ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে যেতে চাননি সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি। তবে খাশোগির সূত্র তাকে বলেছিল, তুরস্কের মাটিতে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেবে না সৌদি কর্তৃপক্ষ। অন্য দেশের দূতাবাসে গেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে।
শুক্রবার তুর্কি সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এসব জানান খাশোগির বাগদত্তা হেতিস চেঙ্গিস। তিনি বলেন, রাজনৈতিক নেটওয়ার্ক থেকে খাশোগি জেনেছিলেন, যদি ইস্তাম্বুল কনস্যুলেটে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ বা গ্রেপ্তার করা হয় তাহলে সহজে বিষয়টির মীমাংসা করা যাবে। এমন নিশ্চয়তা পেয়ে সংশয় থাকলেও কনস্যুলেটে যান খাশোগি।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে হেতিস চেঙ্গিসকে বাইরে রেখে কনস্যুলেটে ঢোকার দুই ঘণ্টার মধ্যেই সৌদি যুবরাজের পাঠানো রাজকীয় বাহিনী তাকে খুন করে।
তুর্কি বাগদত্তা হেতিস চেঙ্গিসের সাথে বিয়ের প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র আনতে গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করার পর খুন হন ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার কলাম লেখক ও স্বেচ্ছা-নির্বাসিত সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি। শুরুতে অস্বীকার করলেও ১৯ অক্টোবর সৌদি জানায়, তুরস্কের ইস্তাম্বুল কসন্যুলেটে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে খাশোগির মৃত্যু হয়। এর দুদিন পরই খাসোগিকে হত্যা করা হয়েছে বলেও স্বীকার করেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সৌদি আরবের দাবি, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গোয়েন্দা সংস্থার উপ-প্রধান এবং যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেহরক্ষিকে বরখাস্ত করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে মোট ১৮ জনকে। তবে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বলছে, খাশোগির খুনের পেছনে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানই কলকাঠি নেড়েছেন।
No comments:
Post a Comment