ছোট্ট একটা পরীক্ষা। আর তাতেই মালুম হার্টের অবস্থা কেমন! এই পরীক্ষার জন্য কোনো চিকিৎসাকেন্দ্র বা চিকিৎসকের কাছেও ছুটতে হবে না। বরং কোনো বহুতল ভবনে গিয়েই এই পরীক্ষা সহজে করতে পারেন আপনি। ‘ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব কার্ডিওলজি’ এমনই এক উপায় জানাল, যা থেকে বুঝে যাবেন আপনার হৃদযন্ত্রের অবস্থা ঠিক কীরকম? এমনিতেই কর্মব্যস্ত জীবন ও অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের প্রকোপে আমরা প্রায় কেউই হৃদযন্ত্রের পুঙ্খানুপুঙ্খ যত্ন নিতে পারি না। তাই অজান্তেই গুঁড়ি মেরে ঢুকে পড়ে বিপদ। সেই বিপদের আঁচ আদৌ আপনার শরীরে বাসা বাঁধছে কি না তা বুঝতেই এই পথ বাতলালেন ‘ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব কার্ডিওলজি’র চিকিৎসকরা।
তাদের মতে, কোনো বহুতল ভবনের সিঁড়ির দুটি তলা যদি এক মিনিটের মধ্যে স্বাভাবিক গতিতে, একটুও না থেমে, একেবারে উঠতে পারেন, তাহলে ধরতে হবে আপনার হৃদযন্ত্রের অবস্থা বেশ ভালো। তবে এই ওঠায় যদি অত্যধিক শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানির সমস্যা শুরু হয়, তাহলে হৃদযন্ত্র সার্বিক ভাল আছে, বলা যাবে না।
আর যারা পারবেন না তাদের ক্ষেত্রে? ‘ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব কার্ডিওলজি’-র মতে, নিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান ত্যাগ ও শরীরচর্চার মাধ্যমে হৃদযন্ত্রের যত্ন তাদের একটু বেশিই নিতে হবে। প্রয়োজন পড়লে চিকিৎসকের শরণও নিতে হতে পারে। এই ছোট পরীক্ষা-পদ্ধতির ওপর আস্থা রাখছেন শহরের হৃদবিশেষজ্ঞরাও। চিকিৎসক প্রকাশ হাজরার মতে, ‘সিঁড়ি ভেঙে ওঠা হার্টের পেশীগুলোর জন্য অত্যন্ত উপকারী ব্যায়াম। যদি এই কাজে কারো কোনো সমস্যা হয়, তবে ধরে নিতে হবে তার হৃদপেশীর অবস্থা ভালো নয়। আবার যারা সহজেই কম হাঁপিয়ে এ কাজ সেরে ফেলতে পারবেন, তাদের হার্টের পেশী, হার্টবিট সবই স্বাভাবিক আছে ধরে নিতে হবে।
No comments:
Post a Comment