Social Icons

Thursday, January 31, 2019

ব্রাজিলে রিফুজি আবেদনকারীরা মিথ্যে তথ্য দিলেই গ্রেফতার ।


ব্রাজিলে অভিবাসীদের জন্য নতুন আইন কার্যকর হয়েছে ।সরকারের করা নতুন আইন অনুসারে যদি কোন বিদেশী নাগরিক ব্রাজিলে রিফুজি আবেদন করেন তাহলে সেই আবেদন  বিশেষ বিবেচনার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় । আবেদনকারীর সত্যতা বিবেচনা করে তাকে ব্রাজিলে থাকার অনুমতি দেওয়া হয় । ইতিমধ্যে ব্রাজিল সরকার দেশটিতে লক্ষ লক্ষ বিদেশি নাগরিককে থাকার অনুমতি দিয়েছে । কিন্তু ব্রাজিল আইন মন্ত্রণালয়ের দাবি ব্রাজিল সরকারের উদাসীনতার সুযোগ নিয়ে একটি বিশেষ মহল মিথ্যা তথ্য দিয়ে ব্রাজিলে পার্মানেন্ট ডকুমেন্টস নিয়ে নিচ্ছে এটা দেশটির জন্য অবশ্যই বিপদজনক ।
তাই দালাল চক্র ও মিথ্যে তথ্য নির্মূল করতে ব্রাজিলের প্রতিটি পুলিশিয়া ফেডারেলে পোস্টার লাগানো হয়েছে - ব্রাজিলের ভাষা পর্তুগিজ ও ইংরেজি ভাষায় লেখা আছে যদি কোন রিফুজি আবেদনকারী ভুল তথ্য দেয় তাহলে তাকে গ্রেফতার করা হবে । শাস্তির পরে তার নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে ।
সেই সাথে দালাল চক্র কে চিহ্নিত করতে ওত পেতে আছে পুলিশের একটি বিশেষ টিম ।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে রিফুজি আবেদনকারীরা যেন সাবধানতা অবলম্বন করে । কোন প্রকার ভুল তথ্য যেন না দেয় । মিথ্যে তত্ত্বের প্রমাণ পেলে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে ।

নিজেই করুন নিজের পাসপোর্ট

অনলাইনে নিজেই নিজের পাসপোর্ট সম্পর্কিত কাজ করুন কোনো দালাল ছাড়া। আসুন জেনে নেই পাসপোর্ট করার অনুসরণীয় ধাপসমূহ।
প্রথম ধাপ: টাকা জমা
অনলাইনে পাসপোর্ট করতে হলে প্রথমে টাকা জমা দিতে হবে। কেননা অনলাইনে ফর্ম পূরণ করার সময় টাকা জমা দেওয়ার তারিখ এবং জমাদানের রিসিটের নম্বর উল্লেখ করার প্রয়োজন হয়। তাই ফর্ম পূরণের আগে টাকা জমা দিতে হবে। রেগুলার ফি ৩ হাজার ৪৫০ টাকা এবং জরুরি পাসপোর্ট করতে হলে তার ফি ৬ হাজার ৯০০ টাকা। এখন এই কাজটি অনেক সহজে করা যায়, এর জন্য বিকাশ রকেট বা শিউর ক্যাশে টাকা জমা দেয়া যাবে।
দ্বিতীয় ধাপ: অনলাইনে ফরম পূরণ
এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। খুব মনোযোগ দিয়ে অনলাইনের ফরম পূরণ করতে হবে। যেন কোনো ভুলত্রুটি না হয়। অনলাইনে ফরম পূরণের জন্য প্রথমে পাসপোর্ট অফিসের এ সাইটে যেতে হবে। তারপর "I have read the above information and the relevant guidance notes" টিকচিহ্ন দিয়ে "continue to online enrollment" এ ক্লিক করতে হবে।
আপনার নাম ও ব্যক্তিগত তথ্যাদি- যেমন: আপনার নাম, পিতা-মাতার নাম। এই নামগুলো যেন শিক্ষাগত সার্টিফিকেট কিংবা জাতীয় পরিচয়পত্রের মতো একই হয়। কোনো তথ্য ভুল হলে পাসপোর্টে হতে সমস্যা হবে। মেইল অ্যাড্রেস ও মোবাইল নম্বর দেয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই যেটি ব্যবহৃত হচ্ছে সেটি দেয়া উচিত। টাকা জমা দেয়ার তারিখ এবং রিসিট নম্বর দিতে হবে। পাসপোর্ট টাইপ সিলেক্ট করতে হবে ‘ordinary’। যে অংশগুলো লাল স্টার মার্ক দেয়া রয়েছে, সেগুলো অবশ্যই পূরণ করতে হবে। Delivery Type অংশে ৩০ দিনের জন্য হলে Regular এবং ১৫ দিনের জন্য হলে Express সিলেক্ট করতে হবে।
সম্পূর্ণ ফরমটি পূরণ হলে পুনরায় এটি চেক করতে হবে। সব তথ্য টিক আছে কি না, তা যাচাই করে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে। সবশেষে পূরণ করা ফরমটি সাবমিট করতে হবে। সফলভাবে সাবমিট করা হলে পূরণ করা ফরমের একটি পিডিএফ কপি যে ইমেইল অ্যাড্রেস দিয়ে ফরম পূরণ করা হয়েছে, সেখানে চলে আসবে।
তৃতীয় ধাপ: ফরমের প্রিন্ট এবং সত্যায়ন
এবার মেইলে আসা পিডিএফ কপির ২ কপি কালার প্রিন্ট করতে হবে। এতে আবেদনকারীর স্বাক্ষর করার স্থনে সই করতে হবে। এবার নিজের চার কপি ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি এবং পাসপোর্ট ফর্ম নিয়ে পরিচিত কোনো প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার কাছ থেকে সত্যায়িত করে নিতে হবে। পরিচিত কাউকে দিয়ে সত্যায়ন করালে ভালো। কারণ ওই কর্মকর্তার নাম, যোগাযোগ ও ফোন নম্বর এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ফরমে লিখতে হয়।
চতুর্থ ধাপ: পুরো ফরম রিচেক
সত্যায়িত ছবি এবং ব্যাংকের রিসিট আঠা দিয়ে ফরমের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপিটিও প্রিন্ট করা ফরমটির সঙ্গে যুক্ত করে দিতে হবে। শিক্ষার্থী হিসেবে আবেদন করলে অবশ্যই স্টুডেন্ট আইডি কার্ডের ফটোকপি সত্যয়িত করে ফরমের সঙ্গে যুক্ত করতে দিতে হবে। এসব ধাপ শেষ করলে ফর্মটি জমা দেয়ার জন্য প্রস্তুত।
পঞ্চম ধাপ: ফরম জমা এবং ছবি তোলা
অনলাইনে ফরম পূরণের জন্য ১৫ দিনের মধ্যে ফরমের প্রিন্ট কপি, সত্যায়িত ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং স্টুডেন্ট আইডি কার্ডের ফটোকপি নিয়ে যেতে হবে পাসপোর্ট অফিসে।
পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার সময় অবশ্যই সাদা পোশাক পরবেন না। সকালের দিকে পাসপোর্ট অফিসে গেলে ভালো হয়। তখন লাইনে ভিড় কম থাকে। সরাসরি মেইন গেট দিয়ে মূল অফিসে ঢুকতে হবে। সেখানে দায়িত্বরত সেনা সদস্যকে জিজ্ঞেস করুন, কোন রুমে যেতে হবে। সাইন শেষে জানিয়ে দেয়া হবে ছবি তোলার জন্য কোন রুমে যেতে হবে।
এরপর নির্দিষ্ট রুমে গিয়ে সিরিয়াল আসলে ছবি তোলার জন্য ডাক পড়বে। ছবি তোলার পর ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে হবে। এবার পাসপোর্ট রিসিভের একটা রিসিট দেয়া হবে। পুলিশ ভেরিফিকেশন সাপেক্ষে, রিসিট পাওয়ার এক মাস বা ১৫ দিনের মধ্যেই আপনি পাসপোর্ট পাবেন।
আপনাকে দেয়া রিসিটটির নিচের লাইনের নিয়ম অনুসরণ করে মোবাইল থেকে ম্যাসেজ দিয়ে আপনার পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থা জানতে পারবেন। নির্ধারিত দিনে রিসিটটি নিয়ে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে।

স্বামীর মৃত্যুর পরে কি দেনমোহর পরিশোধ করতে হয়?

বিয়ে সামজিক নিয়ম ও পারিবারিক বন্ধন। বিয়ের মাধ্যমে নর-নারী হৃদয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়। সংসারজীবনে ভুল বোঝাবুঝি থেকে শুরু করে বিভিন্ন কারণে নামে বিষাদের ছায়া। জীবনে চূড়ান্ত বিপর্যয় থেকে স্বামী-স্ত্রী উভয়কে রক্ষার জন্য ইসলামে তালাকের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। তবে বিয়েতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে দেনমোহর।
বিয়ের কাবিননামায় স্বাক্ষর ও মৌখিকভাবে বিয়ে পড়ানোর পর সহবাস করার আগে দেমোহর দেয়ার নিয়ম থাকলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তা মানা হয় না। তবে বিয়ের পরে যদি দেনমোহর পরিশোধ করতে বিলম্ব হয় তবে স্ত্রীর কাছ থেকে নির্দিষ্ট করে সময় চেয়ে নিতে হবে ও অবশ্যই দেনমোহর পরিশোধ করতে হবে।
মনে রাখতে হবে, স্ত্রীর কাছে দেমোহর হচ্ছে স্বামীর ঋণ। স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাক দেয় বা স্ত্রী যদি স্বামীকে তালাক দেয় বা স্বামীর যদি মৃত্যু ঘটে তবে অবশ্যই দেনমোহর পরিশোধ করতে হবে। দেনমোহর পরিশোধ করা ইসলামে বাধ্যতামূলক। দেনমোহর পরিশোধ না করলে শেষ বিচারের দিন আল্লাহর কাছে জাবাবদিহি করতে হবে।
আবু দাউদ শরিফে বিবাহ অধ্যায়ে দেনমোহর সম্পর্কে ৩৮০৮নং হাদিসে বিস্তারিত বলা হয়েছে। স্ত্রীর মোহর ফাঁকি দেওয়া অতি হীন কাজ। হাদিসে তাকে বলা হয়েছে ‘ব্যভিচারী’।
দেনমোহর কী?
মুসলিম বিয়েতে দেনমোহর হচ্ছে স্বামীর কাছ থেকে স্ত্রীর একটি বিশেষ অধিকার। দেনমোহর সাধারণত বর ও কনের সামাজিক অবস্থান অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। দেনমোহর হিসেবে যে কোনো পরিমাণ অর্থ নির্ধারণ করা যায়। কিন্তু কোনো অবস্থায়ই স্বামী ন্যূনতম ১০ দিরহাম বা সমপরিমাণ অর্থ অপেক্ষা কম নির্ধারণ করতে পারবেন না। মুসলিম আইনানুযায়ী দেনমোহর বিয়ের একটি অন্যতম শর্ত। দেনমোহর স্বামী কতৃর্ক স্ত্রীকে পরিশোধযোগ্য একটি আইনগত দায়।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেনমোহর দেয়া হয় না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তালাকের পরে দেনমোহর দেয়া হয়। আর দেনমোহর নিয়ে বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন ধরনের ভুল ধারণা রয়েছে। দেনমোহর সম্পর্কে গুরুপূর্ণ কিছু তথ্য নিচে তুলে ধরা হলো।
দেনমোহর হচ্ছে ঋণ
স্ত্রীর কাছে দেনমোহর হচ্ছে স্বামীর ঋণ। স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাক দেয় বা স্ত্রী যদি স্বামকে তালাক দেয় বা স্বামীর যদি মৃত্যু ঘটে তবে অবশ্যই দেনমোহর পরিশোধ করতে হবে।
অনেকে মনে করেন, স্বামী তালাক দিলে শুধুমাত্র দেনমোহর দিতে হয়। কিন্তু এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। দেনমোহরের সঙ্গে তালাকের কোনো সম্পর্ক নেই। স্বামী বা স্ত্রী যেই তালাক দিক না কেন দেনমোহর অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে। দেনমোহর পরিশোধের বিকল্প কিছু নেই। শুধু স্ত্রী যদি মাফ করে দেন সেক্ষেত্রে মাফ হতে পারে।
কিন্তু মনে রাখতে হবে, দেনমোহর একটি ঋণ। তালাকের পরবর্তী সময়ের দেনমোহর পরিশোধের আগে যদি স্বামীর মৃত্যু হয় তবে স্বামীর জমাকৃত নগদ টাকা কিংবা প্রাপ্ত সম্পত্তি থেকে স্বামীর স্বজনদের দেনমোহর পরিশোধ করতে হবে। স্ত্রী দেনমোহর পরিশোধের পরেই কেবল মৃত স্বামীর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি সন্তানদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা হবে। এবং সেখানে স্ত্রী একটি অংশ থাকবে।
স্ত্রী যদি ক্ষমা করেন
দেনমোহর হলো স্ত্রীর কাছে স্বামীর ঋণ। কাবিননামায় দেনমোহরের বিষয়ে উল্লেখ থাকে। দাম্পত্যজীবন শুরু করার সময় স্বামীকে এই দেনমোহর পরিশোধ করতে হয়। স্ত্রী ক্ষমা করা ছাড়া এই ঋণ পরিশোধের বিকল্প কিছু নেই।
উশুল
কাবিননামায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে উশুল। বিয়ের সময় স্বামী যদি স্ত্রীকে গহনা বা অন্য কোনো জিনিস দিয়ে থাকে এবং তা যদি কাবিননামায় লিখিতভাবে উল্লেখ থাকে তবে কাবিনের টাকা থেকে কর্তন যাবে।
স্বামীর মৃত্যু
তালাকের পরবর্তী সময়ে যদি স্বামীর মৃত্যু হয় তবে স্বামীর রেখে যাও প্রাপ্ত সম্পত্তি থেকে দেনমোহর পরিশোধ করতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটানোর সুযোগ নেই।
আদালতে মামলা
স্বামী যদি দেনমোহর পরিশোধ না করে তবে স্ত্রী আদালতে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে।
তবে সম্প্রতি অনেকে বিয়েতে আমরা দেখে থাকি অনেক ভারি অঙ্কের কাবিন করা হয়। কাবিন হচ্ছে ইসলামের বিধান অনুযায়ী নারীকে সম্মান করা। স্বামীর সমর্থন অনুযায়ী কাবিন করতে হবে। জোরপূর্বক অতিরিক্ত অর্থের কাবিন ইসলামে গ্রহণযোগ্য নয়।
মাওলানা হুসাইনুল বান্না, সহকারী অধ্যাপক, উর্দু বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

গণফোরামের কেউ শপথ নেবে না: ড. কামাল

গণফোরামের নির্বাচিত দুইজন সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেবেন না বলে জানিয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে বৈঠকে শেষে তিনি এ কথা জানান।
ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত আগেই জানিয়ে দিয়েছি। গণফোরাম থেকে নির্বাচিত দুইজন সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেবে না।
এছাড়া বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ৩০ ডিসেম্বর ভোট ডাকাতির প্রতিবাদে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে বিকাল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত কালো পতাকা প্রদর্শন করা হবে।
তিনি বলেন, এছাড়া আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রার্থীদের নিয়ে গণশুনানি হবে। গণশুনানির সময় এবং স্থান পরবর্তীতে জানিয়ে দেয়া হবে।
এদিন বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে শুরু হয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক।
ড. কামাল হোসেন ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরাম নেতা সুব্রত চৌধুরী, ডক্টর রেজা কিবরিয়া, জগলুল হায়দার আফ্রিক, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ভোট ডাকাতির অভিযোগে ফল প্রত্যাখ্যান করা বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও সুলতান মনসুর শপথ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
এর আগে শপথ নেয়ার বিষয়ে সুলতান মনসুর বলেন, গণফোরাম শপথের বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবে। আর নেতিবাচক সিদ্ধান্ত নিলেও তিনি শপথ নেয়ার সিদ্ধান্তে অনঢ় থাকবেন। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে তিনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করবেন। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ যদি তাকে ডাকে তাহলে তিনি তা চিন্তা করবেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যদি আমাকে ডাকে তা হলে চিন্তা করতে পারি। কারণ আমাকে তো আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়নি।
তিনি কোনো দলে যোগদান করেননি উল্লেখ করে সুলতান মনসুর বলেন, আওয়ামী লীগ থেকে আমাকে কেউ বের করে দেয়নি। আর আমি কোনো দলে যোগদানও করিনি। আমি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। গণফোরাম থেকে নির্বাচনে গেছি। কারণ গণফোরামে বঙ্গবন্ধুর চিন্তার মিল আছে।
সুলতান মোহাম্মদ মনসুর যুগান্তরকে বলেন, আমরা কখনও বলিনি শপথ নেব না। ড. কামাল হোসেনও বলেছেন- শপথ নেয়ার ব্যাপারে আমরা ইতিবাচক। আর এটিই আমাদের কথা।

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে চায় ব্রাজিল: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ব্রাজিলের সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের আরো উন্নয়ন ঘটাতে এবং উন্নয়নের অংশিদার হতে চায়। 
আজ বুধবার আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে সচিবালয় তার কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত জোয়াও তাবাজারা ডি অলিভেইরা জুনিয়র দেখা করতে এসে এ আগ্রহের কথা জানান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা আমাদের কৃষি ক্ষেত্রে সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগাতে পারি এবং সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্রগুলো খুঁজে বের করতে পারি। দুই দেশের মধ্যে কৃষির ধারণাগুলো পাস্পারিক বিনিময়ের মাধ্যমে এক্ষেত্রে আরো উন্নয়ন সম্ভব।
ব্রাজিল বাংলাদেশের গার্মেন্টসের একজন বড় ক্রেতা উল্লেখ্য করে তিনি জানান, বাংলাদেশের গার্মেন্টসে উৎপাদিত পণ্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক ভালো। ব্রাজিলে বাংলাদেশ থেকে প্রথম গো-সম্পদ যায়। যেটি এখন সে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হিসেবে পরিণত হচ্ছে। ব্রাজিলে একটি গরু দিনে ১শ’ লিটার পর্যন্ত দুধ দেয় এবং প্রতি কিলোগ্রাম মাংস ৫ ডলার।
কৃষি সর্ম্পকিত পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কৃষি উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের ব্যাপারে তাদের অবহিত করা হয়েছে। পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চত করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এ সময়ে বাংলাদেশের কৃষি বাণিজ্যিকিকরণ ও প্রক্রিয়াতকরণে ব্রাজিলের কারিগরি সহায়ত চান তিনি।
ড. রাজ্জাক বলেন, বর্তমানে রাজনৈতিক পরিবেশ যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক ভালো এবং বিনিয়োগের নিরাপদ পরিবেশ বিরাজ করছে। বিনিয়োগে নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখতে সরকার প্রশ্রিুতিবদ্ধ। ব্রাজিলের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান কৃষিমন্ত্রী।

ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট লুলা ডি সিলভাকে কারাগার থেকে সাময়িকভাবে মুক্তি দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।


২০২৫ সালের আগে কোন নির্বাচন নয়: ভেনেজুয়েলার বর্তমান প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো।

২০২৫ সালের আগে কোন নির্বাচন নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন ভেনেজুয়েলার বর্তমান প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। বুধবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আরআইএ’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
মাদুরো সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি বিরোধী দলের নেতাদের ও আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে ভেনেজুয়েলার বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সমাধান করতে আগ্রহী। তবে তিনি ২০২৫ সালের আগে কোন নির্বাচন দেওয়ার সম্ভাবনার কথা নাকচ করে দেন।
মাদুরো বলেন, 'আমি ভেনেজুয়েলার ভালোর জন্য বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে প্রস্তুত।'
ভেনেজুয়েলার গত বছরের নির্বাচনে মাদুরো ছয় বছরে জন্য প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হন। তবে বিরোধী দল ও বিভিন্ন সংস্থা ওই নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ আনেন।
২০২৫ সালের আগে কোন নির্বাচন নয়: মাদুরো

চলতি সপ্তাহে যেকোন পরিস্থিতি মোকবেলায় সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। ছবি: সংগৃহীত।
গত সপ্তাহে ভেনেজুয়েলার রাজধানী কারাকাসে সরকারবিরোধী এক বিক্ষোভের সময় বিরোধী নেতা হুয়ান গুয়াইদো বর্তমান প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে অবৈধ উল্লেখ করে নিজেকে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেন। সেখানে শপথও নেন তিনি।
গুয়াইদোর এমন ঘোষণার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেন। এছাড়াও আরো কয়েকটি লাতিন আমেরিকান দেশও গুয়াইদোকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে সমর্থন দেয়।
অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর প্রতি সমর্থনের কথা ঘোষণা করে রাশিয়া, চীন, তুরস্ক ও মেক্সিকোসহ আরো কয়েকটি দেশ। এরপর থেকে দেশটিতে চরম রাজনৈতিক সংকটের দেখা দেয়।
এছাড়া কয়েকদিন আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রভাবশালী কয়েকটি দেশ মাদুরোকে আট দিনের মধ্যে নতুন করে নির্বাচন দেওয়ার আল্টিমেটাম দেন। আট দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন না দিলে বিরোধী নেতা হুয়ান গুয়াইদোকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার হুমকি দেন তারা।
তবে মাদুরো ইইউ নেতাদের এমন আল্টিমেটাম প্রত্যাখ্যান করেন।
অন্যদিকে আজ বুধবার বিরোধী নেতা হুয়ান গুয়াইদোর বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটির সুপ্রিমকোর্ট। একই সঙ্গে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বন্যায় সৌদি আরবে নিহত ১২

ভারী বর্ষণে সৌদি আরবে সৃষ্ট বন্যায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছে আরো ১৭০ জন। দেশটি পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়। খবর আরব নিউজের।
সৌদি আরবের বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষ জানায়, ভারী বর্ষণে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার দেখা দিয়েছে।এতে তাবুক এলাকায় ১০ জন, মদিনায় ১জন এবং উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তে ১ জন মারা যায়।
বন্যায় সৌদি আরবে নিহত ১২

এছাড়া বন্যায় আটকে পড়া ২৭১ জন ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে খবরে বলা হয়েছে।
এর আগে রবিবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারী বর্ষণে সৌদি আরবে সৃষ্ট ব্যাপক বন্যায় ভেসে গেছে মদিনার রাস্তা। শহরের বড় বড় রাস্তা ও স্কুল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এছাড়া বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলটি। এসময় জনগণকে গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকাসহ সর্বোচ্চ পূর্বসতর্কতা অবলম্বনের জন্য বলেছে সিভিল ডিফেন্স।

ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে সরাতে সেনাদের সঙ্গে হাত মেলাতে চান গুয়াইদো .

ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে দেশটির সামরিক বাহিনীর সমর্থন জরুরি। বুধবার নিউইয়র্ক টাইমস-এ দেশটির বিরোধী দলীয় নেতা জুয়ান গুয়াইদো একথা লেখেন। খবর এএফপি’র।
গুয়াইদো বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কয়েকবার গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অধিকাংশ বৈঠকে সামরিক সদস্যরা সম্মত হন যে দেশে এমন অবস্থা আর চলতে পারে না।
গুয়াইদো লিখেন, ‘সরকারের পরিবর্তন আনতে মাদুরোর প্রতি থাকা সামরিক বাহিনীর সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয়া গুরুত্বপূর্ণ এবং সামরিক বাহিনীর অধিকাংশ সদস্য এ ব্যাপারে সম্মত হন যে দেশের সাম্প্রতিক ভোগান্তি আর মেনে নেয়া যায় না। সরকার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সামরিক বাহিনীর সমর্থন প্রয়োজন। আমরা সশস্ত্র বাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কয়েকবার গোপন বৈঠক করেছি।’
এদিকে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স টুইটারে এক বার্তায় বলেন, ‘আমেরিকা ভেনিজুয়েলার জনগণের সাথে রয়েছে।’
মাদুরোকে সরাতে সেনাদের সঙ্গে হাত মেলাতে চান গুয়াইদো

