কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যার ২ বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ মঙ্গলবার। কিন্তু দীর্ঘ ২ বছরেও তনুর খুনিরা শনাক্ত হয়নি কিংবা ধরা পড়েনি। মামলার অগ্রগতি সম্পর্কেও কিছু জানে না তার পরিবার। এ নিয়ে হতাশা ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে স্বজনদের মাঝে।
অন্যদিকে, মেয়ের শোকে তনুর বাবা ইয়ার হোসেন শয্যাশায়ী। আজ নিজেদের গ্রামের বাড়িতে দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়েছে বলে তনুর মা আনোয়ারা বেগম জানিয়েছেন। থানা পুলিশ ও ডিবি’র পর ২০১৬ সালের ১ এপ্রিল থেকে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি কুমিল্লা। লাশের দুই দফা ময়নাতদন্তের পরেও কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ মৃত্যুর সুস্পষ্ট কারণ উল্লেখ করেনি। শেষ ভরসা ছিল ডিএনএ রিপোর্ট। ২০১৭ সালের মে মাসে সিআইডি তনুর জামা-কাপড় থেকে নেওয়া নমুনার ডিএনএ পরীক্ষা করে ৩ জন পুরুষের শুক্রাণু পাওয়ার কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল। পরে সন্দেহভাজনদের ডিএনএ ম্যাচিং করার কথা থাকলেও তা করা হয়েছে কিনা এ নিয়েও সিআইডি বিস্তারিত কিছু বলছে না। মামলা প্রসঙ্গে গণজাগরণ মঞ্চ কুমিল্লার সংগঠক খায়রুল আনাম রায়হান জানান, মামলাটি দীর্ঘদিন সিআইডিতে পড়ে আছে। এ নিয়ে সিআইডির গা-ছাড়া ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
গতকাল তনুর বাবা ইয়ার হোসেন এবং মা আনোয়ারা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে ইত্তেফাককে বলেন, ‘দেখতে দেখতে দুইটা বছর পার হইয়া গেছে, এখনও তদন্ত শেষ হয় নাই, খুনিরা ধরা পড়ে নাই। আর কবে বিচার হবে আমার মেয়ের হত্যাকারীদের। এখনও ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা কি করছি, কখন কোথায় যাচ্ছি- তা নজরদারী করা হচ্ছে। মোবাইলে কারও সাথে কি কথা বলছি- তাও রেকর্ড করা হচ্ছে। মেয়ে হারানোর সাথে ব্যক্তি স্বাধীনতাও যেন হারিয়ে ফেলেছি।’ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিআইডি কুমিল্লার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জালাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, তদন্ত অব্যাহত আছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে রহস্য উদঘাটন করে অপরাধীদের শনাক্ত করা হবে। ডিএনএ ম্যাচিং সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্তের স্বার্থে মন্তব্য করব না।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment