জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘সরকার ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মত একতরফা নির্বাচন করার জন্য সারাদেশে তাদের হামলা মামলা করছে। সরকার মনে করছে এসব হামলায় আমরা নির্বাচন না করে সরে যাব; এমনটা ভাবার কারণ নেই। আমরা নির্বাচনে আছি, নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকবো এবং লড়াই চালিয়ে যাব।’
বুধবার বেলা ১১টার দিকে বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগেই সরকার ৩৫-৫০টি আসন কেটে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। এ জন্য ধানের শীষের বহু প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা হচ্ছে। বেছে বেছে জনপ্রিয় প্রার্থীদের গ্রেফতার করে ও প্রচারে হামলা চালিয়ে বিনা ভোটে জয়ী হওয়ার নীলনকশা করছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা চেয়েছি একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন। কিন্তু সরকার সেটা হতে দিচ্ছেনা। ঢাকা মহানগরসহ সারাদেশে ধানের শীষের লাগানো ও টানানো পোস্টার ছিনিয়ে নিয়ে তা আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। আমরা নির্বাচনী এলাকা শিবগঞ্জেও একই অবস্থা। সরকার দলীয় প্রার্থীর তাণ্ডবে দিশেহারা তার কর্মীদের। গত ১৭ ডিসেম্বর তার নির্বাচনী এলাকায় মিথ্যা একটি ঘটনা ঘটিয়ে তার নির্বাচন সমন্বয়কারী জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শাগ আলমসহ ৪৬ জনের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে।’
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সরকারের চাপ থাকায় মিডিয়ায় বিরোধীদের ওপর হামলা ও নির্বাচনী সংঘাতের খবর ও চিত্র সঠিকভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে না। সরকার যদি নীলনকশার নির্বাচন বাস্তবায়ন করতে চায়, আর সেই নীলনকশা অনুযায়ী ৩৫-৫০ আসনে ভোটের আগেই জয় নিশ্চিত করে ফেলে, তখন আমরা বসে সিদ্ধান্ত নেব। শত প্রতিকূলতা সত্বেও বাকি ২৫০ আসনে ভোট করে যদি দেখি ঐক্যফ্রন্ট সরকার গঠন করতে পারবে, তখন আমরা লড়াই করব। নীলনকশার নির্বাচন এ দেশে হতে দেব না।’
ধানের শীষ ও নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, ‘এখনকার আওয়ামী লীগ আর বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ এক নয়। নৌকা এখন দুঃসাহস, দুঃস্বপ্ন ও গণতন্ত্র হরণের প্রতীক। আর ধানের শীষ গণতন্ত্রের লড়াইয়ের প্রতীক। আগামী ৩০ ডিসেম্বর ব্যালটের মাধ্যমে জনগণ এর জবাব দিবে।’
No comments:
Post a Comment