আমরা অনেক সময় ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ি। কী হবে ভবিষ্যৎ, কেমন হবে ক্যারিয়ার অথবা সম্ভাব্য কোন বিপদের আশঙ্কা.. ইত্যাদি নানা চিন্তা কখনো কখনো আমাদের গ্রাস করে ফেলে। এক্ষেত্রে প্রথম সমাধান হলো জীবনের কেন্দ্রে আল্লাহকে নিয়ে আসা। ঈমানের ভিতকে মজবুত করার পাশাপাশি নেককাজে প্রবৃত্ত হওয়া। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
مَنْ عَمِلَ صَالِحًا مِّن ذَكَرٍ أَوْ أُنثَىٰ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَلَنُحْيِيَنَّهُ حَيَاةً طَيِّبَةً ۖ وَلَنَجْزِيَنَّهُمْ أَجْرَهُم بِأَحْسَنِ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
“যে সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং সে ঈমানদার, পুরুষ হোক কিংবা নারী আমি তাকে পবিত্র জীবন দান করব এবং প্রতিদানে তাদেরকে তাদের উত্তম কাজের কারণে প্রাপ্য পুরস্কার দেব যা তারা করত।” –সূরা নাহল, আয়াত : ৯৭
مَنْ عَمِلَ صَالِحًا مِّن ذَكَرٍ أَوْ أُنثَىٰ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَلَنُحْيِيَنَّهُ حَيَاةً طَيِّبَةً ۖ وَلَنَجْزِيَنَّهُمْ أَجْرَهُم بِأَحْسَنِ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
“যে সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং সে ঈমানদার, পুরুষ হোক কিংবা নারী আমি তাকে পবিত্র জীবন দান করব এবং প্রতিদানে তাদেরকে তাদের উত্তম কাজের কারণে প্রাপ্য পুরস্কার দেব যা তারা করত।” –সূরা নাহল, আয়াত : ৯৭
প্রখ্যাত আলেমেদ্বীন ও তাফসিরবিদ সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদভী (রহ.) বলেন, ওই আয়াতে উল্লেখিত “হায়াতে তায়্যিবাহ” তথা পবিত্র জীবনের মধ্যে- দুশ্চিন্তামুক্ত, শান্ত, সুস্থির, সুশৃঙ্খল ও একটি সম্মানজনক সুন্দর জীবনের যাবতীয় অনুসঙ্গ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এছাড়াও, একটি অসাধারণ দুয়া রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের শিখিয়ে দিয়ে গেছেন। ভবিষ্যতের ব্যাপারে উদ্বিগ্নতা দূর করে একটি সুন্দর সফল জীবন লাভের জন্য যে দোয়াটি খুবই কার্যকরী। রাসুলুল্লাহ (সা.) স্বয়ং যে দুয়াটি করতেন। মুসলিম শরীফে হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আসা দুআটি এই-
اللَّهُمَّ أَصْلِحْ لِي دِينِي الَّذِي هُوَ عِصْمَةُ أَمْرِي وَأَصْلِحْ لِي دُنْيَايَ الَّتِي فِيهَا مَعَاشِي وَأَصْلِحْ لِي آخِرَتِي الَّتِي فِيهَا مَعَادِي وَاجْعَلِ الْحَيَاةَ زِيَادَةً لِي فِي كُلِّ خَيْرٍ وَاجْعَلِ الْمَوْتَ رَاحَةً لِي مِنْ كُلِّ شَرٍّ رواه مسلم رقم 2720.
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আসলিহলী দ্বীনী আল্লাযী হুয়া ই’সমাতু আমরী, ওয়া আসলিলী দুনইয়া-য়া আল্লাতী ফী-হা মা’আ-শী, ওয়া আসলিলী আ-খিরাতী আল্লাতী ফী-হা মা’আদী, ওয়াজ’আলিল হায়া-তা যিয়া-দাতান লী ফী কুল্লি খাইরিন, ওয়াজআলিল মাউতা রা-হাতান লী মিন কুল্লি শাররিন।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি আমার দ্বীনকে সংশোধন করে দিন, যা হবে আমার পাপ হতে সুরক্ষা। আমার জন্য দুনিয়াকেও ঠিক করে দিন, যাতে রয়েছে আমার জীবনোপায়। আমার আখেরাতকেও নিরাপদ করে দিন, যেখানে আমার প্রত্যাবর্তন। এবং প্রত্যেক মঙ্গলের জন্য আমার হায়াতকে বাড়িয়ে দিন ও প্রত্যেক অমঙ্গল হতে আমার মৃত্যুকে করুন নিরাপদ। – সহিহ মুসলিম, হাদিস নং : ২৭২৯
এ দুআটি অর্থের প্রতি লক্ষ্য রেখে পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের পর ও হাঁটতে চলতে বেশি বেশি পড়া যেতে পারে।
আর যদি বর্তমানে আপনি বিপদগ্রস্ত থাকেন বা কোন মুসিবত এসে যায় এবং আপনি তাতে আক্রান্ত হন, তবে তো সরাসরি দুআর দরোজা উন্মুক্ত আছেই। আল্লাহর দরবারে কড়া নাড়লে ও তাঁর নিকট প্রার্থনা করা হলে, তিনি ডাকে সাড়া দেবেন এবং প্রার্থনা কবুল করবেন ইনশাআল্লাহ। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَإِذَا سَأَلَكَ عِبَادِي عَنِّي فَإِنِّي قَرِيبٌ أُجِيبُ دَعْوَةَ الدَّاعِ إِذَا دَعَانِ فَلْيَسْتَجِيبُوا لِي وَلْيُؤْمِنُوا بِي لَعَلَّهُمْ يَرْشُدُونَ
وَإِذَا سَأَلَكَ عِبَادِي عَنِّي فَإِنِّي قَرِيبٌ أُجِيبُ دَعْوَةَ الدَّاعِ إِذَا دَعَانِ فَلْيَسْتَجِيبُوا لِي وَلْيُؤْمِنُوا بِي لَعَلَّهُمْ يَرْشُدُونَ
অর্থ : ‘আর আমার বান্দারা যখন আপনার কাছে জিজ্ঞেস করে আমার ব্যপারে, আমি তো রয়েছি সন্নিকটেই। আমি বান্দার প্রার্থনা কবুল করি, যখন সে আমাকে আহ্বান করে। কাজেই তারা যেন আমার হুকুম মেনে চলে এবং আমার প্রতি নিঃসংশয়ে বিশ্বাস স্থাপন করে। যাতে তারা সঠিক পথের দিশা লাভ করতে পারে।’ (সুরা বাকারা: ১৮৬)
No comments:
Post a Comment