মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, ভেনিজুয়েলায় গণতন্ত্র ফেরাতে সব বিকল্প নিয়ে ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সংক্রান্ত সব বিকল্পই টেবিলে রয়েছে। প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর কবল থেকে ভেনিজুয়েলার জনগণের পরিত্রাণ পেতে যা যা করার প্রয়োজন তা-ই করবে যুক্তরাষ্ট্র।
মঙ্গলবার মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। এদিকে, মাদুরোকে উৎখাতের অঙ্গীকার করেছেন দেশটির স্বঘোষিত বিরোধীদলীয় নেতা জুয়ান গুইদো। মঙ্গলবার রাজপথে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে হাজার হাজার মানুষের সামনে তিনি এমন অঙ্গীকার করেন। খবর এএফপির।
নির্বাচনী কারচুপির অভিযোগ আর অর্থনৈতিক সংকট ভেনিজুয়েলার জনগণকে তাড়িত করেছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে। এ সুযোগে ২৩ জানুয়ারি নিজেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন গুইদো। এরপরই তাকে স্বীকৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্রসহ ৫০টিরও বেশি দেশ।
প্রায় দুই মাস ধরে দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি শোডাউন চলছে। বিরোধীরা ভেনিজুয়েলার অর্ধেকেরও বেশি এলাকা ৮ মার্চ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেয় বলে অভিযোগ কর্তৃপক্ষের। এতে জনগণের জীবন স্তব্ধ হয়ে গেছে। এর মধ্যেই ভেনিজুয়েলায় গণতন্ত্র ফেরাতে সব বিকল্প নিয়ে চিন্তা-ভাবনার কথা বললেন পম্পেও।
এদিকে, মাদুরোবিরোধী বিক্ষোভে বারবার স্লোগান দেয়া সমর্থকদের উদ্দেশে গুইদো বলেন, ‘আমাদের কাজ করার জন্য একটি দফতর প্রয়োজন। দেশের সশস্ত্র বাহিনী পুরোপুরি আমাদের পক্ষে থাকায় আমরা মিরাফ্লোরেসে খুব শিগগিরই আমাদের দফতর খুঁজে বের করতে পারব।’ বিক্ষোভকারীরা রাজধানীর পূর্বে একটি স্কয়ারে জড়ো হয়।
No comments:
Post a Comment