Sunday, March 25, 2018
ইতালিতে পাসর্পোট বিড়ম্বনা; চরম অনিশ্চয়তায় হাজার হাজার বাংলাদেশি
ইতালির রোমে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিলান কন্স্যুলেট অফিসে আটকে আছে প্রায় তিন হাজার পাসর্পোট। এর মধ্যে রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসে আঁটকে আছে প্রায় আঠারো’শ এবং মিলান কনস্যুলেট অফিসে আঁটকে আছে এগারো’শ মতো পাসর্পোট। এসব পাসর্পোট কেন আটকে রয়েছে তার সুনির্দিষ্ট কোন উত্তর মিলছে না দূতাবাস এবং কনস্যুলেট অফিস থেকে । এদিকে নতুন পদ্ধতিতে তৈরী মেশিন রিডেবল পাসর্পোট (এমআরপি) না থাকায় অবৈধ হওয়ার আশংকায় রয়েছেন হাজার হাজার বাংলাদেশি। অনেকে হতাশা আর দেশে ফেরার আশংকায় দিন পার করছেন।কারণ ইতালির আইন অনুযায়ী মেশিন রিডেবল পাসর্পোট (এমআরপি) ছাড়া কোন প্রবাসী বৈধতা পাবে না।
ভুক্তোভোগিদের অভিযোগ, নতুন পাসর্পোট পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস এবং কন্স্যুলেট অফিসে কাগজ পত্র জমা দিলেও কেন তারা পাসর্পোট পাচ্ছেন না তার সুনিদিষ্ট কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না । এর বাইরে পাসর্পোট রি-নিউ করতে যেসব প্রবাসীরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দূতাবাসে জমা দিয়েছিলেন তাদেরও অনেকে পাসর্পোট পাননি এমন অভিযোগও রয়েছে।
ইতালির মিলানে একটি সুপার শপে কাজ করেন একজন প্রবাসী বাংলাদেশি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই প্রবাসী ভয়েস বাংলাকে জানান, ‘এক বছর আগে নতুন পাসর্পোট করার জন্য মিলানে কনস্যুলেট অফিসে কাগজপত্র জমা দিয়েছিলাম কিন্তু আমি এখনও আমার পাসর্পোট পায়নি। তিনি আরও জানান, ‘ইতালিতে পাসর্পোট না থাকলে কাজ পাওয়া তো দূরের কথা, মোবাইলের সিম পযন্ত কেনা যায় না।তাছাড়া যে টাকা-পয়সা খরচ করে ইতালিতে এসেছি তা তুলতে পারবো কিনা সে ভয়ে রাতে ঘুমাতে পারছি না’। তার মত বহু বাংলাদেশির অভিযোগ পাসর্পোটকে কেন্দ্র করে। মেশিন রিডেবল পাসর্পোট পেতে কি এমন সমস্যা এবং কেন দেরি হয়, এবং সরকারের বক্তব্য কি এমনটি জানার অপেক্ষায় এসব প্রবাসীরা। তবে বেশিরভাগ ইতালি প্রবাসী বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
তবে বিষয়টি নিয়ে দূতাবাসের কর্মকর্তারাও বেশ জটিলতায় রয়েছেন। প্রতিনিয়ত প্রবাসীদের এই অভিযোগ এবং প্রশ্নের উত্তর দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে কর্মকর্তাদেরও।
উল্লেখ্য: বিগত পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইতালি সরকার বাংলাদেশকে দেশটির শ্রম বাজারের কালো তালিকায় রেখেছে। যার কারণে প্রতিবছর মৌসুমি ভিসা থেকে বাংলাদেশ বাদ পড়েই যাচ্ছে। এ অবস্থায় পাসর্পোট সমস্যা দ্রুত সমাধান না করা গেলে বাংলাদেশ সম্পর্কে এক ধরণের নেতিবাচক ধারণা তৈরী হতে পারে। যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের জন্য সব ধরনের ভিসা প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিতে পারে ইতালি সরকার ।
Labels:
আন্তর্জাতিক
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment