অং সান সু চির দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ উইন মিন্টকে মিয়ানমারের পার্লামেন্ট দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করেছে। খবর বিবিসি।
দীর্ঘদিন ধরে এনএলডি পার্টির সদস্য হওয়ায় সু চির একজন একান্ত অনুগত ব্যক্তি হিসেবেই পরিচিত মিন্ট।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় যোগ্যতা হচ্ছে সু চির আস্থাভাজন ও বিশ্বস্ত হওয়া। ৬৬ বছর বয়সী মিন্ট সু চির বিশ্বস্ত সহযোগীদের একজন । মিয়ানমারের সংখ্যাগরিষ্ঠ বামার সম্প্রদায়ের একজন তিনি।
ইয়াঙ্গুন বিশ্বিবদ্যালয় থেকে পাশ করে হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে পেশা গড়তে উদ্যোগী হন। ২০১২ সাল থেকে তিনি নিম্নকক্ষের স্পিকার ছিলেন। গত সপ্তাহে মিন্ট ওই পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং তাকে ভাইস-প্রেসিডেন্ট করা হয়।
আগে থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাকেই বেছে নেয়া হতে পারে এবং ভাইস প্রেসেডন্ট হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ায় এই ধারণা আরো প্রবল হয়ে ওঠে।
১৯৮৮ সালে স্বৈরশাসক জেনারেল নে উইনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে জড়িত ছিলেন এবং সামরিক জান্তার হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি।
২০১৫ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে ব্যাপক ভোটে জয়ের পর তিনি ইয়াঙ্গুনের একটি আসন লাভ করেন যা ক্ষমতাসীন এনএলডি'র নেতৃত্বে তার অবস্থান আরও পাকাপোক্ত করে।
গত সপ্তাহে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট পদ থকে ইস্তফা দেন ৭১ বছর বয়সী টিন চ। সেসময় রাষ্ট্রপতির ফেসবুক পাতায় বলা হয় তিনি বিশ্রাম নিতে চান।
পার্লামেন্টে সামনে তখন সাতদিনের মধ্যে ভাইস-প্রেসিডেন্টদের মধ্য থেকে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বাধ্য-বাধকতা তৈরি হয়।
প্রেসিডেন্ট পদে তিনি ছাড়া সম্ভাব্য আর যে দুজন ভাইস-প্রেসিডেন্ট ছিলেন তাদের একজন সাবেক জেনারেল মিন্ট সোয়ে, যিনি টিন চ পদত্যাগ করার পর ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
যদিও দেশটিতে প্রেসিডেন্টের পদটি আলঙ্কারিকমাত্র কেননা সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী সু চি। কারণ স্টেট কাউন্সিলর হিসেবে অং সাং সু চি নিজেই সরকার নিয়ন্ত্রণ করছেন। ফলে মিয়ানমারে প্রেসিডেন্ট হিসেবে মিন্টের ভূমিকা হবে মূলত কাগজে-কলমে। দুয়েকদিনের মধ্যে শপথ নিতে পারেন মিন্ট।
No comments:
Post a Comment