গত সপ্তাহে গুয়াইদো নিজেকে ভেনিজুয়েলার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি যুক্তি তুলে ধরে বলেন, মাদুরোর পুনঃনির্বাচন ছিল অবৈধ। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির প্রেসিডেন্ট হিসেবে এ ব্যাপারে সাংবিধানিকভাবে পদক্ষেপ নেয়ার তার বৈধতা রয়েছে।
তিনি দ্রুত যুক্তরাষ্ট্র এবং ল্যাটিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশের সমর্থন পান। পাশাপাশি ইউরোপীয় গুরুত্বপূর্ণ ছয়টি দেশ সপ্তাহান্ত নাগাদ নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে মাদুরোর প্রতি আহবান জানান। এক্ষেত্রে তিনি ব্যর্থ হলে বিরোধী পক্ষকে তারা স্বীকৃতি দেবে।

সৌদি আরবে দুর্নীতির ১০ হাজার কোটি ডলার জব্দ

সৌদি আরবের দুর্নীতি বিরোধী অভিযান শেষে ১০ হাজার কোটি ডলার জব্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সৌদি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সৌদ আল মোজেব অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। খবর গার্ডিয়ানের।
তিন মাস ধরে চলা এই অভিযানে নামকরা অনেক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। সৌদি কর্তৃপক্ষের দাবি, যাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ ছিল তাদেরকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অভিযানে সম্পদ নিয়ে আত্মসমর্পণ না করায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে রাজপরিবারের নামকরা ৫৬ সদস্যকে। সব মিলিয়ে ১০ হাজার কোটি ডলার জব্দ করা হয়েছে বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
তবে বাস্তবেই এতো পরিমাণ সম্পদ জব্দ করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত নয়। অভিযানের শুরুতে দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যে পরিমাণ সম্পদ জব্দের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন তার চেয়ে দ্বিগুণ অর্থ জব্দ করার ঘোষণা এসেছে।
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সৌদিতে বিভিন্ন সংস্কার কাজ শুরু করেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। দুর্নীতি বিরোধী অভিযানও শুরু করেন তিনি।

Thursday, January 17, 2019

অনিয়মিত অভিবাসীদের বৈধতা দানে পর্তুগিজ সংসদে বিল পাস

দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপের দেশ পর্তুগাল। আটলান্টিক মহাসাগরের দীর্ঘ উপকূল জুড়ে পর্তুগালের অবস্থান। ইউরোপে চমৎকার দীর্ঘ বিচের জন্য বিখ্যাত দেশটি। তাই দেশটিকে ‘সাগর কন্যার দেশও’ বলা হয়ে থাকে। এ ছাড়াও উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে পর্তুগালে দর্শনার্থীদের ব্যাপক আগমন ঘটে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যরূপে যেমন সাবলীল পর্তুগাল তেমনি পর্তুগালকে ইউরোপে অভিবাসীদের ‘স্বর্গরাজ্য’ হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়।
ইউরোপের অন্যান্য দেশে যেখানে অভিবাসীদের বিষয়ে কঠোর নীতি অনুসরণ করে, সেখানে পর্তুগাল বৈধ পন্থায় প্রবেশকারী অভিবাসীদের জন্য সহজ শর্তে রেসিডেন্স (থাকার অনুমতি) প্রদান প্রক্রিয়া চালু রেখেছে। এবার ভিসাবিহীন অনিয়মিত অভিবাসীদের জন্যও নতুন করে পর্তুগিজ সংসদে বিল পাস হয়েছে।



বিলে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৫ সালের জুলাই মাস থেকে যে সকল ভিসাবিহীন অনিয়মিত অভিবাসী পর্তুগালে স্থায়ীভাবে অবস্থানের পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা নম্বরের মাধ্যমে সরকারকে ট্যাক্স প্রদান করে আসছেন তাদেরকে সহজতর এই প্রক্রিয়ায় বৈধতা দেয়া হবে। ২০১৫ সালের ৩০ জুনের আইন ৬৩/২০১৫ এর আলোকে ১ জুলাই ২০১৫ থেকে যারা পর্তুগালে অবস্থান করছেন তারা উল্লেখিত বিলের আওতাধীন।
২০১৮ সালের গ্রীষ্মকালীন ছুটির আগে ১৮ জুলাই (বুধবার) ছিল পর্তুগিজ সংসদ অধিবেশনের শেষদিন। সেই দিনই সংসদ কার্যদিবসে পর্তুগালের ক্ষমতাসীন দল পর্তুগিজ সোশ্যালিস্ট পার্টি অনিয়মিত হয়ে পড়া অভিবাসীদের বৈধতা প্রদানের প্রক্রিয়া সহজ করতে সংসদে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করে। সেসময় বলা হয়, যে সকল অভিবাসী পর্তুগালে শান্তিপূর্ণ অবস্থানের পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তাসহ অর্থনীতিতে অবদান রাখছে তাদের বৈধ করে স্বীকৃতি প্রদান প্রক্রিয়া সহজ করা হবে।



