয়তো সেটা শুরু করতে যাচ্ছেন।
তবে মেসিকে ছাড়া এই আর্জেন্টিনা কতটুকু সাফল্য পাবে সেটা ভাবনার বিষয়। পাঁচটি ব্যালন ডি’অর জয়ী এ তারকা দলটির প্রাণভোমরা। তাকে ছাড়া আর্জেন্টিনা দল গঠন করার কথা ভাবাই যায় না। তবে এটাও ঠিক যে দিন দিন মেসির বয়সও বাড়ছে। আগের সেই মেসি আর এখনকার মেসির মাঝে যে অনেক ব্যবধান। তবে মেসি যে বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।

মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করতে হবেই: মাহাথির

রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করতে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ।
গত সোমবার বার্তা সংস্থা এপিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ আহ্বান জানান।
এপিকে মাহাথির বলেন, রোহিঙ্গারা কয়েক প্রজন্ম ধরে মিয়ানমারে বসবাস করছে। তারা ওই দেশের নাগরিক। তাই মিয়ানমারকে অবশ্যই রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করতে হবে।
রোহিঙ্গা মুসলমানদের প্রতি মিয়ানমার সরকার, বিশেষ করে নিপীড়ন থামাতে অং সান সু চির ব্যর্থতায় গভীর হতাশা প্রকাশ করেন মাহাথির। তিনি বলেন, হত্যা, গণহত্যা; তারা যে অন্যায়গুলো করেছে তা কোনো সভ্য দেশের আচরণ হতে পারে না।

বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে হলিউডের দুই ছবি


পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে হলিউডের দুই ছবি। এর মধ্যে একটি  অ্যাকশন থ্রিলারভিত্তিক ছবি ‘মাইল ২২’  অন্যটি অ্যাডভেঞ্চারধর্মী ছবি ‘আলফা’। দু’টি ছবিই আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ১৭ আগস্ট। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে একই দিন ছবিটি বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন  স্টার সিনেপ্লেক্সের মিডিয়া ও বিপণন বিভাগের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ। 
ঈদে বাংলাদেশের দর্শকদের আনন্দের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিতেই বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সিনেপ্লেক্স নিয়ে আসছে এ দুই ছবি। এরমধ্যে ‘মাইল ২২’ আমেরিকান-চাইনিজ অ্যাকশন থ্রিলারভিত্তিক ছবি। এটি পরিচালনা করেছেন পিটার বার্গ। ছবির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মার্ক ওয়ালবার্গ, জন মালকোভিচ, লরেন কোহান, রন্ডা রাউসিসহ আরো অনেকে। সন্ত্রাসীদের শিকার ২২ মাইলের উচ্চমূল্যবান সম্পদ উদ্ধারে সিআইএ’র একটি এলিট টাস্ক ফোর্সের অভিযান নিয়ে আবর্তিত হয়েছে ছবির কাহিনী। এতে দেখা যাবে, সিআইএ’র ইউনিটে সক্রিয় জেমস সিলভা। প্রতিকূল ২২ মাইল এলাকায় মূল্যবান গোয়েন্দা সম্পদ হুমকির মুখে পড়লে তা উদ্ধারে এগিয়ে যায় সে। অভিযানে গিয়ে বিপদে পড়েন তিনি নিজেও। উচ্চ পর্যায়ের একটি কমান্ডো দল গোপন কৌশলে তাকে সহায়তা করে। নানা ঘাত-প্রতিঘাত আর বিপদসংকুল অবস্থার মধ্য দিয়ে সংগ্রাম চালিয়ে যায় অনেক দূর। তবে শেষ পরিণতি কি হয় সেখা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে মুক্তি পর্যন্ত।  
সনি পিকচার্সের পরিবেশনায় অ্যাডভেঞ্চার নির্ভর  হচ্ছে 'আলফা'। এটি পরিচালনা করেছেন আলবার্ট হিউজেস। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন কোডি স্মিট-ম্যাকফি, লিওনর ভ্যারেলা, জেন্স হালটেন প্রমুখ। বরফযুগে এক তরুণ শিকারীর সঙ্গে একটি আহত নেকড়ের বন্ধুত্ব নিয়ে নির্মিত হয়েছে এ ছবি। ২০ হাজার বছর আগে ইউরোপে যখন প্রস্তরযুগ চলছিলো, সে সময় শিকারে বের হওয়া এক তরুণ তার বাড়ি ফিরে যাওয়ার পথে নানামুখী সংকটের মধ্যে পড়ে। অনেক ভয়ঙ্কর জীব-জন্তুর সঙ্গে সংগ্রাম করে সামনে যেতে হয় তাকে। এ সময় একটি আহত নেকড়ের মুখোমুখি হয় সে। নেকড়েটিকে বশে আনার পর তার প্রতি একটা মায়া তৈরি হতে থাকে। নানা সেবা-যত্ন করে নেকড়েটিকে সুস্থ করে তোলে সে। ক্রমান্বয়ে তাদের দু’জনের মধ্যে একটা বোঝা-পড়া সৃষ্টি হতে থাকে। একে অপরের বন্ধু হয়ে যায় তারা।  মানুষ আর কোনো নেকড়ের মধ্যে এটাই প্রথম বন্ধুত্ব।

এলিফ্যান্ট রোডে বাসা থেকে ২ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার, গ্রেফতার ৬

ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের দু'টি বাসা থেকে ২ লাখ ৭ হাজার ১০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে র‌্যাব-২। বুধবার রাতের এই অভিযানে মাদক বিক্রির ১৬ লাখ ৬৪ হাজার টাকাসহ ছয়জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবার মূল্য প্রায় ৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ এসব তথ্য জানান। গ্রেফতার ছয়জন হলেন- জহির আহাম্মেদ ওরফে মৌলভি জহির (৬০), ফয়সাল আহাম্মেদ (৩১), মিরাজ উদ্দিন নিশান (২১), তৌফিকুল ইসলাম ওরফে সানি (২১), সঞ্জয় চন্দ্র হালদার (২০) ও মমিনুল আলম ওরফে মোমিন (৩০)।
মুফতি মাহমুদ বলেন, ইয়াবা চোরাচালান চক্রটির মূল হোতা মৌলভি জহির। তিনি ও তার বড় ছেলে বাবু (২৮) পাঁচ-ছয় বছর ধরে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া করে ইয়াবা ব্যবসা করছেন। গত ২৫ এপ্রিল মাদকদ্রব্যসহ ধানমন্ডি এলাকা থেকে বাবুকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া জহিরের স্ত্রী, মেয়ে, বড় জামাতা আবদুল আমিন, জামাতার ভাই নুরুল আমিনসহ টেকনাফের বেশ কয়েকজন এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত। এই সিন্ডিকেটে পরিবহন খাতের কয়েকজন চালক ও সহকারী, দু'টি কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মচারী, ঢাকার কয়েকজন খুচরা বিক্রেতাও জড়িত রয়েছে। সব মিলিয়ে এই সিন্ডিকেটে ২৫ থেকে ৩০ সদস্য রয়েছে।
র‌্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে জহির জানিয়েছে, টেকনাফে তার ওষুধের দোকান আছে, যার আড়ালে তিনি ইয়াবা ব্যবসা করে আসছিলেন। এই সিন্ডিকেটের মিয়ানমারের প্রতিনিধি আলম ওরফে বর্মাইয়া আলম। মিয়ানমারের মংডুতে স্থায়ীভাবে বাস করা আলমের টেকনাফেও একটি বাড়ি রয়েছে। তিনি নৌপথে মংডু থেকে ইয়াবা পাচার করে টেকনাফের নাজিরপাড়া, জালিয়াপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার বাড়িতে সেসব মজুত রাখেন। আর সেগুলো জহির ও তার জামাতা আবদুল আমিন, নুরুল আমিন এবং মোমিন টেকনাফে সংগ্রহ করে সেখান থেকে বিভিন্ন পরিবহন ও কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ঢাকায় পাঠাত।
ফ্যান, ওয়াশিং মেশিন, এসিসহ বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রিক্যাল সরঞ্জামাদির ভেতর ইয়াবা লুকিয়ে পরিবহন বা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ঢাকায় পাঠানো হতো। যাত্রীবাহী বাসে ইয়াবা পাচারের সময় টেকনাফের দুই ব্যক্তি বাহক হিসেবে কাজ করতেন। কখনও কথনও বহনকারী ছাড়াও নির্ধারিত চালক ও সহকারীর মাধ্যমেও ঢাকায় ইয়াবা পাঠানো হতো। উদ্ধার করা ইয়াবাগুলো কয়েকদিন আগে দু'টি চালানে এসি ও ফ্যানের ভেতরে ঢুকিয়ে ঢাকায় আনা হয়। এই সিন্ডিকেটের সদস্য আবদুল আমিন ও তার ভাই নুরুল আমিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকায় আছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গ্রেফতার ফয়সাল আহাম্মেদ  একটি বেসরকারি ব্যাংকে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পদে কর্মরত। তিন বছর ধরে ইয়াবা সেবনের এক পর্যায়ে ধীরে ধীরে তিনি এই ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন।
গ্রেফতার মিরাজ উদ্দিন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্সে প্রথম সেমিস্টারে পড়েন। একই এলাকায় বাড়ি হওয়ায় গ্রেফতার মোমিন ও তিনি একই সঙ্গে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন।
তৌফিকুল ইসলাম ঢাকায় একটি কলেজে ম্যানেজমেন্টে প্রথম বর্ষে পড়েন। কলেজের বন্ধু মিরাজ উদ্দিন নিশানের (গ্রেফতার) সূত্র ধরে মোমিনের (গ্রেফতার) সঙ্গে তার পরিচয়। তিনি গত দেড় বছর ধরে ইয়াবা সেবন ও ব্যবসায় জড়িত।
আর গ্রেফতার সঞ্জয় চন্দ্র হালদার মাদারীপুর একটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে পারিবারিক ব্যবসা করছিলেন। তিনি এক বছর ধরে ইয়াবা সেবন করছেন। তৌফিকুল ইসলামের (গ্রেফতার) মাধ্যমে নিশানের (গ্রেফতার) সঙ্গে পরিচয়ের পর ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি।
আরও তথ্য আদায়ের জন্য গ্রেফতার ছয়জনকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানান র‌্যাব কর্মকর্তা মুফতি মাহমুদ।

