টাঙ্গাইলে নাশকতা মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৪১জন নেতাকর্মীকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন আদালত। বুধবার জেলার নাগরপুর ও কালিহাতী উপজেলার বিএনপি ও জামায়াতের ৪১জন নেতাকর্মী টাঙ্গাইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ শওকত আলী চৌধুরী তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আর্দেশ দেন।
টাঙ্গাইল আদালতের পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, চলতি বছরের গত ৩ অক্টোবর নাশকতা, বিস্ফোরক ও পুলিশের কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে নাগরপুর উপজেলা বিএনপি-জামায়াতের ৩৪ জন এবং কালিহাতী থানার ১৪জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নাগরপুর ও কালিহাতী থানায় মামলা হয়। ওই মামলায় তারা গত ১৬ অক্টোবর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে আসেন। জামিনে তাদের টাঙ্গাইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। আদালতের আদেশে বুধবার দুই উপজেলার ৪৮জন নেতাকর্মী আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালত অসুস্থতার কারণে নাগরপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুস ছালামসহ চারজনকে ও কালিহাতী উপজেলার বিএনপির একজনকে জামিন প্রদান করেন। এছাড়া বাকি ৪১জনকে জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরা হলেন- নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ সিদ্দিকী, সহবতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহম্মেদ মোল্লা, ভাদ্রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হবি, বিএনপি নেতা মনিরুল ইসলাম তালুকদার, আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক ফনির হোসেন ভুইয়া, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি নজরুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম দিপন মোল্লা, উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ গোলাম রাব্বানী, জহির দেওয়ান, আবু সাইদ বাচ্চু, নুরুল ইসলাম, আবুল বাশার, ইকবাল হোসেন, মাইন উদ্দিন, হুমায়ুন হোসেন, আতোয়ার রহমান, ফরিদ উদ্দিন, আজিজুল হক, মোসলেম উদ্দিন, সেলিম মিয়া, আবুল চেয়ারম্যান, কোহিনুর মিয়া, আব্দুস সামাদ।
কালিহাতী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক আনছার আলী শিকদার, কোকডহরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন জিন্নাহ, লাল মিয়া, মজিবুর রহমান, হারুনুর রশিদ, লুৎফর রহমান লেলিন, রাজা মিয়া, ইদ্রিস আলী, নায়ের আলী, লিটন মিয়া, সফিকুল ইসলাম।
No comments:
Post a Comment