ব্রাজিলে সামাজিক আন্দোলনের প্রতিমূর্তি হয়ে ওঠা ম্যারিলো ফ্রাঙ্কোকে হত্যার ঘটনায় দেশটিতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। ব্রাজিলের স্থানীয় সময় বুধবার রাতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আফ্রিকান-ব্রাজিলিয়ান ও রিও ডি জেনিরোর কাউন্সিলর ম্যারিলো ফ্রাঙ্কো পুলিশের অন্যায় ও সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আসছিলেন।
জানা যায়, ব্রাজিলের স্থানীয় সময় বুধবার রাতে ড্রাইভারসহ গাড়ি নিয়ে বের হন ম্যারিলো ফ্রাঙ্কো। ওইসময় কে বা কারা তাকে গুলি করেছে সে বিষয়ে এখনো কিছু বলা না গেলেও, বিরোধী দলের প্রার্থীরা বলছে, পুলিশ এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
এদিকে ফ্রাঙ্কো হত্যার পরই রিও ডি জেনিরোতে জমায়েত হয়েছে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। তারা ফ্রাঙ্কো হত্যার পেছনে পুলিশের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন। পাশাপাশি বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন মানবাধিকার কর্মীরাও। এতে পুলিশের সঙ্গে তাদের কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। এদিকে উত্তেজনা প্রশমনে সেনাবাহিনীকে মাঠে নামিয়েছে দেশটির সরকার। পুলিশের গুলিতে সমাজকর্মী হত্যার ঘটনায় আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মারাত্মক প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট মাইকেল টিমার এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য মাঠে নামিয়েছে। এদিকে তার মৃত্যুতে দেশটিতে জাতিগত দাঙ্গা বাঁধতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্যদিকে হত্যাকাণ্ডকে পরিকল্পিত বলে আখ্যা দিয়েছেন রিওডি জেনিরোর আরেক কাউন্সিলম্যান অ্যান্ড্রে লুইস ডি ম্যাকাডো কাস্ত্রো।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট মাইকেল টিমার এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য মাঠে নামিয়েছে। এদিকে তার মৃত্যুতে দেশটিতে জাতিগত দাঙ্গা বাঁধতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্যদিকে হত্যাকাণ্ডকে পরিকল্পিত বলে আখ্যা দিয়েছেন রিওডি জেনিরোর আরেক কাউন্সিলম্যান অ্যান্ড্রে লুইস ডি ম্যাকাডো কাস্ত্রো।
জানা গেছে, ব্রাজিলের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মাইকেল টিমারের দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির জন্য তিনি দেশটিতে ক্রমান্বয়ে জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন। ২০১৭ সালে রিওডি জেনিরোতে কেবল সংঘর্ষের ঘটনায় ২ হাজার ১২৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে, যা ২০১৪ সালের তুলনায় ৩৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া পুলিশের গুপ্তহত্যা ও ক্রসফায়ারের নামে শতাধিক বিরোধী দলীয় নেতাকে হত্যার অভিযোগ আনা হচ্ছে। বলা হচ্ছে কেবল, জানুয়ারিতেই ১৫৪ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে এ ধরণের ঘটনার স্বীকার হতে হয়েছে।
সূত্র: ওয়াশিংটন জার্নাল
No comments:
Post a Comment