ইংরেজি নববর্ষের দিনে হংকংয়ের স্বাধীনতার দাবিতে হাজার হাজার গণতন্ত্রকামী মানুষের বিক্ষোভ :এএফপি -
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, চীনের স্বশাসিত অঞ্চল তাইওয়ানের পুনঃএকত্রীকরণ নিশ্চিত করতে সেখানে সামরিক শক্তি প্রয়োগের বিষয়কে তার দেশ নাকচ করে দিচ্ছে না। গতকাল বুধবার বেইজিংয়ে নীতিসংক্রান্ত ৪০তম বার্ষিকীর ভাষণে তিনি জোর দিয়ে বলেন, তাইওয়ান একদিন অবশ্যই মূল ভূখণ্ডের সাথে আবারো একীভূত হবে। তাইওয়ানের জনগণকে এ বিষয়টি মেনে নিতে হবে। শি’র এ হুঁশিয়ারির পর তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট টিসাই ইং-ওয়েন অনমনীয় মনোভাব প্রকাশ করেছেন। গতকাল তিনি বলেছেন, দ্বীপাঞ্চল তাইওয়ান চীনের ‘এক দেশ, দুই রীতি’র রাজনৈতিক ব্যবস্থা মেনে নেবে না। তিনি জোর দিয়ে বলেন, প্রণালীর দুই পাশের মধ্যকার আলাপ-আলোচনা সরকার-সরকারপর্যায়ে হতে হবে।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, চীনের স্বশাসিত অঞ্চল তাইওয়ানের পুনঃএকত্রীকরণ নিশ্চিত করতে সেখানে সামরিক শক্তি প্রয়োগের বিষয়কে তার দেশ নাকচ করে দিচ্ছে না। গতকাল বুধবার বেইজিংয়ে নীতিসংক্রান্ত ৪০তম বার্ষিকীর ভাষণে তিনি জোর দিয়ে বলেন, তাইওয়ান একদিন অবশ্যই মূল ভূখণ্ডের সাথে আবারো একীভূত হবে। তাইওয়ানের জনগণকে এ বিষয়টি মেনে নিতে হবে। শি’র এ হুঁশিয়ারির পর তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট টিসাই ইং-ওয়েন অনমনীয় মনোভাব প্রকাশ করেছেন। গতকাল তিনি বলেছেন, দ্বীপাঞ্চল তাইওয়ান চীনের ‘এক দেশ, দুই রীতি’র রাজনৈতিক ব্যবস্থা মেনে নেবে না। তিনি জোর দিয়ে বলেন, প্রণালীর দুই পাশের মধ্যকার আলাপ-আলোচনা সরকার-সরকারপর্যায়ে হতে হবে।
আলাদা স্বায়ত্তশাসন নিয়ে টিকে থাকলেও তাইওয়ানকে এক দেশ দুই ব্যবস্থার ভিত্তিতে শান্তিপূর্ণ উপায়ে একীভূত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শি জিনপিং বলেছেন, এক্ষেত্রে শক্তি প্রয়োগের ক্ষমতা রাখে চীন। তাইওয়ানের মানুষকে উদ্দেশ্য করে এটাই শি জিনপিংয়ের প্রথম কড়া হুঁশিয়ারি। তিনি বলেন, বেইজিং সেখানে বহিরাগত বাহিনীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয় সব পথ খোলা রেখেছে, যাতে শান্তিপূর্ণভাবে একত্রীকরণ এবং তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থীদের ব্যাপারে যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণ কর যায়। চীনা প্রেসিডেন্ট বলেছেন, চীন ও তাইওয়ান দু’পক্ষই একই চীনা পরিবারভুক্ত ছিল। তাইওয়ানের জনগণকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে, স্বাধীনতা তাদের জন্য শুধুই কঠোরতা বয়ে আনবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে অনুমোদন দেয়ার কোনো রকম তৎপরতাকে কখনোই সহ্য করবে না চীন। তিনি বলেন, তাইওয়ানের সাথে সম্পর্ক হলো চীনের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির অংশ। সেখানে বিদেশীদের হস্তক্ষেপ বরদাশত করা হবে না।
অনমনীয় তাইওয়ান
শি জিনপিং এমন একসময় এ বক্তব্য দিয়েছেন, যার একদিন আগে নিজেদের মতপার্থক্যের শান্তিপূর্ণ সমাধানে চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট টিসেই ইং-ওয়েন। নতুন বছর উদযাপন উপলক্ষে দেয়া ভাষণে তিনি বলেন, আমি চীনকে তাইওয়ানের অস্তিত্বের বাস্তবতার সরাসরি মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানান জানাচ্ছি।
শি জিনপিং এমন একসময় এ বক্তব্য দিয়েছেন, যার একদিন আগে নিজেদের মতপার্থক্যের শান্তিপূর্ণ সমাধানে চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট টিসেই ইং-ওয়েন। নতুন বছর উদযাপন উপলক্ষে দেয়া ভাষণে তিনি বলেন, আমি চীনকে তাইওয়ানের অস্তিত্বের বাস্তবতার সরাসরি মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানান জানাচ্ছি।
টিসেই ইং-ওয়েন বলেন, তাইওয়ান প্রণালীর দুই দিককে নিজেদের মধ্যের মৌলিক পার্থক্যের বাস্তবিক বোঝাপড়ার দরকার আছে। রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও মূল্যবোধের কারণেই এ পার্থক্য বিরাজ করছে। কাজেই চীনকে অবশ্যই দুই কোটি ৩০ লাখ লোকের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের আকুতির প্রতি সম্মান জানাতে হবে বলে মন্তব্য করেন তাইওয়ান প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, এ পার্থক্য মোকাবেলা করতে হবে শান্তিপূর্ণ ও সমতার ভিত্তিতে।
২০১৬ সালে ক্ষমতায় বসার পর থেকেই টিসেই সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছে চীন। দুই দেশের মধ্যের সংলাপ বর্জন, তাইওয়ানের অবশিষ্ট কিছু কূটনৈতিক মিত্রদের ছেঁটে ফেলা ও বিদেশী বিমান সংস্থাকে তাইওয়ানকে চীনের অংশ হিসেবে তাদের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করতে বাধ্য করার মাধ্যমে এ চাপ অব্যাহত রেখেছে বেইজিং।
চীন দাবি করে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হিসেবে থাকা তাইওয়ান তার অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাইওয়ানকে নিজের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এনে দেশটির একটি প্রদেশে পরিণত করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার কথা কোনো দিনও বলেনি চীন। তাইওয়ানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রত্যাহারে বিভিন্ন দেশের প্রতি কূটনৈতিক চাপ অব্যাহত রেখেছে দেশটি। যারা তাইওয়ানের বদলে চীনের প্রতি কূটনৈতিক আনুগত্য ঘোষণার দাবি উপেক্ষা করেছে এমন দেশ মাত্র ১৭টি।
চীন-তাইওয়ান বিরোধের সূত্রপাত ১৯২৭ সালে। ওই সময়ে চীনজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে গৃহযুদ্ধ। ১৯৪৯ সালে মাও সেতুংয়ের নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্ট বিপ্লবীরা জাতীয়তাবাদী সরকারকে উৎখাতের মধ্য দিয়ে এ গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটায়। জাতীয়তাবাদী নেতারা পালিয়ে তাইওয়ান যান। এখনো তারাই তাইওয়ান নিয়ন্ত্রণ করে। প্রাথমিকভাবে ওই সময় যুদ্ধ বন্ধ হয়ে পড়লেও উভয় দেশই নিজেদের চীনের দাবিদার হিসেবে উত্থাপন শুরু করে। তাইওয়ানভিত্তিক সরকার দাবি করে, চীন কমিউনিস্ট বিপ্লবীদের দ্বারা অবৈধভাবে দখল হয়েছে। আর বেইজিংভিত্তিক চীনের সরকার তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্নতাকামী প্রদেশ হিসেবে বিবেচনা করে। তবে দুই অঞ্চলের মধ্যকার মানুষের মধ্যে গভীর বাণিজ্যিক, সাংস্কৃতিক ও ব্যক্তিগত যোগাযোগ থাকলেও অঞ্চল দু’টির মধ্যে আনুষ্ঠানিক কোনো চুক্তি স্বাক্ষর হয়নি।
No comments:
Post a Comment