সুলতানার স্বপ্নগুলো এখন শুধুই দুঃস্বপ্ন হয়ে তাড়া করছে। মাত্র ৫ মাস আগের কথা স্বামী পরিত্যাক্তা সুলতানা ৩ সন্তানের জননী অভাবগ্রস্ত পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস। কোন ভাবেই সন্তানদের পরিপূর্ণ জীবন গড়তে সে ব্যর্থ। তাই পরিবারের সুখের আশাই সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে নিজের জীবনকে উৎস্বর্গ করে সৌদি আরবে পাড়ি জমাই একজন গৃহপরিচালিকা হয়ে। প্রথম একমাস সুলতানার ভালোই কাটলো সৌদির বেতনও ১০০০ রিয়াল পাঠিয়ে ছিল বাড়িতে। কিন্তু একমাস পরে যখন সুলতানাকে নেওয়া হলো অন্য এক সৌদির বাসায় তখন থেকেই তার মাথার উপরে বাসা বাঁধতে থাকে দুঃস্বপ্নের কালো মেঘ।
স্বপ্নগুলো ক্রমশ দূরে সরে যেতে থাকে। বাংলাদেশের দালালদের সেইসব প্রতিশ্রুতি প্রতিনিয়ত কানে বাজতে থাকে আর সেই সাথে বাড়তে থাকে সৌদি পরিবারের সদস্যদের অত্যাচার, মারধর এমনকি কু প্রস্তাবনার। ইতোমধ্যে খাদ্য তালিকা থেকে সুলতানার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে কেড়ে নেওয়া হয়েছে মুঠো ফোনও। মৃত্যই যখন একমাত্র মুক্তির পথ এই উপলব্ধি থেকে জীবনকে পুজিঁ করে সুলতানা বাড়ির ময়লা ফেলার নাম করে বাইরে বের হয়ে দৌড়াতে থাকে দৌড়াতে দৌড়াতে একসময় কিছু বাংলাদেশীর দেখা মেলে তাদেরই মাধ্যমে সুলতানা চলে আসে খামিস মুসায়েত নামক একটি শহরে যেখানে আসির প্রদেশ বঙ্গবন্ধু পরিষদের সংগঠনের সহযোগিতায় একটি পরিবারে বতর্মানে সুলতানা আশ্রিয়ত। বাংলাদেশ জেদ্দা কনসুেল্যটেরর মাধ্যমে হয়ত কিছু দিনের মধ্যে সুলতানা তার প্রিয়জনের কাছ ফিরে যেতে পারে।
No comments:
Post a Comment