গত মাসেই নামাজ পড়া নিয়ে সরগরম হয়েছিল নয়ডার সেক্টর ৫৮। তারপরই শিরোনামে উঠে এলো নয়ডার সেক্টর ৬৪-এর একটি সংস্থার কথা। যেখানে মহিলা কর্মীদের জন্য অফিসেই নামাজ পড়ার আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোম্পানির সিদ্ধান্তে খুশি সেখানকার নারী কর্মীরা।
গত মাসেই পার্কে বসে নামাজ পড়া নিয়ে উত্তপ্ত হয়েছিল নয়ডা। এক শুক্রবার নয়ডার সেক্টর ৫৮-র একটি পার্কের মধ্যে নামাজ পড়া নিয়ে আপত্তি তোলে পুলিশ। নোটিশ দিয়ে জানিয়ে দেয়া হয়, জনসাধারণের জন্য ব্যবহৃত এলাকায় যেন কোনোরকম ধর্মীয় কার্যকলাপ না হয়। এমনকি শুক্রবারের নামাজও পড়া যাবে না। কোনও সংস্থার কর্মীরা এমনটা করলে সেই সংস্থাকেই কাঠগড়ায় তোলা হবে।
শহরের একটি সেক্টরের ছবি যখন এরকম, তখনই সম্প্রীতির নজির গড়ল সেক্টর ৬৪-এর একটি পোশাকের কারখানা। যেখানে প্রায় ৬০ জনেরও বেশি মুসলিম নারীকর্মী কাজ করেন। কাজের পাশাপাশি নামাজ পড়তে তাদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য কারখানার ছাদে আলাদা জায়গা করে দিয়েছেন মালিক।
শুধু তাই নয়, প্রত্যেক শুক্রবার বেলা ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত একঘণ্টার বিরতি দেয়া হয় নারী কর্মীদের। যাতে তারা নামাজ পড়তে পারেন। পুরুষ ও নারীদের নামাজের জন্য কারখানার ছাদে দুটি আলাদা অংশ রয়েছে। সেই সঙ্গে থাকে মাদুর ও পাপোশের ব্যবস্থা। এমনকি প্রতি শুক্রবার একজন ইমামও হাজির হন।
তবে শুধু মুসলিম কর্মীদের জন্যই নয়, হিন্দুকর্মীদের জন্যও কারখানায় নবরাত্রি এবং ভজনের আয়োজনও করা হয়। মালিকের বক্তব্য, কর্মক্ষেত্রে যাতে কর্মীদের মন ভালো থাকে এবং হাসিখুশি থাকে, সেই প্রয়াসই করা হয়েছে। গত দশ বছর ধরেই তার প্রতিষ্ঠানে এমন ব্যবস্থা চালু করেছেন ওই পোশাক কারখানার মালিক।
No comments:
Post a Comment