জেলার সুবর্ণচর উপজেলার চর জুবলী ইউনিয়নের মধ্যবাগ্যা গ্রামে ৩০ ডিসেন্বর দিবাগত গভীর রাতে গণধর্ষণের শিকার হন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার ১৭ দিন পর চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের ছাড়পত্র নিয়ে স্বামীর সঙ্গে অ্যাস্বুলেন্সযোগে নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন তিনি।
হাসপাতালের আরএমও সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানান, ‘গত ৩১ ডিসেম্বর দুপুরে শারীরিক নির্যাতন, ধর্ষণ, হাত ভাঙ্গা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাত্মক জখম নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ভূক্তভোগী ওই নারী। গত কয়েক দিন হাসপাতালে থাকা অবস্থায় তাকে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এতে তার শারীরিক অবস্থায় উন্নতি হলে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তার ভাঙ্গা হাতের আরো চিকিৎসার জন্য আগামী ২ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালে আসতে বলা হয়েছে এবং তাকে ফলোআপে রাখা হয়েছে। বাড়িতে তার শারীরিক কোন সমস্যা হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে।’
এদিকে হাসপাতাল থেকে জেলা ডিবি পুলিশের একটি দল ভুক্তভোগী নারীকে সঙ্গে নিয়ে তার বাড়িতে পোঁছে দিয়ে আসে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা ডিবি পরিদর্শক জাকির হোসেন জানান, ‘ভুক্তভোগীর নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা সচেষ্ট।’ চরজব্বার থানার নবনিযুক্ত ওসি মো. সাহেদ উদ্দিন জানিয়েছেন, ওই নারীকে পুলিশি নজরদারিতে রাখা হয়েছে।’
অন্যদিকে ঘটনার মূলহোতা বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা প্রেপ্তারকৃত রুহুল আমিনকে কারাফটকে দুই দিন এবং তার প্রধান সহযোগী হাছান আলী ভুলুকে তিন দিনের পুনঃরিমান্ডে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকাল বিকালে জেলার ২নং আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নবনীতা গুহর আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
No comments:
Post a Comment