বরিশাল নগরীতে গত ২৪ ঘণ্টায় মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতিসহ সহযোগী সংগঠনের ২৬ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকাল থেকে বুধবার বিকাল পর্যন্ত তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি সৈয়দ আহসানুল হক কবির হাসান, জেলা (দক্ষিণ) বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মন্টু খান, মহানগর যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি কামরুল হাসান রতন, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আফরোজা খানম নাসরিন, শায়েস্তাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি একেএম শামসুল হক, শামসুল আলম ফরহাদ, মামুন হাওলাদার, মাইনুল হাসান, আবুল খায়ের, খালেদ হোসেন বাবর, মো. সোহেল, মো. রিয়ন, বাচ্চু দুয়ারী, ১০ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক দলের সভাপতি কামরুল ইসলাম এবং কামরুজ্জামানের নাম উল্লেখযোগ্য।
কোনো কারণ ছাড়াই বিএনপি নেতা-কর্মীদের গণগ্রেফতারের ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বরিশাল মহানগর বিএনপির সভাপতি ও বরিশাল-৫ আসনের ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, বিএনপিকে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরিয়ে দিতে ক্ষমতাসীনদের ইন্ধনে পুলিশ গণগ্রেফতার চালাচ্ছে। তিনি গণগ্রেফতার বন্ধসহ লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সৃষ্টির জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান।
এদিকে বিএনপির অভিযোগ অস্বীকার করে বরিশাল-৫ (সদর) আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম বলেন, পুলিশ আসামি ধরেছে। কেন ধরেছে তারাই ভালো বলতে পারবে। এ বিষয়ে তার কিছুই বলার নেই।
বিএনপির ২৬ নেতা-কর্মী গ্রেফতারের বিষয়ে ক্যামেরায় কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্মকর্তারা। তবে মুঠোফোনে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোশারফ হোসেন বলেন, বিএনপির কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন মামলার আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment