যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া থেকে সকল সৈন্য প্রত্যাহারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণায় হতাশ যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলো। তার এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করছে তারা। এমনকি সমালোচনা আছে তার দল রিপাবলিকানদের মধ্যেও।
জঙ্গি গ্রুপ ইসলামিক স্টেট (আইএস) পরাজিত হওয়ায় বুধবার সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমন ঘোষণায় ক্ষমতাসীন রিপাবলিকানরা পুনরায় আইএস এর উত্থানের আশঙ্কা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যরা বর্তমানে সিরিয়ার উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে জিহাদি গ্রুপগুলোর সঙ্গে লড়াই করছে।
ট্রাম্পের সমর্থক রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছেন। এমন সিদ্ধান্তকে তিনি ‘ওবামার মতোই ভুল’ বলে অভিহিত করেন। আর্মড সার্ভিস কমিটিতে থাকা সিনেটর গ্রাহাম বলেন, সিরিয়া থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের পরিণতি হবে ভয়াবহ। এমন সিদ্ধান্তে ওই অঞ্চলে রাশিয়া ও ইরানের প্রভাব বৃদ্ধি পাবে বলেও হুশিয়ার করেন তিনি।
এক বিবৃতিতে গ্রাহাম বলেন, এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা হবে আইএস, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ও রাশিয়ার জন্য বড় বিজয়্।
আইএস যে সম্পূর্ণরূপে পরাজিত হয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার ট্রাম্পের কাছে এমন নিশ্চয়তা চেয়েছে। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দফতর থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এখনো অনেক কাজ বাকি আছে। তাদের হুমকি থেকে এখনো আমরা দৃষ্টি সরাতে পারি না।
মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ইসরাইল বলেছেন, এই অঞ্চলে প্রভাব ধরে রাখতে যুক্তরাষ্ট্রকে অন্য পন্থা খুঁজতে হবে। এ ব্যাপারে একটা সুনির্দিষ্ট সময়সীমা থাকতে হবে। একইসঙ্গে সেই কৌশল কীভাবে কাজে লাগবে তারও একটা সময়সীমা থাকতে হবে।
তবে ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিরিয়া অবশ্য সৈন্য প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে খুশি। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখরোভা বলেছেন, সিরিয়ার রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানে এ সিদ্ধান্ত যথার্থ হয়েছে।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের মিত্র ইরানও এই সিদ্ধান্তে খুশি।
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় কুর্দি অঞ্চলে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের দুই হাজার সৈন্য রয়েছে।
No comments:
Post a Comment