তারই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার পর্তুগিজ সংসদের সাধারণ অধিবেশনে এই বিলটি উত্থাপিত হয় এবং সংসদ সদস্যদের সম্মতিক্রমে বিলটি পাস হয়। শুধুমাত্র পর্তুগালের রক্ষণশীল খ্রিষ্টানসমর্থিত রাজনৈতিক দল সিডিএস-পিপি এই বিলটির বিরোধিতা করে। এ ছাড়া সরকারি অ্যালায়েন্স, বিরোধী দল পিএসডি এবং পর্তুগিজ কমিউনিস্ট পার্টি বিলটিতে সমর্থন জানায়।



পর্তুগালের সরকারি দল সোশ্যালিস্ট পার্টির নীতিনির্ধারণীর অন্যতম সদস্য এবং পর্তুগিজ সরকারের সামাজিক নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা থিয়াগো বারবোজা রিবেইরো সংসদে এই প্রস্তাবটি উত্থাপনের বিষয়টি নিয়ে এর আগে ২০১৮ সনের সংসদের গ্রীষ্মকালীন অধিবেশন শেষে একান্ত আলাপকালে জাগো নিউজকে জানিয়েছিলেন, আমরা অনিয়মিত হয়ে পড়া অভিবাসীদের ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ একটি প্রক্রিয়া তৈরি করেছি। সংসদে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যারা পর্তুগালে বসবাস করছেন এবং সামাজিক নিরাপত্তায় অবদান রাখছেন তাদের জন্য অভিবাসন-সংক্রান্ত বিষয়গুলো সহজ করতে আমরা একমত। সম্ভবত মাসকয়েকের মধ্যে সংসদ থেকে বিস্তারিত আকারে এটি পাস হয়ে আসবে।



এ ছাড়াও দেশটির প্রধানমন্ত্রী এন্তোনিও কস্তাও অভিবাসন বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন। সম্প্রতি এক বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে সহযোগী হতে পর্তুগালের আরও অভিবাসী প্রয়োজন।’
ইউরোপের অন্যান্য দেশ অভিবাসীদের বিষয়ে কঠোর নীতি অনুসরণ করলেও সেখানে পর্তুগাল সেখানে অভিবাসীদের জন্য ‘স্বর্গরাজ্য’। বন্ধুসুলভ মানুষ, চমৎকার আবহাওয়া, ইতিহাস, ঐতিহ্য আর বহুবিচিত্র সাংস্কৃতির এক অনন্য পাঠশালা পর্তুগাল।

আমেরিকায় দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় জনগোষ্ঠী হতে যাচ্ছে মুসলিমরা

গত এক দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় দশ লাখ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মুসলিম জনসংখ্যার এই বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ২০৪০ সালের মধ্যে মুসলিমরা ইহুদিদের সরিয়ে দিয়ে আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় গ্রুপ হিসেবে আবির্ভূত হবে।
মার্কিন গবেষণা সংস্থা ‘পিউ রিসার্চ সেন্টার’ এর একটি নতুন গবেষণা এই চিত্র ওঠে এসেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে ঠিক কত সংখ্যক মুসলিম বাস করছে তার বিস্তারিত সংখ্যা নির্ণয় করা কঠিন, কারণ দেশটির সেনসাস ব্যুরো ধর্ম সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে না।



পিউ এর জনসংখ্যা গবেষণা এবং জরিপ ফলাফল অনুযায়ী, মোট মার্কিন জনসংখ্যার ১.১ শতাংশ হচ্ছে মুসলিম। পিউ’র অনুমান অনুযায়ী, ২০০৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম জনসংখ্যা ছিল প্রায় ২.৩৫ মিলিয়ন।
মুসলিম জনসংখ্যা দেশটির ইহুদি জনসংখ্যার তুলনায় অনেক দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ২০৫০ সালে মোট মার্কিন জনসংখ্যার মধ্যে মুসলিম জনসংখ্যা ৮.১ মিলিয়ন বা ২.১ শতাংশে পৌঁছাবে। প্রকৃতপক্ষে, প্রতি বছর গড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ১,০০,০০০ করে বৃদ্ধি পায়।

হায়রে স্বপ্নের দেশ আমেরিকা !

স্বপ্নের নগরী নিউইয়র্কে শুধু অর্থের ছড়াছড়ি। এখানে বসবাসরত মানুষের কোনো অভাব হয় না। অর্থ-বিত্তে তাবৎ দুনিয়ায় তারা সামনের কাতারে। নির্ঘুম এই নগরী নিয়ে যাঁরা এমনটাই জানেন—তাঁদের জেনে রাখা দরকার, প্রদীপের
নিচেও রয়েছে অন্ধকার। আলো ঝলমলে এই নগরে দিন দিন বেড়ে চলেছে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা। রাতে দেখা যায়, রাস্তার পাশে পড়ে আছে গৃহহীন অসংখ্য মানুষ—হোমলেস নামে যাদের পরিচয় নিউইয়র্কে।



গৃহহীন মানুষের জন্য নিউইয়র্ক নগর কর্তৃপক্ষে ডিপার্টমেন্ট অব হোমলেস সার্ভিস (ডিএইচএস) রয়েছে। এরপরও কমছে না গৃহহীন মানুষের সংখ্যা। রাতের নিউইয়র্কে দেখা যায়, এখানে-ওখানে শুয়ে আছে হাজারো মানুষ। নিউইয়র্কের পাঁচ বরো কুইন্স, ব্রুকলিন, ব্রঙ্কস, ম্যানহাটন ও স্ট্যাটান আইল্যান্ডে অসংখ্য গৃহহীন মানুষকে রাস্তার পাশে অথবা সাবওয়ে স্টেশনে সারি সারি শুয়ে থাকতে দেওয়া যায়। খোদ নিউইয়র্ক নগরের মেয়র বিল ডি ব্লাজিও গৃহহীন মানুষের অবস্থা দেখে হতাশা প্রকাশ করেন।



নগর কর্তৃপক্ষের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ১৯৮০ থেকে ১৯৮৯ সাল নগরে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা তেমন বেশি ছিল না। কিছু মানুষ গৃহহীন থাকলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তৎপরতায় ১৯৯০ থেকে ১৯৯৩ সালের মধ্যে এসব মানুষের সংখ্যা সীমিত হয়ে আসে। ডিএইচএসের মতো সংস্থার অব্যাহত সহায়তা কার্যক্রমের ফলে নগরে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা অনেকটাই কমে আসে। কিন্তু ১৯৯৪ সাল থেকে ২০০১ সালের মধ্যে নিউইয়র্কে আবার ছিন্নমূল মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ২০০২-২০১৩ সালে এই সংখ্যা দ্বিগুণ আকার ধারণ করে। নগরের যত্রতত্র গৃহহীন মানুষকে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।



আইনি সহায়তা, থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাসহ সব ধরনের সুবিধা থাকা সত্ত্বেও গৃহহীন মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকায় একাধিক মানবাধিকার সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
এদিকে গৃহহীনের সংখ্যা বাড়ায় স্থানীয় অনেক সচেতন নাগরিক নগর কর্তৃপক্ষকে নয়, গৃহহীন মানুষের স্বভাবকে দায়ী করেন। আবার কাউকে কাউকে মন্তব্য করতে দেখা গেছে, গৃহহীন অনেক মানুষ মাদকাসক্ত। তাই তারা মাদক সেবন করে রাস্তায় পড়ে থাকে।



ডিএইচএস থেকে ছিন্নমূল মানুষের জন্য একাধিক সেবা কার্যক্রম চালু রাখলেও অনেকেই সেই সেবা নিতে আগ্রহী নয়। কারণ হিসেবে জানা গেছে, ডিএইচএস মাধ্যমে বিধিবিধান অনুযায়ী আবেদন করতে হয়। আবেদনের সঙ্গে কিছু আইনি কাগজপত্রও জমা দিতে হয়। সেই আবেদন অনুযায়ী ক্যাটাগরি ভাগ করা হয়। তারপর যাবতীয় প্রক্রিয়া তাদের প্রয়োজনীয় সুবিধা দেওয়া হয়। কিন্তু তত দিন পর্যন্ত সুবিধা গ্রহণকারী প্রার্থীরা ধৈর্য ধরে বসে থাকতে পারে না। আবার অনেককে ফোন অথবা চিঠি পাঠিয়েও পাওয়া যায় না। ফলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একটা সময় পর বরাদ্দকৃত সুবিধা ফেরত নিয়ে যান।



অন্যদিকে গৃহহীনেরা সুবিধা বঞ্চিত হয়ে মানুষের ধারে ধারে ও দোকানপাটে একটা কোয়ার্টার কিংবা ডলারের জন্য হাত পেতে থাকেন। তাদের পরনের পোশাকের অবস্থাও অত্যন্ত নাজুক। রাস্তায় পড়ে থাকা গৃহহীন মানুষের ওপর দিয়ে মশা মাছি উড়ছে। সম্প্রতি জ্যামাইকার একটি বাড়ির সামনে পড়ে থেকে একজন গৃহহীন মানুষ মারা গেছেন।
নিউইয়র্কের বাঙালি অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটসে দুই শ-এর বেশি গৃহহীন মানুষকে প্রতিনিয়ত দেখা যায়। কেউ রাস্তায় পড়ে আছে, আবার কেউ মাতাল হয়ে মাতলামি করছে অথবা কেউ একপাশে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে।
সূত্রঃ প্রথম আলো
 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates