ব্রাজিলে মজেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ব্রাজিলের যত তরুণ প্রতিভা, সবাইকে নিয়ে আসার পরিকল্পনায় নেমেছে স্প্যানিশ দলটি। ৪৫ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে গত বছর ১৭ বছরের ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে নিয়েছে তারা। এ বছর ১৭ বছরের রদ্রিগোকে নিয়েছে ৪০ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে। তাদের নতুন ব্রাজিলিয়ান লক্ষ্যের বয়স অবশ্য এবার একটু বেশিই ছিল। করিন্থিয়ানসের মিডফিল্ডার পেদ্রিনহোর বয়স ২০ ছুঁয়েছে।
কদিন আগেই স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছিল, এই প্রতিভাবান মিডফিল্ডারকে দলে টানতে যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ। সেটাও তাঁর রিলিজ ক্লজ ৫০ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে। করিন্থিয়ানসের সঙ্গে দর-কষাকষি করার চেষ্টা নাকি করেছিল তারা। কিন্তু পেদ্রিনহোর দিকে বার্সেলোনারও আগ্রহ আছে শোনার পর আর দেরি করতে চায়নি রিয়াল। ভিনিসিয়ুস ও রদ্রিগোর বেলায় যা হয়েছিল ঠিক সেটাই করার চেষ্টা করেছে। রিলিজ ক্লজ দিয়েই চুক্তি সেরে নিতে চেয়েছে তারা। এটুকু শোনার পর ২০১৯ সালে রিয়ালের জার্সিতে আরও একজন ব্রাজিলিয়ানের সংখ্যা বাড়ার খবরটা প্রায় নিশ্চিত বলেই মনে হচ্ছিল।
কিন্তু গতকাল ‘গ্লোবস্পোর্তে’ জানিয়েছে, স্পেন নয় জার্মানিকেই বেছে নিচ্ছেন পেদ্রিনহো। খেলোয়াড়ের খুব কাছের সূত্র নাকি জানিয়েছে, নিজের উন্নতি যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় সেটা নিশ্চিত করতেই বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে বেছে নিচ্ছেন এই খেলোয়াড়। গত নভেম্বরেই নাকি পেদ্রিনহোর সঙ্গে কথা বলেছে ডর্টমুন্ড। তাঁর বাবার সঙ্গে কথা বলে এই খেলোয়াড়ের উন্নতির একটি পরিকল্পনাও এঁকে দেখিয়েছে ক্লাবটি। তাতে সন্তুষ্ট হয়েছেন বাবা-ছেলে।
উন্নতি করার জন্য ডর্টমুন্ড খেলোয়াড়দের বেশ পছন্দের ক্লাব। ওউসমানে ডেমবেলে, ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচ, জাডোন সানচোর মতো সব তরুণ প্রতিভারা ডর্টমুন্ডেই আলো ছড়িয়েছেন বা ছড়াচ্ছেন। এ কারণেই ইউরোপের কঠিন লিগগুলোর সঙ্গে মানিয়ে নিতে ডর্টমুন্ডকেই প্রথম ধাপ বানাতে চাইছেন পেদ্রিনহো। খেলোয়াড়ের দাবি মেটাতে নাকি ডর্টমুন্ডের কাছে ৫০ মিলিয়নের অনেক কম মূল্যেই ছেড়ে দিতে রাজি হয়েছে করিন্থিয়ানস। তবে স্পোর্তের এ সংবাদের প্রেক্ষিতে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি করিন্থিয়ানস।
No comments:
Post a Comment