ব্রেস্ট ক্যান্সার মানেই সেটি যে শুধুমাত্র মহিলাদের হবে কিন্তু পুরুষের হবে না, এই ধারণাটি একেবারেই ভুল, এমনই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে ব্রেস্টক্যানসার ডট ওআরজি ওয়েবসাইটে। সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে মহিলারা রুটিন ম্যামোগ্রাফি বা সেল্ফ এগজামিনেশন করে থাকেন। তাই প্রাথমিক স্টেজে এই রোগ ধরা পড়লে চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময়ের সম্ভাবনাও বেশি। যেহেতু বেশিরভাগ পুরুষই এই ধরনের রুটিন টেস্ট করান না, তাই তাদের ক্ষেত্রে এই রোগ ধরা পড়ে অনেকটা দেরিতে।
সাধারণত পাঁচটি কারণে পুরুষ শরীরে এই ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে—বার্ধক্য, উচ্চ ইস্ট্রোজেন লেভেল, ক্লিনেফেল্টার সিনড্রোম (শরীরে পুং হরমোনের চেয়ে স্ত্রী-হরমোনের আধিক্য), ব্রেস্ট ক্যানসারের পারিবারিক ইতিহাস বা জেনেটিক মিউটেশন এবং তেজস্ক্রিয় বিকিরণ। পুরুষদেহে ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণ-
ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণগুলি পুরুষ এবং মহিলাদের দেহে একই রকম। তাই মহিলাদের ক্ষেত্রে ব্রেস্ট ক্যান্সারের যে লক্ষণগুলি দেখা যায়, পুরুষের ক্ষেত্রেও তাই। আরও একবার দেখে নেওয়া যাক। এই লক্ষণগুলির যে কোনও একটিও যদি দেখা যায় তবে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া খুব জরুরি—
১. ব্রেস্টে যে কোনও ধরনের লাম্প গঠন।
২. নিপল বা স্তনবৃন্তে ব্যথা।
৩. ইনভার্টেড নিপল বা স্তনবৃন্ত ভিতর দিকে ঢুকে যাওয়া।
৪. স্তনবৃন্ত ও আরিওলা অংশে ব্যথা।
৫. বগলে স্ফীত লিম্ফ নোড।
No comments:
Post a Comment