Social Icons

Saturday, March 2, 2019

বিন লাদেনের ছেলের নাগরিকত্ব বাতিল করেছে সৌদি আরব

ওসামা বিন লাদেনের ছেলের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের পুরস্কার ঘোষণার পর সৌদি আরব জানিয়েছে তারা আগেই তার নাগরিকত্ব বাতিল করেছে। দেশটির উম্মুল কুরা পত্রিকা ওসামা বিন লাদেনের ছেলে হামজা বিন লাদেনের ব্যাপারে গত শুক্রবার এ তথ্য জানায়।
সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে উম্মুল কুরা জানায়, ২২ ফেব্রুয়ারি এক রাজকীয় ফরমানের দ্বারা তার নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছিল। তবে কেন এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, সে ব্যাপারে কোনো কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র হামজাকে আল কায়েদার উদীয়মান নেতা হিসেবে উল্লেখ করে তার কোনো খোঁজ দেয়ার ব্যাপারে ১০ লাখ মার্কিন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেন।
ওয়াশিংটন আশঙ্কা করছে, ৩০ বছর বয়সী হামজা তার পিতার বদলা নিতে পারে। ২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে এক অভিযানে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার দাবি করে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনী নেভি সিল।
ওয়াশিংটন হামজার অবস্থানের ব্যাপারে পরিষ্কার কিছু না জানলেও ধারণা করছে, হামজা পাকিস্তান, আফগানিস্তান, সিরিয়া বা ইরানের কোনো ভূগর্ভস্থ বাড়িতে অবস্থান করছে। 
সূত্র : সিয়াসত ডেইলি



নিহত আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের ছেলের ব্যাপারে তথ্য দিলে এক মিলিয়ন ডলার দেবে (বাংলাদেশী মুদ্রায় ৮৪ কোটি ২১ লাখ টাকা) আমেরিকা। হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার একথা জানান হয়েছে।
আমেরিকা মনে করে বাবার পর লাদেন- পুত্র এখ আমেরিকার জন্য ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এখন তার লক্ষ্য আমেরিকাকে রক্তাক্ত করা। আর তাই হামজা বিন লাদেনকে অনেকেই 'সন্ত্রাসের রাজপুত্র' বলে থাকেন। এ হেন হামজা কখনো পাকিস্তানে থেকেছে, কখনো থেকেছে আফগানিস্তানে, আবার কখনো ইরানে গৃহবন্দি অবস্থায় হামজার দিন কেটেছে। কিন্তু এখন হামজা কোথায়, সেটা কেউ জানে না। জানাতে পারলেই মিলবে এক মিলিয়ন ডলার। বিশ্বের যে কোনো দেশের ক্ষেত্রেই এই প্রস্তাবটি প্রযোজ্য হবে বলে আমেরিকা জানিয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন মনে করে ২০১১ সালে বাবাকে আমেরিকা যেভাবে খতম করেছিল তার বদলা নিতেই হামজা মার্কিন মুলুকে আঘাত হানতে চায়। এমন কাজ যাতে সে না করতে পারে তার জন্যই উদ্যোগ নিচ্ছে আমেরিকা।
২০১১ সালের মাঝামাঝি পাকিস্তানে প্রবেশ করে আবোটাবাদের একটি বাড়িতে ঢুকে পড়ে আমেরিকার বিশেষ বাহিনী। তাদের হাতেই মৃত্যু হয় লাদেনের। বাবার মৃত্যুর পর আল কায়দার সন্ত্রাসকে নেতৃত্ব দেয় হামজা। ২০১৫ সালে তার একটি বার্তা এসে পৌছয়। সেখানে সে সিরিয়ায় কাজ করা সমস্ত উগ্রবাদী সংগঠনকে এক হয়ে কাজ করার পরামর্শ দেয়। সে মনে করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে পারলে তবেই যুক্তরাষ্ট্রকে পরাজিত করা যাবে।
হামজা বিন লাদেন কোথায় আছে তা নিয়ে জল্পনার অন্ত নেই। একটা সময় মনে করা হত ইরানে নিজের মায়ের সঙ্গে থাকে হামজা। তখনই তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
বছর খানেক আগে ইংল্যান্ডের একটি পত্রিকাকে হামজার এক আত্মীয় জানান, সে হয়ত আফগানিস্তানে আছে। সেখান থেকে আরো জানা যায় হামজার সঙ্গে মোহাম্মদ আতার মেয়ের বিয়ে হয়েছে। ২০০১ সালে আট্টার নাম জেনেছিল গোটা পৃথিবী। ১১ সেপ্টম্বরের হামলার অন্যতম বিমান ছিনতাইকারী এই আতা।

No comments:

Post a Comment

 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates