বগুড়া জেলার সাতটি আসনে ৯২৬টি ভোটকেন্দ্রের অর্ধেকের বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে বগুড়া-(সারিয়াকান্তি-সোনাতলা), বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) এবং বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনের ভোটকেন্দ্রগুলোতে সহিংসতা বেশি ঘটতে পারে বলে আশংকা করা হয়েছে। ফলে এসব কেন্দ্রে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বগুড়া পুলিশের গোয়েন্দা শাখা জানায়, আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়ায় সাতটি সংসদীয় আসনের ৯২৬ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। এর মধ্যে ৫৬০টিকে ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) ও ৩৬৬ টিকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
নির্বাচন তফসিল ঘোষণার পর নাশকতার ঘটনায় বগুড়ায় যে ১৪টি মামলা করা হয়েছে তার ১১টি মামলা বগুড়া-১, ২ ও ৫ আসনে। এর মধ্যে সোনাতলায় ৬টি, সারিয়াকান্দিতে দুটি এবং শিবগঞ্জে ৩টি মামলা রয়েছে। এর একটির বাদী পুলিশ, বাকিগুলো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী।
২০১৪ সালের নির্বাচনে বগুড়া-১ এবং বগুড়া-৫ আসন ধরে রেখে মহাজোটের মিত্রদের কাছে বাকি পাঁচটি আসন ছেড়ে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। এবারো সেই পাঁচটি আসন মহাজোটের প্রার্থীদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বগুড়া-১ আসনের সারিয়াকান্দি উপজেলায় ৬৯ কেন্দ্রের মধ্যে ৪৫ টিকে ঝুঁকিপূর্ণ ও ২৪টিকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সোনাতলা উপজেলার ৫৩ কেন্দ্রের মধ্যে ৪৭টি ঝুঁকিপূর্ণ, বগুড়া-২ আসনে ১১০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৭০টি, বগুড়া-৩ আসনে ১০৮ কেন্দ্রের মধ্যে ৭৭টি, বগুড়া-৪ আসনে ১০৫ কেন্দ্রের মধ্যে ৫৬টি, বগুড়া-৫ আসনে ১৭৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ১২৩টি, বগুড়া-৬ আসনে ১৪১ কেন্দ্রের মধ্যে ৫৯টি, বগুড়া-৭ আসনে ১৬১টি কেন্দ্রের মধ্যে ৮৩টি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: প্রতিপক্ষের ওপর আমার পূর্ণ সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ আছে: মাশরাফি
জানা গেছে, নির্বাচনে দুই হাজার পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন সশস্ত্র পুলিশ ও ১২ জন আনসার সদস্য থাকবেন। ৯২৬ কেন্দ্রে মোট ১১ হাজার ১১২ জন আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রতি ২-৩টি কেন্দ্রে একটি করে মোট ৮০টি মোবাইল টিম, সদরে দুটি ও প্রতি উপজেলায় একটি করে ১৩টি স্টাইকিং টিম থাকবে। এ টিমের প্রতিটিতে ১০ জন করে পুলিশ সদস্য থাকবেন। পুলিশ লাইন্স ও থানায় স্টান্ডবাই থাকবেন ৪০ জন পুলিশ সদস্য। টিমে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকছেন। এ ছাড়া, ইতোমধ্যে সাতটি আসনে ১৬ প্লাটুন বিজিবি সদস্য ও ৭০০ সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সদরে ১৫০ জন ও ১১ উপজেলায় ৫০ জন করে সেনা সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ ও পুলিশ সুপার মো. আলী আশরাফ ভূঞা জানান, সাতটি আসনেই শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণের জন্য সবরকম প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment