বিশ্বজুড়ে নাম ছড়িয়ে পড়া ব্রাজিলের এক ‘আধ্যাত্মিক গুরুর’ বিরুদ্ধে তিন শতাধিক নারীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
‘জন অফ গড’ নামে পরিচিত রোয়াও তেশেইরা দি ফারিয়াকে যৌন হয়রানির মামলায় শনিবার দুপুর ২টার মধ্যে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে বিকাল নাগাদ কোনো হদিস না মেলায় তিনি পালিয়েছেন বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গ্লোবোনিউজে সম্প্রচারিত এক প্রতিবেদনে ফারিয়ার আইনজীবী আলবার্তো তোরোন বলেছেন, তার মক্কেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। তবে কখন কোথায় তা তিনি বলেননি।
যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় টেলিভিশন উপস্থাপিকা অপরাহ উইনফ্রে ২০১৩ সালে ফারিয়ার ‘আধ্যাত্মিক শক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে চিকিৎসা’ নিয়ে একটি প্রতিবেদন করার পর আন্তর্জাতিকভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি।
ফারিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করে জাহিরা লিনেকে মাউস নামে একজন ডাচ আলোকচিত্রী গ্লোবো টিভিকে বলেছেন, তাকে ফুঁসলিয়ে যৌনতায় সম্পৃক্ত করার পর ধর্ষণ করেন তিনি।
তবে ফারিয়ার অফিস থেকে এক বিবৃতিতে ওই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এতে বলা হয়, ৭৬ বছর বয়সী ফারিয়া তার ‘আধ্যত্মিক ক্ষমতা’ প্রয়োগ করে হাজার হাজার মানুষের চিকিৎসা করেছেন। চিকিৎসার সময় কোনো ধরনের খারাপ আচরণ তিনি করেননি।
এদিকে নাম প্রকাশ না করে ব্রাজিলের নয়জন নারীও গ্লোবো টিভির কাছে আশ্রমে চিকিৎসার সময় তাদের যৌন হয়রানি করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন।
তাদের কেউ কেউ বলেছেন, বিষণ্নতা থেকে বেরিয়ে আসতে চিকিৎসার জন্য গিয়ে নিপীড়নের শিকার হন তারা।
চিকিৎসা শাস্ত্রে লেখাপড়া না করা ফারিয়াকে এভাবে চিকিৎসা করার জন্য আগেও জরিমানা ও কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার আশ্রমে অনুসারীদের সামনে বক্তব্যে অভিযোগ অস্বীকার করেন ফারিয়া। আইনগতভাবে পরিস্থিতির মোকাবেলা করবেন বলে সে সময় ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।
বিবিসি বলছে, ফারিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হতে পারে, যার শাস্তি ১০ বছরের কারাদণ্ড। এছাড়া অসুস্থ নারীকে ধর্ষণের জন্য ১৫ বছরের সাজাও হতে পারে তার।
No comments:
Post a Comment