র‌্যাংকিংয়ে সেরা দশের বাইরে আর্জেন্টিনা-জার্মানি


রাশিয়া বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে অংশ নিয়েছিল জার্মানি। কিন্তু গ্রুপ পর্বে বিদায় নিতে হয় ফুটবলের পরাশক্তির দেশটির। তার প্রভাব পড়েছে র‌্যাংকিংয়ে। তারা চলে গেছে সেরা দশের বাইরে।
এছাড়া ২০১৮ বিশ্বকাপের টপ ফেবারিট ছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু গ্রুপ পর্বে এক ড্র এবং এক হারের পাশাপাশি দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নেয় তারা। আলবেসেলেস্তেরাও চেলে গেছে দশের বাইরে। তবে বিশ্বকাপে রানার্সআপ হওয়া ক্রোয়েশিয়া ঢুকেছে সেরা চারে। 
বৃহস্পতিবার ফিফার প্রকাশিত র‌্যাংকিং অনুযায়ী, জার্মানির অবস্থান ১৫তম। এছাড়া আর্জেন্টিনা আছে ১১ নম্বর অবস্থানে। জার্মানি এর আগে ২০০৬ সালে ফিফা র‌্যাংকিংয়ে দশের বাইরে ছিল। সেবার ২২ নম্বর অবস্থানে থাকলেও ২০০৬ বিশ্বকাপে তৃতীয় সেরা দল হওয়ায় আবার র‌্যাংকিংয়ে ছয়ে উঠে আসে তারা। 
রাশিয়া বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তোলায় দিদিয়ের দেশমের দল ফিফা র‌্যাংকিংয়ে আছে সবার ওপরে। এছাড়া সেরা তিনে বিশ্বকাপ শেষ করা বেলজিয়াম আছে দুইয়ে। ব্রাজিল তিনে। ২০ নম্বর অবস্থানে থেকে বিশ্বকাপ খেলতে এসে রানার্সআপ হয়েছে ক্রোয়েশিয়া। এছাড়া উরুগুয়ে নয় র‌্যাংকিংয়ে থেকে পাঁচে উঠেছে। 
সেরা দশের মধ্যে আছে ইংল্যান্ড। এছাড়া ফিফা র‌্যাংকিংয়ে বেশ ওপরে উঠে এসেছে রাশিয়া। তারা ৭০ থেকে নেমে এসেছে ৪৯ এ। রাশিয়া বিশ্বকাপ না খেললেও ইতালি আছে ২২ নম্বরে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র আগে র‌্যাংকিংয়ে ২২ নম্বরে ছিল এখন তারা ২৫ এ চলে গেছে। 

উদ্বাস্তুদের সুবিধার্থে ব্রাজিলে রিফুজি আবেদনের নিয়ম পরিবর্তন করা হয়েছে ।


ব্রাজিলে রিফুজি আবেদনের নিয়ম  পরিবর্তন করা হয়েছে । পুলিশিয়া ফেডারেল সুত্রে জানা যায় এখন থেকে রিফুজি আবেদন করতে হবে যে এয়ারপোর্ট বা সিমান্ত দিয়ে আবেদনকারী প্রবেশ করেছে ব্রাজিলে  সে সিটিতে । অন্যথায় রিফুজি আবেদনকারীর নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে পারেন । অন্যদিকে রিফিউজি আবেদনকারীর নিরাপত্তা চিহ্ন বাড়ানো হয়েছে । ব্রাজিলে প্রতিনিয়ত রিফুজিরপরিমাণ বাড়ছে বিশেষ করে ভেনেজুয়েলা , প্যারাগুয়ে , আর্জেন্টিনা ও বলিভিয়ার নাগরিকরা ব্রাজিলের প্রবেশ করে রিফুজি  আবেদন করছে । ইতিমধ্যে রিফিউজিদের জন্য ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়া বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা বিভিন্নভাবে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে এসেছে খুলেছেন ক্যাম্প । রিফুজিরা পাচ্ছেন ত্রান সামগ্রী । এদিকে ব্রাজিলে ২মাস পর জাতীয় সংসদ নির্বাচন , ব্রাজিলের রাজনৈতিক দলগুলো এখন নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত । নির্বাচনে যে দলেই নির্বাচিত হয় সেই দল এই দেশের রিফুজি দের নিয়ে চিন্তা করবেন বলে জানিয়েছেন দেশের বর্তমান প্রেসিডেন্ট । 
সুত্র - globo news 

Sunday, August 12, 2018

ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি ফুটবলার রোনালদো হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন

নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি ফুটবলার রোনালদোকে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় নিবিড় পর্যবেক্ষণ ইউনিটেও রাখা হয়েছিল তাকে। তবে সুস্থ হয়ে উঠায় সোমবার হাসপাতাল থেকে মুক্তি পাচ্ছেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ী এ তারকা।

হঠাৎ নিউমোনিয়ার আক্রান্ত হওয়ায় ব্রাজিলের ইবিজায় হাসপাতালে ভর্তি হন রোনালদো। গত সোমবার ভর্তি হওয়ার পর তাকে সেরে উঠার জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন তার ভক্তরা। সুস্থ হয়ে এবার ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন ৪১ বছর বয়সি এ তারকা। সুস্থ হয়ে উঠার সংবাদ এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন তিনি।

শুভকামনার জন্য ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে রোনালদো লেখেন, ‘বন্ধুরা, ইবিজায় নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত হওয়ায় আমাকে শুক্রবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। তবে বর্তমানে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমি আগামীকাল ছাড়া পাচ্ছি এবং বাড়ি ফিরছি। মেসেজে শুভকামনা জানানোয় আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।’

ব্রাজিলে ভুট্টা উৎপাদন কমছে সাড়ে ৭ লাখ টন

প্রতিকূল আবহাওয়ার প্রভাব পড়ছে ব্রাজিলের ভুট্টা উৎপাদন খাতে। ২০১৬-১৭ মৌসুমের বাম্পার ফলনের পর ২০১৭-১৮ মৌসুমে দেশটিতে কৃষিপণ্যটির উৎপাদন কমছে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ব্রাজিলের ফেডারেল ক্রপ এজেন্সি কোনাব। প্রতিষ্ঠানটির সাম্প্রতিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ মৌসুমে দেশটিতে ভুট্টা উৎপাদন আগের প্রাক্কলনের তুলনায় সাড়ে সাত লাখ টন কমতে পারে। খবর এগ্রিমানি।
ব্রাজিল বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ভুট্টা উৎপাদনকারী দেশ। কোনাবের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬-১৭ সালে দেশটির ইতিহাসে রেকর্ড সর্বোচ্চ ৯ কোটি ৭৮ লাখ ৪০ হাজার টন ভুট্টা উৎপাদন হয়েছিল। তবে চলতি মৌসুমের শুরু থেকে দেশটির কৃষিপ্রধান এলাকাগুলোয় তীব্র দাবদাহ চলছে। তাপমাত্রা রয়েছে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি। এর প্রভাব পড়ছে কৃষিপণ্যটির উৎপাদনে।
২০১৭-১৮ মৌসুমে ব্রাজিলে সব মিলিয়ে ৮ কোটি ২১ লাখ ৮০ হাজার টন ভুট্টা উৎপাদন হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে কোনাব, যা প্রতিষ্ঠানটির আগের প্রাক্কলনের তুলনায় ৭ লাখ ৫০ হাজার টন কম। মৌসুমের শুরুতে দেয়া পূর্বাভাসে এ সময় দেশটিতে মোট ৮ কোটি ২৯ লাখ ৩০ হাজার টন ভুট্টা উৎপাদনের প্রাক্কলন করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০১৮ সাল শেষে ব্রাজিলে মোট ৯ কোটি ৬০ লাখ টন ভুট্টা উৎপাদন হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি, যা আগের বছরের তুলনায় ১৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ বেশি।

ছকে বাঁধা জীবনের বাইরে নাইম-শাবনাজ

দেশীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম সফল তারকাজুটি ও তারকা দম্পতি নাইম শাবনাজ। বেশ কিছুদিন হলো চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানগুলোয় খুব বেশি দেখা যাচ্ছে না তাদের। দুই সন্তান নামিরা এবং মাহাদিয়ার লেখাপড়া নিয়ে উভয়ে ব্যস্ত। যে কারণে ছকে বাঁধা জীবনের বাইরে অন্য কোথাও যাওয়ার সময় নেই এই তারকা দম্পতির।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরায় প্রখ্যাত গীতিকার ও চলচ্চিত্রকার গাজী মাজহারুল আনোয়ারের ছেলে সরফরাজ মেহেদী আনোয়ার উপল ১৯৯১ সালে আমেরিকায় প্রতিষ্ঠিত আমেরিকান চেইন কফি শপ ‘ক্রিমসন কাপ’-এর পুনর্যাত্রা করেন রাজধানীর উত্তরায়। এই পুনর্যাত্রা উপলকে শুভকামনা জানাতে উপস্থিত হয়েছিলেন আঁখি আলমগীর, দিঠি আনোয়ার, চলচ্চিত্র প্রযোজক সুমন দে, ওমর সানী ও মৌসুমীর ছেলে ফারদিন এহসানসহ অনেকে।
সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত অনেকেই এ উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলেন। কিন্তু যখনই উপল ঘরে ফেরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই হঠাৎ ‘ক্রিমসন কাপ’-এ শুভেচ্ছা, শুভ কামনা জানাতে উপস্থিত হন তারকা দম্পতি নাইম শাবনাজ। দুজনকে হঠাৎ নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত দেখে ভীষণ খুশি হন উপল। অবশ্য নাইম-শাবনাজও ভীষণ খুশি ছিলেন সেখানে উপস্থিত হয়ে। কারণ, উপলের পরিবারের সঙ্গে নাইম-শাবনাজের সম্পর্ক পারিবারিক।
নাইম-শাবনাজের প্রথম চলচ্চিত্র ‘চাঁদনী’র সবগুলো গান লিখেছিলেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। এরপরও তাদের দুজনের অভিনীত আরো অনেক চলচ্চিত্রের গান লিখেছেন তিনি। সেই হিসেবেও একটি আলাদা সম্পর্ক রয়েছে এই পরিবারের সঙ্গে নাইম-শাবনাজের। নাইম বলেন, ‘উপল তার এই কফি শপটিকে বেশ আধুনিকভাবেই গড়ে তুলেছেন। সুন্দর পরিবেশে সত্যিই অন্যরকম সময় কাটল। তার এ ব্যবসার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
শাবনাজ বলেন, ‘উত্তরায় এত চমৎকার পরিবেশের কফি শপ আর নেই বললেই চলে। অবশ্য ক্রিমসন কাপ যেহেতু আমেরিকান চেইনের, তাই এর পরিবেশ অন্য আর কোনোটির সঙ্গে তুলনার প্রশ্নই আসে না। শুভ কামনা উপলের জন্য।’
উপল বলেন, ‘নাইম ভাই ও শাবনাজ আপুর প্রতি কৃতজ্ঞ যে তারা আমাকে দোয়া করতে এসেছিলেন। সেই সঙ্গে আরো যারা এসেছিলেন তাদের প্রতিও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।’
উল্লেখ্য, উপলই প্রথম বাংলাদেশে ২০১৫ সালে বনানীতে প্রথম ‘ক্রিমসন কাপ’ গড়ে তোলেন। উদ্বোধন করেন অনন্ত জলিল ও বর্ষা। এরপর ধানমণ্ডি, উত্তরা, গুলশানে দুটো এবং ঢাকা ক্লাবে তা প্রতিষ্ঠা করেন।

২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন জিহাদের বাবা


রাজধানীর শাহজাহানপুরে পাইপে পড়ে নিহত শিশু জিহাদের পরিবারকে আদালতের আদেশ অনুসারে ২০ লাখ টাকার ‘চেক ও পে-অর্ডার’ দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। আজ রোববার এ তথ্য জানান এ-সংক্রান্ত রিট মামলার আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল হালিম ও জিহাদের বাবা নাসির উদ্দিন। 
ব্যারিস্টার আবদুল হালিম বলেন, ফায়ার সার্ভিস ১০ লাখ টাকার পে-অর্ডার এবং রেলওয়ে ১০ লাখ টাকার চেক দিয়েছে বলে শুনেছি। কিন্তু মঙ্গলবার  আদালতে মামলাটির তারিখ রয়েছে। এর মধ্যে আমি হলফনামা না পাওয়া পর্যন্ত বিষয়টি পরিষ্কার করতে পারব না। 
তবে জিহাদের বাবা নাসির উদ্দিন বলেন, গত ৬ তারিখ আমাকে চেক দিয়েছে। আমি ও আমার স্ত্রী খাদিজার নামে উত্তরা ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় যৌথ অ্যাকাউন্ট খুলেছি। গত বৃহস্পতিবার চেক জমা দিয়েছি। সোমবার ব্যাংকে যাব টাকা জমা হয়েছে কি না দেখব।    
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহম্মেদ খান জানান, আদালতের আদেশ মোতাবেক জিহাদের পরিবারকে অর্থ দেওয়া হয়েছে।  
২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বাসার কাছে শাজাহানপুর রেলওয়ে মাঠের পাম্পের পাইপে পড়ে যায় জিহাদ। প্রায় ২৩ ঘণ্টা পর ২৭ ডিসেম্বর বিকেল ৩টার দিকে জিহাদকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এরপর শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 
এরপর ২৮ ডিসেম্বর জিহাদের পরিবারের জন্য ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে ‘চিল্ড্রেন চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’র পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল হালিম হাইকোর্টে রিট করেন। পরে ২০১৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি শিশু জিহাদের পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না— তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ। 
রুলের শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের রায়ে শিশু জিহাদের পরিবারকে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে ১০ লাখ এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষকে ১০ লাখ টাকা (মোট ২০ লাখ টাকা) ৯০ দিনের মধ্যে তার বাবা-মার কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

দ্বিতীয় দিনের জন্য সরকারবিরোধী বিক্ষোভে রাস্তায় রোমানীয়রা

টানা দ্বিতীয় দিনের জন্য সরকার বিরোধী বিক্ষোভে রাস্তায় নেমেছে রোমানিয়ার বাসিন্দারা। পুরো দেশজুড়ে বিরাজ করছে অস্থিরতা। প্রথম দিনের বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৪৫০ জন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন। খবর আল জাজিরার। 
 
খবরে বলা হয়, রোমানিয়া, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন(ইইউ) ও অন্যান্য পতাকা নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানী বুখারেস্টে সরকারি কার্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভ করেছে রোমানীয়রা। এর আগে শুক্রবার একই জায়গায় বিক্ষোভে নামে তারা।  
 
শুক্রবারের বিক্ষোভে বহু বিদেশ-ফেরত রোমানীয়ও যোগ দিয়েছিলেন। দেশে চলমান উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতি, কম মজুরি ও ক্ষমতাসীন সোশ্যাল ডেমোক্রেট পার্টির বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে দেশে ফিরে গিয়েছিলেন তারা। 
 
শুক্রবারের বিক্ষোভে বিক্ষোভকারীদের ওপর জল-কামান ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করেছিল পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা তাদের বাম-পন্থী সরকারের পদত্যাগের আহবান জানায়। বিক্ষোভে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে ৩০ পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ১১ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 
 
এদিকে, শুক্রবারের বিক্ষোভ বেশ উত্তাল থাকলেও। শনিবারের বিক্ষোভ ছিল অনেকটা শান্ত। শনিবারের বিক্ষোভে ৫০ হাজার মানুষ যোগ দিয়েছিল। 

ইন্দোনেশিয়ায় বিমান দুর্ঘটনায় আটজন নিহত

ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলের পার্বত্য এলাকায় বিমান দুর্ঘটনায় ১২-বছর বয়সী একটি বালক বেঁচে গেলেও বাকী আট আরোহীর সকলেই প্রাণ হারিয়েছে। রবিবার দেশটির কর্তৃপক্ষ একথা জানায়। 
 
বিমানটি উড্ডয়নের পর পাপুয়া প্রদেশে একটি দুর্গম এলাকায় পৌঁছার ৪০ মিনিটের মধ্যেই শনিবার এয়ার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে এটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে রবিবার ভোরে ওকসিবিল উপজেলার পর্বতের পাশে ঘন জঙ্গল এলাকায় বিমানটির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়। 
 
পাপুয়া প্রদেশের সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেন, ধ্বংসাবশেষ থেকে আটজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কজনকে জীবিত পাওয়া গেছে।
 
তিনি এএফপিকে জানান, এই মুহূর্তে দুর্ঘটনার কারণ জানা যায়নি। তবে তদন্ত চলছে। বেসরকারি কোম্পানির ওই বিমানটিতে সাত যাত্রী ও দুই ক্রু সদস্য ছিলেন।

মিম ও রাজিবের পরিবারকে ৫ লাখ করে টাকা দিবে জাবালে নূর

রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তাদের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে দেবে জাবালে নূর পরিবহণ কর্তৃপক্ষ।
 
আজ রবিবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) দাখিল করা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পরে আদালত এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেছে।
 
এর আগে গত ৩০ জুলাই আজকের দিনে (১২ আগস্ট) বিআরটিএ-কে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের জন্য জাবালে নূর পরিবহণ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
 
এছাড়া কুর্মিটোলার ওই দুর্ঘটনায় জাবালে নূর পরিবহণের দায় নির্ধারণে তদন্ত প্রতিবেদন দুই মাসের মধ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালকের প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এতে সহায়তা করবে পুলিশ কমিশনার ও বিআরটিএ।
 
২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে এমইএস বাস স্ট্যান্ডে জাবালে নূর পরিবহণের একটি বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। একই ঘটনায় আহত হয় ১০-১৫ জন শিক্ষার্থী। চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যাওয়া দুই শিক্ষার্থী হলেন শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল করিম রাজিব।

Saturday, August 4, 2018

নারীর আদর্শ ফাতেমা জোহরা (রা.)


উম্মতকে আবেদন-সম্পন্ন পুণ্যবান আদর্শের অনুসরণ এবং বক্তব্য, পদ্ধতি ও প্রয়োগে তাকে উপমা হিসেবে গ্রহণের মাধ্যমে মার্জিত আচরণ ও উন্নত মূল্যবোধে দীক্ষিত করা মুসলিম ব্যক্তিত্ব গঠনের অন্যতম সেরা নেয়ামক ও মৌলিক ভিত্তি। নিজ ধর্ম পরিচয় নিয়ে গর্বিত যে ব্যক্তিত্বের ব্যাপক প্রয়োজন আমরা অনুভব করি এ যুগে।
পুণ্যময় আদর্শের নেয়ামকের গুরুত্ব এবং গঠন, শিখন ও নির্মাণে এর কার্যকর প্রভাবের কারণেই আল্লাহ তায়ালা তাঁর নবী (সা.) কে আদেশ দিয়েছেন ধৈর্য ধরতে, যেমন ধৈর্য ধরেছেন উচ্চ সাহসী পয়গম্বররা। তিনি বলেন, ‘অতএব আপনিও তাদের পথ অনুসরণ করুন।’ (সূরা আনআম : ৯০)। আল্লাহ আমাদের জন্যও তুলে ধরেছেন আদর্শের অনুপম সব উপমা, যারা ছিলেন কালের-কপালে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। যেমন নবীরা (আলাইহিমুস সালাম), ফেরাউন পরিবারের ঈমানদার ব্যক্তি, আল্লাহর প্রজ্ঞাময় পুণ্যবান বান্দা লোকমান, মরিয়ম বিনতে ইমরান ও ফেরাউনের স্ত্রীসহ অন্য আরও অনেকে।
তবে আল্লাহর প্রশংসা করা উজ্জ্বল আদর্শগুলোর মধ্যে মহত্তম হলেন আমাদের নেতা, আমাদের নবী মুহাম্মদ (সা.)। যাঁর সম্পর্কে আল্লাহ বলেছেনÑ ‘তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।’ (সূরা আহজাব : ২১)। সেহেতু নবী (সা.) হলেন স্থান ও কালের ঊর্ধ্বে নিজ কথা ও কাজে, আচার-আচরণে ও ছোট-বড় বিষয় প্রবর্তন ও অনুমোদনে আদর্শ উপমা। আর নবী (সা.) এর পবিত্র নবুয়তি আদশ সঞ্চারিত হয়েছে তাঁর সন্তান ও স্ত্রীদের মাঝে। তাই তো সহিহ বর্ণনা মতে, আদেশ করা হয়েছে তাঁর সন্তান ও স্ত্রীদের ওপরও দরুদ পড়তে। ফলে তাঁরাও পরিণত হয়েছেন বিশ্ববাসীর জন্য আদর্শ। আল্লাহ বলেন, ‘হে নবী পতœীরা! তোমরা অন্য নারীদের মতো নও।’ (সূরা আহজাব : ৩২)। তিনি আরও এরশাদ করেন, ‘হে নবী-পরিবার, আল্লাহ শুধু চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদের পূর্ণরূপে পূতঃপবিত্র রাখতে।’ (সূরা আহজাব : ৩৩)।
পবিত্র নবী-পরিবারের উজ্জ্বলতম আদর্শ হলেন তাঁর কন্যা পবিত্র ও পুণ্যবতী মহান তনয়া ফাতেমাতুজ জোহরা (রা.)। আল্লাহ এই পুণ্যবতী নারীনেত্রীকে মনোনীত করেছেন। তার ব্যক্তিত্বে সন্নিবেশ ঘটিয়েছেন বিবিধ শ্রেষ্ঠত্ব ও পূর্ণতম গুণাবলি, যা তাকে উন্নীত করেছে মর্যাদা ও সম্মানের উঁচু আসনে।
তিনি লালিত-পালিত হয়েছেন নবীগৃহে। শিক্ষাগ্রহণ করেছেন নিজ পিতা নবীসম্রাটের আলয়ে। শিক্ষা নিয়েছেন সরাসরি রিসালাতের চেরাগদান থেকে। সুধা পান করেছেন আপন পতি ইমাম আলী (রা.) এর ইলম ও ফিকহ এবং জ্ঞান ও প্রজ্ঞা থেকে। অর্জন করেছেন উচ্চতর স্তর ও মহানতর প্রশংসা। ইতিহাস লিপিবদ্ধ করেছে তার অনুপম অবস্থা। ধারণ করেছে তার নিজ প্রভু ও পিতা এবং স্বামী সমাজের সঙ্গে মহত্তর চিত্র। কে আছে তার মর্যাদা স্পর্শ করবে? দুনিয়ার কোনো নারী আছে যে তার সমকক্ষ হবে?
মক্কায় তার জন্ম পিতার নবুয়ত প্রাপ্তির পাঁচ বছর আগে, যখন কোরাইশরা কাবা নির্মাণ করছিল। তার গর্ভধারিণী খাদিজা বিনতে খুয়াইলিদ (রা.) নবীজির হৃদয়ে ভালোবাসার প্রিয়পতœী। যিনি বিখ্যাত সব ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী।
ফাতেমা (রা.) ছিলেন নবীজি (সা.) এর সর্বকনিষ্ঠ কন্যা। ছিলেন পিতার সবচেয়ে প্রিয় সন্তান। কারণ তিনিই শুধু জন্মলগ্ন থেকে নবীজির শেষদিন অবধি পিতার সঙ্গে ছিলেন। নবীজীবনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলো সরাসরি দেখেছেন। প্রত্যক্ষ করেছেন পিতার নানা অবস্থা ও বিস্ময়কর ঘটনা। শরিক হয়েছেন নবীজির দ্বীন প্রচারের নানা কষ্ট, দুর্যোগ ও দুর্ভাবনায়।
একদিন নবী (সা.) কাবার সামনে সিজদাবনত। মোশরেকরা এসে তাঁর মাথায় তুলে দিল উটের নাড়িভুঁড়ি। ছোট্ট বালিকা ফতেমা ছুটে এলেন। রাসুলুল্লাহর মাথা থেকে অপসারণ করলেন এই বোঝা। উহুদ যুদ্ধে গ- মোবারক বিক্ষত হলো। গলগল করে গড়িয়ে পড়তে লাগল রক্ত। ফাতেমা (রা.) এসে গাল ধুয়ে দিতে লাগলেন যতক্ষণ না রক্ত বন্ধ হয়।
একবার মোশরেকরা নবীজির মাথায় মাটি নিক্ষেপ করল। ফাতেমা (রা.) ছিলেন সেখানে দাঁড়ানো। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বাবার মাথা পরিষ্কার করতে লাগলেন। নবী (সা.) তাঁকে সান্ত¡না দিয়ে বলতে লাগলেনÑ ‘আমার প্রিয় আত্মজা, কেঁদো না। নিশ্চিত থেকো আল্লাহই তোমার পিতার সাহায্যকারী।’
তিনি ইলম শিখেছেন সরাসরি আল্লাহর রাসুলের মুখ থেকে। পরিণত হয়েছেন হাদিস বর্ণনাকারী। হাদিসগ্রন্থগুলোয় তাঁর বর্ণিত হাদিস প্রচুর। নবীজির আখলাকই ছিল তার আখলাক। পিতার শেখানো আদবই ছিল তার শিষ্টাচার। মানুষ তাকে দেখলে নবীজির কথা মনে পড়ত। এমনকি তার চালচলন ছিল হুবহু নবীজির চালচলনের মতো। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘আমি ওঠাবসার ধরন-ধারণ ও আচরণে ফাতেমার চেয়ে আর কাউকে নবীজির সঙ্গে অধিক সাদৃশ্যপূর্ণ দেখিনি।’
তিনি ছিলেন পিতার আদরের দুলালী। যখনই তিনি মেয়েকে নিজের দিকে আসতে দেখেন, তার দিকে এগিয়ে যেতেন। তাকে জড়িয়ে ধরে নিজের পাশে নিয়ে বসাতেন। বলতেন, ‘স্বাগতম হে আমার মেয়ে।’ নবীজি সফর থেকে এসে আত্মজা ফাতেমার ঘরে গিয়ে সালাম আর দোয়া করার আগ পযন্ত স্ত্রীদের ঘরে যেতন না।
ফাতেমা (রা.) এর একটি অনন্য মর্যাদা হলো এই যে, নবীজি (সা.) তাকে, আলী ও হাসান-হুসাইন (রা.) কে জড়িয়ে ধরেছেন। তারপর তাদের চাদর মেলে দিয়ে দোয়া করেছেনÑ ‘হে আল্লাহ, এরা আমার আহলে-বাইত (পরিবার-পরিজন)। এদের কষ্ট দূর করুন এবং এদের পুরোপুরি পবিত্র করুন।’ (তিরমিজি)। তার মর্যাদা এমন উঁচুতে উপনীত যে, নবী (সা.) তাঁর সম্পর্কে বলেন, ‘ফাতেমা আমার অংশ। তার যা অপছন্দ, আমারও তাই অপছন্দ। তাকে যা কষ্ট দেয়, আমাকেও তাই কষ্ট দেয়।’ (বোখারি ও মুসলিম)।
নবী (সা.) এর বংশধারা আল্লাহ একমাত্র তাঁর ও তাঁর দুই পুত্র হাসান-হুসাইনের (রা.) মাধ্যমেই টিকিয়ে রেখেছেন। যেমনটি বর্ণনা করেছেন হাকেম ও বায়হাকি : ‘কেয়ামত পর্যন্ত সব বংশধারাই বন্ধ হয়ে যাবে, শুধু আমার আর আমার নাতিদের বংশ টিকে থাকবে।’
১৪ জিলকদ ১৪৩৯ হিজরি মসজিদে হারামে প্রদত্ত জুমার খুতবা মক্কা থেকে অনুবাদ করে পাঠিয়েছেন আলী হাসান তৈয়ব

 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates