Social Icons

Wednesday, December 26, 2018

শরীরে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণের সহজ উপায়

ইদানীং অনেকের শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। নানা ধরনের সমস্যায় ভুগছেন তারা। বিশেষ করে বাত ও ব্যথা সমস্যা প্রকট।
সাধারণত, মূত্রের মাধ্যমে ইউরিক অ্যাসিড বেরিয়ে যায়। তবে যকৃত ঠিকভাবে কাজ না করলে এর পরিমাণ রক্তে বেড়ে যায়। পরে তা কিডনিতে পৌঁছায়। সেটি এ বিষাক্ত পদার্থ ছেঁকে শরীর থেকে সময়মতো বের করতে না পারলে নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়।
মূলত খাদ্যাভ্যাসের কারণে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়ে। যারা চর্বিযুক্ত খাবার খান বেশি, তারাই সাধারণ এর কবলে পড়েন। উচ্চমাত্রায় এটি বেড়ে গেলে শরীর অকেজো হয়ে পড়ে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে হাঁটুসহ বিভিন্ন অস্থিসন্ধি ফুলে যায় এবং ব্যথা হতে থাকে।
উচ্চমাত্রায় চিনি খাওয়ার কারণে হতে পারে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। দেহে মাত্রাতিরিক্ত এ অ্যাসিডের উপস্থিতির কারণে গেঁটে বাত,উচ্চরক্তচাপ,কিডনি সমস্যাসহ নানা রকমের অসুখ হতে পারে।
স্বাভাবিকভাবে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা হলো-পুরুষের ক্ষেত্রে: ৩.৪–৭.0 mg/dL এবং নারীর ক্ষেত্রে: ২.৪–৬.0 mg/dL। এর চেয়ে বেশি হলে তা নিয়ন্ত্রণ করা অত্যাবশ্যক হয়ে পড়ে।
শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খুবই কার্যকর উপাদান অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার। এটি সহজলভ্যও বটে।
ব্যবহারবিধি: অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার কিনুন। ১ চা চামচ ভিনেগার নিন। এক গ্লাস পানির সঙ্গে মিশিয়ে পান করুন। দিনে অন্তত ২-৩ বার এই মিশ্রণ পান করুন।
অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার শরীর থেকে যে কোনও দূষিত পদার্থ বের করে দিতে কার্যকর। এতে থাকে ম্যালিক অ্যাসিড, যা ইউরিক অ্যাসিডের ক্রিস্টালগুলোকে ভেঙে দেয়। শরীরে গাঁটে তা জমাট বাঁধতে বাধা দেয়।
এছাড়া প্রতিদিন অন্তত ৩ লিটার পানি খেলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। পাশাপাশি উচ্চ প্রটিনযুক্ত খাবার,যেমন-মাছ, মাংস,মসুর ডাল, রাজমা, সবুজ সবজি (পালং শাক) এড়িয়ে চললে এ থেকে মুক্ত থাকা যায়।
এর করাল গ্রাস থেকে মুক্ত থাকতে অতিরিক্ত পিউরিনযুক্ত খাবার, যেমন লাল মাংস (রেড মিট), লাল মদ (রম) বা সামুদ্রিক মাছ কম খেতে হবে।

ঘরেই তৈরি করুন ইলিশ বল

ইলিশ মাছ দিয়ে মজার অনেক খাবার তৈরি করে থাকি। তেমনই একটি পদ হলো ইলিশ বল। সাধারণত আমরা যেভাবে ফিশবল তৈরি করি এটি অনেকটা সেভাবেই করতে হয়।
আসুন জেনে নেই কীবাবে তৈরি করবেন ইলিশ বল।
উপকরণ
ইলিশ মাছ ৬ টুকরা, সয়াসস ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, আদা বাটা ১ চা-চামচ, রসুন বাটা আধা চা-চামচ। সব উপকরণ দিয়ে মাছ সেদ্ধ করে কাঁটা বেছে নিতে হবে। সেদ্ধ ডিম ২টা, গাজর কুচি সিকি কাপ, আলু কুচি আধা কাপ, বরবটি কুচি সিকি কাপ, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, মাখন ৫০ গ্রাম, জিরার গুঁড়া ১ চা-চামচ, ডিম ২টা, ব্রেডক্রাম প্রয়োজনমতো, তেল (ভাজার জন্য) প্রয়োজনমতো, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ।
প্রণালি
সেদ্ধ ডিম দুটি মিহি কুচি করে নিতে হবে। সবজিগুলো অল্প লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে। ডিম ও ব্রেডক্রাম ছাড়া সব উপকরণ একসঙ্গে মাখাতে হবে। এবার বলের মতো বানিয়ে ডিমে চুবিয়ে ক্রামে গড়িয়ে ডুবো তেলে ভাজতে হবে। গরম গরম সসের সঙ্গে পরিবেশন।

থাইল্যান্ডে বৈধতা পেল গাঁজা

দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে থাইল্যান্ডের পার্লামেন্ট গাঁজার ওপর বৈধতা পেয়েছে। দেশটিতে ১৯৩০ সাল পর্যন্ত শারীরিক ব্যথা ও ক্লান্তি দূর করার জন্য গাঁজা সেবন করা ছিল একটি প্রচলিত রীতি। পরে গাঁজা সেবন, পরিবহন এবং বাজারজাতকরণের বিষয়ে আইনি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
মঙ্গলবার দেশটির সংসদে ১৯৭৯ সালের মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের মাধ্যমে এ বিষয়ে একটি বিল পাশ হয়েছে।
তবে আপাতত সেখানে গবেষণায় এবং ওষুধ বানানোর ক্ষেত্রে গাঁজা ব্যবহার করা হবে। নতুন বছরে জনগণের জন্য এটা একটি নতুন উপহার বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
টেলিভিশনে প্রচারিত সংসদীয় ভাষণে খসড়া কমিটির চেয়ারম্যান সোমচাই সাওয়াংকার্ন বলেন, জাতীয় আইন পরিষদের পক্ষ থেকে এটি থাইল্যান্ড সরকার ও তার জনগণের জন্য নববর্ষের উপহার।
আগামী বছর আইনটি বাস্তবায়নের পর গাঁজা উৎপাদন এবং বাজারজাতকরণের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করবে সরকার।
এর আগে ২০১২ সালে উরুগুয়ে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে বিনোদনমূলক ব্যবহারের জন্য গাঁজাকে বৈধ বলে ঘোষণা করে। সেবছরই যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন স্টেট আর কলোরাডোর প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকরা চিকিৎসা বাদে অন্যান্য কাজে ব্যবহারের জন্য গাঁজার ব্যবহারে বৈধতা দেয়ার নীতির সমর্থন করে।

রেজা কিবরিয়ার বাসায় পুলিশ, লাঠিসোঁটা নিয়ে গ্রামবাসীর অবস্থান

হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনের ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ড. রেজা কিবরিয়ার গ্রামের বাড়িতে তার বাসভবনে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ।
এজাহারভুক্ত আসামির খুঁজে বুধবার বিকালে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এ সময় পার্শ্ববর্তী গ্রামের জামে মসজিদে মাইকিং করে পুলিশের তল্লাশির খবর জানালে গ্রামবাসী লাঠিসোঁটা নিয়ে রেজা কিবরিয়ার বাড়িতে অবস্থান নেয়।
গ্রামবাসীর অবস্থান দেখে পুলিশের টহল টিম বাড়ি থেকে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে পার্শ্ববর্তী গোপলাবাজার তদন্তকেন্দ্রে অবস্থান নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জামাল আহমদ সুমনের ওপর গত ১৯ ডিসেম্বর স্থানীয় বান্দেরবাজার এলাকায় রেজা কিবরিয়ার সমর্থকরা হামলা করে।
এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান সেফু রেজা কিবরিয়ার বাড়িতে অবস্থান করছেন খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়।
এ সময় ২ তলাবিশিষ্ট বাসার কক্ষে তল্লাশির সময় কে বা কারা মসজিদের মাইকে মাইকিং করে রেজা কিবরিয়ার বাসায় পুলিশ ও অজানা মানুষের আসার খবর দিয়ে গ্রামবাসীকে লাঠিসোঁটা নিয়ে আসার জন্য বলা হয়।
মাইকিং শোনে শত শত গ্রামবাসী লাঠিসোঁটা নিয়ে আসলে অবস্থা বেগতিক দেখে পুলিশ দ্রুত স্থান ত্যাগ করে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে অবস্থান নেয়।
এ ব্যাপারে ড. রেজা কিবরিয়ার একান্ত সহকারী সোহরাব হোসেন মাহদি ও শাহাবুদ্দিন শুভ জানান, তারা বাসায় অবস্থান করছিলেন। এ সময় হঠাৎ একদল পুলিশ এসে বাসায় তল্লাশি চালায়। এ সময় পুলিশ আসামি ধরার নাম করে বিভিন্ন কক্ষে গিয়ে আমাদের মালামাল তছনছ করতে থাকে। এক পর্যায়ে গ্রামবাসী মসজিদের মাইকে মাইকিং করলে পুলিশ চলে যায়।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার এসআই সামছুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মুজিবুর রহমান সেফু রেজা কিবরিয়ার বাড়িতে অবস্থান করছেন- এমন খবরে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। তখন মসজিদের মাইকে অপপ্রচার করে গ্রামবাসীকে বিভ্রান্ত করে পুলিশের কাজে বাধা দেয়া হয়। এ সময় আসামি না পেয়ে আমরা চলে আসি।
এদিকে ড. রেজা কিবরিয়ার ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তায় ও স্ট্যাটাস দিয়ে জানান, তার বাসায় পুলিশ হামলা চালিয়েছে এবং তল্লাশি চলাকালে মসজিদের মাইকে যে ঘোষণা দেয়া হয় সেটা আপলোড করা হয়েছে। তল্লাশি চলাকালে নবীগঞ্জ উপজেলার ১নং বড় ভাকৈর ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারণায় ছিলেন তিনি।
ড. রেজা কিবরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,আমাকে হয়রানি করার জন্যই এই তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ।

ব্রাজিলের যে দ্বীপে গেলে নিশ্চিত মৃত্যু !

দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরের মাঝে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে 'ইলহা দ্য কুয়েইমাডা গ্র্যান্ডে'। জানা গেছে, সাও পাওলো থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে এই দ্বীপে কেউ পা রাখার সাহস দেখান না। কারণ ব্রাজিলের মানুষের মধ্যে ধারণা, ওই দ্বীপে গেলে জীবিত কেউ ফিরে আসে না! এজন্য দেশটির সরকারও ওই দ্বীপে মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। 
রহস্যে মোড়া এই দ্বীপটিকে নিয়ে কয়েকটি গল্প প্রচলিত রয়েছে।  সেই গল্প অনুযায়ী সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন এক মৎস্যজীবী। খিদে পাওয়ায় খাবারের খোঁজে ইলহা দ্য কুয়েইমাডা গ্র্যান্ডে প্রবেশ করেছিলেন। পর দিন নাকি তাঁর রক্তাক্ত দেহ পাওয়া যায়। এই ঘটনার পর মানুষের মধ্যে আতঙ্ক আরও বাড়ে এবং 'ওই দ্বীপে গেলে জীবিত কেউ ফেরে না'- এই ধারণাটা আরও চেপে বসে তাঁদের মধ্যে।
তবে ওই মৎস্যজীবীর ‘রহস্যময়’ মৃত্যুর পরেও ওই দ্বীপেই গিয়ে ডেরা বাঁধেন কয়েক জন। লাইটহাউস রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি পরিবার ওই দ্বীপে বেশ কয়েক বছর থাকতেন। ১৯০৯-’২০ পর্যন্ত ছিলেন তাঁরা। শোনা যায়, ঘরে ঢুকে পুরো পরিবারকে মেরে ফেলে সাপের দল।
কোথা থেকে আসলো এই সাপ? এ নিয়েও কাহিনী আছে। শোনা যায়, জলদস্যুরা লুঠ করা সোনা এই দ্বীপে লুকিয়ে রাখত। কেউ যাতে সেগুলো হাতাতে না পারে সে জন্য কয়েকটি বিষাক্ত সাপ দ্বীপে ছেড়ে দিয়েছিল তারাই। সেই সোনার লোভে বারেবারেই সেখানে গিয়েছে মানুষ। কিন্তু শোনা যায়, তারা কেউই ফেরেনি। তারপর সেই সাপের বংশবৃদ্ধি হতে থাকে। কয়েকটি সাপ থেকে কয়েক হাজার সাপে ভরে যায় গোটা দ্বীপ। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, দ্বীপের সাপগুলো গোল্ডেন ল্যান্সহেড প্রজাতির। বিশ্বের অন্যতম বিষধর সাপ এটি।
এদিকে, এই সাপকে বাঁচাতে পদক্ষেপ নিয়েছে ব্রাজিল সরকার। কারণ গোল্ডেন ল্যান্সহেড বিরল প্রজাতির সরিসৃপ। বিশ্ববাজারে এদের চাহিদা থাকায় চোরা কারবারিদের হাত থেকে রক্ষা করতে এবং একই সঙ্গে এই সাপের কামড়ে যাতে সাধারণ মানুষের মৃত্যু না হয়-  এ লক্ষ্যে দ্বীপে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে ব্রাজিল সরকার।
সূত্র: আনন্দবাজার

নেইমারকে বার্সায় চান ব্রাজিলের আর্থার

লিবিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হামলায় নিহত ৩

লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ৩ জন নিহত হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছে আরো ২১ জন। দেশটির পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়।
জিহাদি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) ইতিমধ্যে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
দেশটির বিশেষ বাহিনীর মুখপাত্র তারাক আল-দাওয়াস বলেন, মন্ত্রণালয়ের কাছে একটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ হলে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
তিনি বলেন, এ সময় ভবনের তৃতীয় তলায় একজন আত্মঘাতী হামলাকারী শরীরে বেঁধে রাখা বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। আরেকজন হামলাকারীর সু্টকেসে বিস্ফোরক ছিল। এটি বিস্ফোরিত হলে সে মারা যায়।
মন্ত্রণালয়ের বাইরে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তৃতীয় হামলাকারীকে হত্যা করে। সে নিরস্ত্র ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পড়ে ছিল।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, এই হামলায় অন্তত তিনজন নিহত ও আরো ২১ জন আহত হয়েছে।
লিবিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাহার সিয়ালা বলেন, নিহতদের মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বিভাগের প্রধান ও সিনিয়র কূটনীতিক ইবরাহীম আল-শাইবীও আছেন।
বিস্ফোরণের পর ভবন থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। এ সময় ভবনের বাইরে অ্যাম্বুলেন্স, প্যারামেডিকস ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আইএস এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, ‘খিলাফতের তিন সৈন্য’ এই হামলা চালিয়েছে।

এবার ইতালিতেও আগ্নেয়গিরির প্রভাবে ভূমিকম্প

ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে অস্বাভাবিক সুনামি আঘাত হানার মাত্র চারদিনের মাথায় প্রায় একই ধরনের ঘটনা ঘটলো ইতালিতেও। বুধবার ইউরোপের সবচেয়ে জীবন্ত আগ্নেয়গিরি মাউন্ট ইটনা থেকে অগ্ন্যুৎপাতের পর ভূমিকম্প হয়েছে ইতালির সিসিলিতে।
ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগ্নেয়গিরির প্রভাবে এমন ভূমিকম্প ও সুনামির ঘটনা প্রকৃতিতে স্বাভাবিক নয়। এমন ক্ষেত্রে পূর্বাভাস দেয়াও সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছেন তারা।
ইতালির সংবাদ মাধ্যম জানায়, রিখটার স্কেলে বুধবারের ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিলো ৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন ৩ জন। বেশকয়েকটি ভবন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ সিইসির সঙ্গে কামাল হোসেনের ‘উত্তপ্তবাক্য বিনিময়’
এবার ইতালিতেও আগ্নেয়গিরির প্রভাবে ভূমিকম্প

এর আগে মাউন্ট ইটনি হতে আসা ছাইয়ে ঢেকে যায় আশপাশের গ্রাম ও বিমানবন্দরের রানওয়ে। সাময়িকভাবে বিমানবন্দরটি বন্ধ করে দেয়া হয়।
শনিবার ইন্দোনেশিয়ার সান্দা স্ট্রেইটে আগ্নেয়গিরির উদগিরণের কারণে অস্বাভাবিক সুনামি দেখা দেয়। এতে এখন পর্যন্ত ৪ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে দেড় হাজারেরও বেশি।

অর্ধেকের বেশি ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ বগুড়ায়

বগুড়া জেলার সাতটি আসনে ৯২৬টি ভোটকেন্দ্রের অর্ধেকের বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে বগুড়া-(সারিয়াকান্তি-সোনাতলা), বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) এবং বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনের ভোটকেন্দ্রগুলোতে সহিংসতা বেশি ঘটতে পারে বলে আশংকা করা হয়েছে। ফলে এসব কেন্দ্রে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।



বগুড়া পুলিশের গোয়েন্দা শাখা জানায়, আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়ায় সাতটি সংসদীয় আসনের ৯২৬ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। এর মধ্যে ৫৬০টিকে ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) ও ৩৬৬ টিকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

নির্বাচন তফসিল ঘোষণার পর নাশকতার ঘটনায় বগুড়ায় যে ১৪টি মামলা করা হয়েছে তার ১১টি মামলা বগুড়া-১, ২ ও ৫ আসনে। এর মধ্যে সোনাতলায় ৬টি, সারিয়াকান্দিতে দুটি এবং শিবগঞ্জে ৩টি মামলা রয়েছে। এর একটির বাদী পুলিশ, বাকিগুলো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী।

২০১৪ সালের নির্বাচনে বগুড়া-১ এবং বগুড়া-৫ আসন ধরে রেখে মহাজোটের মিত্রদের কাছে বাকি পাঁচটি আসন ছেড়ে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। এবারো সেই পাঁচটি আসন মহাজোটের প্রার্থীদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

বগুড়া-১ আসনের সারিয়াকান্দি উপজেলায় ৬৯ কেন্দ্রের মধ্যে ৪৫ টিকে ঝুঁকিপূর্ণ ও ২৪টিকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সোনাতলা উপজেলার ৫৩ কেন্দ্রের মধ্যে ৪৭টি ঝুঁকিপূর্ণ, বগুড়া-২ আসনে ১১০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৭০টি, বগুড়া-৩ আসনে ১০৮ কেন্দ্রের মধ্যে ৭৭টি, বগুড়া-৪ আসনে ১০৫ কেন্দ্রের মধ্যে ৫৬টি, বগুড়া-৫ আসনে ১৭৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ১২৩টি, বগুড়া-৬ আসনে ১৪১ কেন্দ্রের মধ্যে ৫৯টি, বগুড়া-৭ আসনে ১৬১টি কেন্দ্রের মধ্যে ৮৩টি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

আরো পড়ুন: প্রতিপক্ষের ওপর আমার পূর্ণ সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ আছে: মাশরাফি

জানা গেছে, নির্বাচনে দুই হাজার পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন সশস্ত্র পুলিশ ও ১২ জন আনসার সদস্য থাকবেন। ৯২৬ কেন্দ্রে মোট ১১ হাজার ১১২ জন আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবেন।

প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রতি ২-৩টি কেন্দ্রে একটি করে মোট ৮০টি মোবাইল টিম, সদরে দুটি ও প্রতি উপজেলায় একটি করে ১৩টি স্টাইকিং টিম থাকবে। এ টিমের প্রতিটিতে ১০ জন করে পুলিশ সদস্য থাকবেন। পুলিশ লাইন্স ও থানায় স্টান্ডবাই থাকবেন ৪০ জন পুলিশ সদস্য। টিমে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকছেন। এ ছাড়া, ইতোমধ্যে সাতটি আসনে ১৬ প্লাটুন বিজিবি সদস্য ও ৭০০ সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সদরে ১৫০ জন ও ১১ উপজেলায় ৫০ জন করে সেনা সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ ও পুলিশ সুপার মো. আলী আশরাফ ভূঞা জানান, সাতটি আসনেই শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণের জন্য সবরকম প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে।

মহাজোট ২৪৮ আসনে জয়ী হতে পারে: আরডিসি জরিপ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৪৮টি আসনে জয়ী হতে পারে বলে অনুমান করছে রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (আরডিসি)। আর ঐক্যফ্রন্ট পাবে ৪৯টি আসন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী বা অন্যান্যরা পাবে তিনটি আসন।
বুধবার দুপুর আরডিসি এক ছায়া ভোটের ফলাফল প্রকাশ করে। যা রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। ফলাফল তুলে ধরেন আরডিসির অর্থনীতিবিদ ফরেস্ট ই কুকসন। তিনি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর একজন পরামর্শক।
ফলাফলে দেখা যায়, দেশের ভোটারদের ৬০ শতাংশ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে। আর বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টকে দিয়েছে ২২ শতাংশ ভোটার। এই ভোটে ১০ শতাংশ মানুষ কাকে ভোট দেবেন, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাতে পারেননি।
আরডিসি বলছে, ৯ থেকে ১৬ ডিসেম্বর দেশের ৫১টি সংসদীয় আসনে সোয়া দুই হাজার ভোটারের ওপর জরিপ চালিয়ে তারা এ পূর্বাভাস পেয়েছে। ভোট জরিপে অংশ নেয় ২ হাজার ২৪৯ জন ভোটার।
ফলাফলে আওয়ামী লীগকে ভালো বলেছে, ৬৪ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ। আর খারাপ বলেছে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ। অপরদিকে বিএনপিকে ২৭ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ ভালো বলেছে। আর খারাপ বলেছে ১৮ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ।
জরিপ সম্পর্কে ফরেস্ট ই কুকসন বলেন, রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ হয়ে নির্বাচনের সম্ভাব্য ফলাফল জানতে এই জরিপ করা হয়। দেশের প্রত্যেক অঞ্চলের ভোটারদের থেকে মতামত নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে কত জেলা বা উপজেলায় এই জরিপ করা হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি তিনি।
২০১১ সালের আদমশুমারির তথ্যগুলোকে নমুনা হিসেবে নিয়ে দৈবচয়নের ভিত্তিতে দেশের জেলা-উপজেলাগুলো থেকে ভোটারদের এই জরিপ করা হয়। ছায়া জরিপে ভোট দিতে নারীদের জন্য লাল ব্যালট পেপার ছিল। পুরুষদের জন্য ছিল নীল ব্যালট পেপার।

Monday, December 24, 2018

অবৈধভাবে আমেরিকায় আসার সময় মারা গেছে শতাধিক বাংলাদেশিসহ চার হাজার অভিবাসীর প্রাণ।


স্বপ্নের দেশ আমেরিকায় আসার সময় গত চার বছরে পানিতে ডুবে অথবা গভীর অরণ্যে হিংস্র জানোয়ারের পেটে গেছে শতাধিক বাংলাদেশিসহ চার হাজার অভিবাসীর প্রাণ।
মানবাধিকার সংস্থা, ফেডারেল স্বাস্থ্য ফতর এবং কমিউনিটিভিত্তিক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। সর্বশেষ ৪ ডিসেম্বর কাজী আবুল আজিজ (২০) নামক এক বাংলাদেশি তরুণের লাশ শনাক্ত করা হয়েছে। তার বাড়ি নোয়াখালী জেলার রাম নারায়ণপুর ইউনিয়নের গোমাতলী গ্রামে। বাবার নাম কাজী আবদুল্লাহ।
দালালকে ২৮ লাখ টাকা দিয়ে মেক্সিকো হয়ে দুর্গম পথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে রায়ো গ্র্যান্দি নদী পাড়ি দিতে ডুবে মরেন আজিজ। গত ১১ অক্টোবর ডুবে যাওয়া আজিজের লাশ উদ্ধার করা হয় ১৬ অক্টোবর। এরপর শনাক্ত করা সম্ভব হলো ৪ ডিসেম্বর। লাশটি এখনো টেক্সাসের ওয়েবকাউন্টি মেডিকেল
এক্সামিনারের হিমঘরে রাখা হয়েছে। একই দলে থাকা কয়েক তরুণ নদী সাঁতরে টেক্সাসে এসে অভিবাসন পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর আজিজ ডুবে যাওয়ার তথ্য জানানো হয়। এ নিয়ে নিউইয়র্কে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘দেশীজ রাইজিং আপ অ্যান্ড মুভিং’ তথা ‘ড্রাম’র সংগঠক কাজী ফৌজিয়া যোগাযোগ রাখছিলেন অভিবাসন দফতর এবং মেডিকেল এক্সামিনার অফিসে। ৪ ডিসেম্বর লাশ শনাক্ত হওয়ার পর কাজী ফৌজিয়ার অনুরোধে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির সেক্রেটারি জাহি মিন্টু দায়িত্ব নিয়েছেন লাশ নিউইয়র্কে এনে জানাজার পর বাংলাদেশে মা-বাবার কাছে পাঠিয়ে দিতে। কয়েক মাস আগে হৃদয়, নাঈম এবং আরমান নামক আরও তিন বাংলাদেশির লাশ শনাক্তের পর নিউইয়র্কে এনে জানাজা শেষে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়। তারাও ছিলেন নোয়াখালীর সন্তান। এসব তথ্য সংগ্রহকালে ৪ ডিসেম্বর আরও জানা গেছে, টেক্সাস, ফ্লোরিডা, আলাবামা, মিমিসিপি, মিশিগান, আরিজোনা, পেনসিলভেনিয়া, নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, ক্যালিফোর্নিয়াসহ বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের ডিটেনশন সেন্টারে দুই হাজারের অধিক বাংলাদেশি মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। তারা সবাই নিজ নিজ এলাকায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের আক্রমণে অতিষ্ঠ হয়ে প্রাণ বাঁচাতে দালাল ধরে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন বলে অভিবাসন দফতরে আবেন করেছেন অর্থাৎ স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য এসাইলাম চেয়েছেন। এ ব্যাপারে ইউএস সুপ্রিম কোর্টের অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী ৪ ডিসেম্বর এ সংবাদদাতাকে জানান, প্রাণ বাঁচাতে লোকজন মোটা অঙ্ক দালালকে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আসছে। এটি শুভ কোনো লক্ষণ নয়। কারণ, অনেকেই সাপের কামড়ে অথবা হিংস্র জানোয়ারের কবলে পড়ছেন। যারা সাঁতার জানেন না তারা নীতে ডুবে মরছেন। অর্থাৎ নিরাপদ আশ্রয়ের প্রত্যাশা অনেকেরই অধরা থেকে যাচ্ছে। যারা ভাগ্যবান তারা এসাইলাম পাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আসার ক্ষেত্রে মেক্সিকোর একটি চক্র জড়িত। এ চক্রের অন্যতম সদস্য হিসেবে মোকতার হোসেন (৩০) নামক এক বাংলাদেশিকে ২৯ নভেম্বর গ্রেফতার করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর পুলিশ যৌথ এক অভিযানে। ৩০ নভেম্বর তাকে হিউস্টনে এনে কোর্টে সোপর্দ করা হয়। এই যুবক মেক্সিকোর মনটেরি সিটিতে হোটেল পরিচালনা করেন। সেই হোটেলটিই মূলত বিভিন্ন দেশ ঘুরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের আগে বিশ্রামকেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত বাংলাদেশিদের কাছে। দালাল চক্রের সস্য হিসেবে মোকতার হোসেন এসব যুবক-যুবতীকে ট্রাক অথবা ভ্যানে ভরে মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে পাঠিয়ে দেয়। ইউএস বিচার বিভাগের ক্রিমিনাল ডিভিশনের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্রায়ান এ বেঞ্চজয়োস্কি, টেক্সাস সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্টের ইউএস অ্যাটর্নি রায়ান কে প্যাট্রিক এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি তদন্ত সংস্থার স্পেশাল এজেন্ট শ্যান এম ফল্ডেন সম্মিলিত এক সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারী নেটওয়ার্কের সদস্য হিসেবে মোকতার হোসেনের গ্রেফতারের ঘটনাবলি উপস্থাপন করেন। 
উল্লে­খ্য, স্বপ্নের দেশ আমেরিকায় পাড়ি জমানোর পর দীর্ঘদিন ধরে যারা অভিবাসনের ডিটেনশন সেন্টারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন, মুক্তির কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না, তাদেরই কেউ কেউ ক্ষুব্ধচিত্তে মোকতার হোসেনসহ পাচারকারী চক্রের অনেকের তথ্য কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন। এ চক্রের সদস্যরা নিউইয়র্ক, টেক্সাস, ক্যালিফোর্নিয়া, আরিজোনা, মেক্সিকো, ব্রাজিল, পানামা এবং কুয়েত-কাতারে রয়েছে বলেও জানা গেছে। লনেতা হচ্ছে পাকিস্তানি। তবে বাংলাদেশিদের দেখ-ভাল এবং দুর্গম পথে চলতে সহায়তাকারীর অধিকাংশই উপরোক্ত স্থানে বসবাসরত বাংলাদেশি বলেও জানা গেছে। 
মোকতার হোসেনের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রশাসনের অভিযোগ, ২০১৭ সালের মার্চ থেকে এ বছরের আগস্ট পর্যন্ত ১৪ বাংলাদেশিকে টেক্সাস সীমান্তে পৌঁছে দেন নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে। মন্টেরিতে নিজের হোটেলে থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করেন সবার জন্য। এরপর পরিচিত ড্রাইভারকে ভাড়া নিয়ে ওদের পাঠিয়ে দেন সীমান্তে। এ পর্যন্তই তার দায়িত্ব। মোকতারকে সাউার্ন ডিস্ট্রিক্ট অব টেক্সাস ফেডারেল কোর্টে জাজ ডিনা হ্যানভিচ পলারমোর এজলাশে সোপর্দ করা হয়েছিল। তাকে আটকাদেশ দিয়ে জেলে রাখা হয়েছে। এখানে বিচার শেষ হলেই মেক্সিকো পুলিশে হস্তান্তর করা হবে সে দেশে বিচারের সম্মুখীন করতে। কারণ, তার বিরুদ্ধে মেক্সিকোর নিউভো আদালতে আদম পাচারের মামলা রয়েছে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলংকা, আফগানিস্তানসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ, ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের ৭ শতাধিক নারীসহ সহস্রাধিক মানুষকে যুক্তরাষ্ট্রে পাচারের অভিযোগ রয়েছে। নিউভো লিয়নের ফোয়েরজা সিভিল এবং মেক্সিকোর ন্যাশনাল ইন্সটিটিউটের সদস্যরা মোকতারের হোটেলে অভিযান চালিয়ে অনেক তথ্য উদ্ধার করেছে। এই হোটেলকে অপরাধ জগতের স্বর্গরাজ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে মেক্সিকো পুলিশ। এ অভিযানে বিস্তারিত সহায়তা দেয় ইউএস হোমল্যান্ড সিকিউরিটির এজেন্টরা। মেক্সিকো কর্তৃপক্ষ এ সংবাদদাতাকে নিশ্চিত করেছে যে, মোকতার হোসেন বেআইনিভাবে বাস করছিলেন মন্টেরিতে। মেক্সিকোর পাবলিক সিকিউরিটি সেক্রেটারি আল্ডো ফাসি আরও জানান, মোকতারের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি দেশেই আদম পাচারের মামলা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে বিচার শেষ হলে মেক্সিকোতে আনা হবে। এরপর তাকে অন্য দেশের বিচারালয়ে সোপর্দ করা হবে। কমপক্ষে এক হাজার নারী-পুরুষ পাচারের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বিভিন্ন দেশে তার বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি হয়েছে। এই মন্ত্রী আরও উলে­খ করেন যে, কমপক্ষে ৭০০ নারী এনেছেন বাংলাদেশ থেকে। এর বড় একটি অংশ কাতার, কুয়েত, ব্রাজিল, মেক্সিকোতে অবস্থান করছে। কেউ কেউ যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকে পড়েছেন। 
এদিকে, গত ৪ বছরের পরিসংখ্যান প্রকাশকালে একটি গণমাধ্যম বলেছে, মেক্সিকোর গভীর জঙ্গল ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সীমানায় আসার পথে অনেকেই নিখোঁজ হয়ে যান। অনেকে খাবারের অভাবে হাঁটতে পারেন না। সে সময় দল থেকে ছিটকে পড়েন। আর যারা কোনোমতে সীমান্ত এলাকায় আসার পর রক্ষীদের বৃষ্টি এড়িয়ে নদী সাঁতরে টেক্সাসে প্রবেশের চেষ্টা করেন, তাদের কেউ কেউ পানির স্রোতে হারিয়ে যান। আত্মীয়-স্বজন এবং সহযাত্রীদের বিবরণ থেকে সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী গত চার বছরে যতজন নিখোঁজ/নিহত হয়েছেন, সে সংখ্যা চার হাজারের বেশি। তবে এর আগের চার বছরে মারা যাওয়া অথবা নিখোঁজ হওয়াদের তুলনায় তা ১৫৭৩ জন বেশি। অর্থাৎ দিন যত যাচ্ছে নিহত/নিখোঁজের সংখ্যাও বেড়ে চলছে। গত চার বছরে নিজ দেশ ত্যাগ করে নিরাপদ আশ্রয় অথবা সুন্দর ভবিষ্যতের সন্ধানে ভিন্ন দেশে গমনের সময় সারা বিশ্বে মোট ৫৬ হাজার মানুষ নিহত/নিখোঁজ হয়েছেন। এই চার হাজার সেই দলেরই। জাতিসংঘের ‘ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফরম মাইগ্রেশন’ তথা আইওম থেকে আরও উদ্বেগজনক তথ্য পাওয়া গেছে অভিবাসীরে চরম দুর্দশার। এ বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাসে প্রায় ২৮৫০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বেআইনি পথে দেশত্যাগের সময়। মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে গত ১০ মাসে মোট ৩৬৪ জনের প্রাণহানী ঘটেছে। এর মধ্যে ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ানের সংখ্যা ৯৭। সেন্ট্রাল আমেরিকানের সংখ্যা ৭৭। ১৮৪ জনের জাতীয়তা শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে, বাংলাদেশিদের কাছে থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দালালরা টাকা নেয়ার পর ঢাকা থেকে মধ্যপ্রাচ্যে নেয়া হয়। সেখান থেকে ব্রাজিল। ব্রাজিলে দালালের ব্যবসা-বাণিজ্য রয়েছে। সেখানে অবস্থানের পর গুয়েতেমালা হয়ে পানামা দিয়ে মেক্সিকোতে নেয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তের কাছে দালালরে মাধ্যমেই থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এখান থেকে সুযোগ বুঝে ঢুকিয়ে দেয়া হয় টেক্সাসের পথে। যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকিয়ে দেয়া পর্যন্তই দালালদের দায়িত্ব। এরপর কেউ মারা গেলে কিংবা লাপাত্তা হলে, সে দায়িত্ব দালালের নয়। অর্থাৎ সৌভাগ্যক্রমে যারা টেহ্নাসে ঢোকার পর অভিবাসন পুলিশের হাতে ধরা পড়েন, তারে অ্যাটর্নি নিয়োগসহ যাবতীয় খরচ বহন করতে হয়। এক্ষেত্রে প্রবাসে তাদের আত্মীয়-স্বজন অথবা এলাকার লোকজন এগিয়ে যান। সম্প্রতি সেন্ট্রাল আমেরিকার দেশগুলো থেকে হাজার হাজার মানুষের মিছিল মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে এসেছে। তারা ঢোকার সুযোগ পাচ্ছে না। এসব মানুষের মিছিলে বাংলাদেশিরাও রয়েছে বলে মেক্সিকো থেকে প্রাপ্ত তথ্যে প্রকাশ। অনুসন্ধানকালে আরও জানা গেছে, ২০ থেকে ৩০ বছর বয়েসী যুবকরাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুর্গম পথে পা বাড়াচ্ছেন। এসাইলাম প্রার্থীর সবাই নিজেকে বিএনপি অথবা এলডিপি অথবা ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিসেবে পরিচিত করেছেন। দেশে ফিরিয়ে দেয়া হলে তারা নির্ঘাত মৃত্যুর মুখে পড়বেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার তারা, এমন দাবি করেছেন প্রায় সবাই।
 

আসছে উড়ন্ত গাড়ি, চলছে বুকিং

ভয়াবহ সমস্যা হচ্ছে যানজট। এই যানজটের কারণে স্থবির হয়ে যায় মানুষের জীবন। অফিস পৌঁছতে বা প্রয়োজনীয় কাজে যেতে দেরি হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, যানজটে পড়ে মৃত্যুরও ঘটনা ঘটে।
এবার এ সব সমস্যা যেন দূর হতে চলেছে। কারণ ব্রিটেনের ডাচ সংস্থা পিএএল-ভি ইন্টারন্যাশনাল নিয়ে আসছে ফ্লাইং কার। যা সড়কসহ আকাশেও চলতে পারবে।
পিএএল-ভি তাদের ওয়েবসাইটে জানায়, ২০২০-র মধ্যেই তারা এই গাড়ি বিশ্বে ছাড়বে। এ জন্য প্রি-বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রথম দিকে ৯০টি গাড়ি বাজারে ছাড়বে। এশিয়ার কয়েকটি দেশ ও ব্রিটেন, ইউরোপ এবং আমেরিকায় বিক্রি করা হবে এই গাড়ি। এরপর আস্তে আস্তে বিশ্বের প্রায় দেশেই তারা এটি বাজারজাত করবে।
আসছে উড়ন্ত গাড়ি, চলছে বুকিং

পিএএল-ভি’র উড়ন্ত গাড়ি। ছবি: ইন্টারনেট
গাড়িটি তিন চাকার। চলবে পেট্রোলে। জ্বালানি ধারণ ক্ষমতা ১০০ লিটার। গাড়িটিতে ২ জন বসার জায়গা রয়েছে। মাল বহনক্ষমতা ২০ কেজির মতো। আর গাড়িটির ওজন ৬৬৪ কেজি।
সড়কপথে সর্বাধিক ১৩১৫ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করবে পিএএল-ভি’র ফ্লাইং কার। আকাশপথে ৪৮২ কিলোমিটার পর্যন্ত অতিক্রম করতে পারবে।
সড়কপথে গাড়িটি সর্বোচ্চ গতি প্রতি ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার। আকাশপথে এর গতি হবে ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার।
আসছে উড়ন্ত গাড়ি, চলছে বুকিং

সড়কে চলছে পিএএল-ভি’র গাড়ি। ছবি: ইন্টারনেট
পিএএল-ভি জানিয়েছে, তাদের এই গাড়িকে ড্রাইভ মোড থেকে হেলিকপ্টার মোডে নিয়ে যেতে সময় লাগবে ১০ মিনিট। ৩৫০০ মিটার অর্থাৎ প্রায় সাড়ে ১১ হাজার ফুট উঁচু দিয়ে ওড়ার ক্ষমতা রয়েছে এই গাড়ির।
গাড়িটির দুটি মডেল রয়েছে। একটি পিএএল-ভি লিবার্টি এক্সিকিউটিভ। অপরটি পিএএল-ভি লিবার্টি স্পোর্ট।
আসছে উড়ন্ত গাড়ি, চলছে বুকিং

গাড়ির ভেতর। ছবি: ইন্টারনেট
পিএএল-ভি লিবার্টি এক্সিকিউটিভ গাড়ির দাম ধরা হয়েছে ২৫ হাজার ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২০ লাখ ৯০ হাজার ৯শ’ টাকার মত আসে। বিস্তারিত জানতে পিএএল-ভি’র ওয়েবসাইট দেখুন। (www.pal-v.com)

ভিনগ্রহীরা পৃথিবী ঘুরে গেছে!

ভিনগ্রহীরা পৃথিবী ঘুরে গেছে? আমরা দেখতে পাইনি এমনটিই দাবি করেছেন নাসার বিজ্ঞানী সিলভানো পি কলম্বানো। কেন দেখতে পাইনি, তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে নাসার এইমস রিসার্চ সেন্টারের এ কম্পিউটার বিজ্ঞানী বলেন, ভিনগ্রহীদের যে ছবি আমরা এত দিন ভেবেছি, এঁকেছি, সেই সবের সঙ্গে ভিনগ্রহীদের চেহারা মেলে না বলে।
কলম্বানোর বক্তব্য, ভিনগ্রহীদের শরীরটা যেন কোনো কার্বন যোগ দিয়ে গড়া বলে আমরা ভেবে এসেছি। হয়তো তা আদৌ সঠিক নয়। তাই পৃথিবী ঘুরে গেলেও আমরা ভিনগ্রহীদের দেখতে পাইনি।
ওই গবেষণাপত্রে কলম্বানো লিখেছেন, ভিনগ্রহীদের সম্পর্কে আমাদের ধ্যানধারণায় ভুল রয়েছে। আমরা মহাকাশে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি। যাচ্ছি। অথচ, ভিনগ্রহীরাও যে এই ব্রহ্মাণ্ডে ঘুরে বেড়াতে পারে বা তাদের সেই ভ্রমণ যে আমাদেরও আগে শুরু হয়ে থাকতে পারে, এটা আমরা মাথায় রাখছি না।

'সেনাবাহিনী দেখে উল্লাসের কিছু নেই'

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সেনাবাহিনী কোন দল বা জোটের নয়। কেউ কেউ সেনাবাহিনী দেখে উল্লাস করছে। সেনাবাহিনী নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে, উল্লাসের কিছু নেই। 
আজ সোমবার দুপুরে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা সদরে কামাল আতাতুর্ক হাইস্কুল মাঠে ফেনী-৩ আসনের মহাজোট প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকের লে. জেনারেল (অব:) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ, পুলিশ, প্রশাসনসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো বিতর্কিত করেছে। সেনাবাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ বা বিতর্কিত না করতে সকলের প্রতি আহব্বন জানান তিনি।
তিনি বলেন, বিএনপি কথার লোক,  কাজ করে না, বছরের পর প্রতারনা করেছে, কলা দেখাচ্ছে,  মূলা  ঝুলাচ্ছে। যে কাজ করে তাকে ভোট দিবেন। যারা কাজ করে না তাদের ভোট দিবেন না।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনার সাবেক প্রটোকল অফিসার আলাউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী নাসিম,  ফেনী-২ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপি, ফেনী-৩ মহাজোটের মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী লে. জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, দিদারুল কবির রতন প্রমুখ।

সেনাবাহিনী সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারবে: সিইসি


নির্বাচনে ভোটের পরিবেশ রক্ষায় সেনাবাহিনী সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনী মাঠে নামায় প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসবে। সেনাবাহিনী ভোটের পরিবেশ রক্ষায় যে কোনো ধরনের ভূমিকা রাখতে পারবে। এ বিষয়ে আইন আছে, সে অনুসারে তারা কাজ করবে।
সোমবার ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে নির্বাচন কমিশন আয়োজিত চলমান ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
রাজনৈতিক দল ও ভোটারদের মধ্যে আস্থা ফেরাতেই সেনা নিয়োগ জানিয়ে সিইসি বলেন, ভোটারদের মধ্যে আস্থা ফেরানোর উদ্দেশ্যেই সেনাবাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিলাম। আমি মনে করি যে, অল্প কিছু অরাজকতা ছিল তা এখন দূর হবে।
সহিংসতা থেকে রাজনৈতিক দলগুলোকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে আবারও অনুরোধ জানাবো-সহিংসতা-সংঘাত আন্তঃকোন্দল দূর করে নিজ নিজ প্রচার চালিয়ে যান।
ছয়টি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার হবে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত প্রাধান্য দিয়ে পাইলট প্রকল্প হিসেবে মাত্র ছয়টি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করছি। যদিও ইভিএমের ব্যাপারে আমাদের কোনো সন্দেহ ছিল না। কিন্তু তাদের সন্দেহ থাকার কারণে আমরা খুব অল্পসংখ্যক ইভিএম ব্যবহার করছি। যারা সন্দেহ প্রকাশ করেছিল, তারা এখন এসে দেখুন-এর সম্পর্কে জানুন। আশা করি তাদের সন্দেহ দূর হয়ে যাবে।
বিএনপিকে পুলিশ ঢাকায় জনসভা করার অনুমতি দিচ্ছে না-এ বিষয়ে ইসির বক্তব্য কী জানতে চাইলে সিইসি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়ে আমার চেয়ে ডিএমপি ভালো জানে। তাদের সঙ্গে আমার এখনও কথা হয়নি। শিগগিরই তাদের সঙ্গে কথা বলব।
প্রসঙ্গত, ভোটের পরিবেশ বজায় রাখতে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করতে আজ থেকে দেশব্যাপী সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আজ থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত তারা মাঠে থাকবে।
৩৮৯ উপজেলায় সেনা ও উপকূলবর্তী ১৮টি উপজেলায় নৌবাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচনে তারা রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয় করে টহল ও অন্যান্য আভিযানিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
এ ছাড়া গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে রয়েছেন এক হাজার ১৬ প্লাটুন বিজিবি সদস্য।

ভুয়া তথ্যের বিষয়ে জনসাধারণকে সেনাবাহিনীর সতর্কবার্তা

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও সেনাবাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার নামে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর বিষয়ে সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের 'আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) থেকে সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সতর্কবার্তা দেয়া হয়।
আইএসপিআরের পরিচালকের পক্ষে সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ রেজা-উল করিম শাম্মী স্বাক্ষরিত 'সেনাবাহিনীর নামে ভুয়া (Fake) ওয়েবসাইট/ফেসবুক পেজ/ইউটিউব চ্যানেলে মিথ্যা তথ্য ও প্রপাগান্ডার ব্যাপারে সতর্কবার্তা' শীর্ষক ওই বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়েছে,
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও সেনাবাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার নামে ভুয়া (Fake) ওয়েবসাইট, ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, ইউটিউব চ্যানেল ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রকার মিথ্যা তথ্য ও প্রপাগান্ডা প্রচারের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা চলছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের নাম ঃ Bangladesh Army, লিংকঃhttps://www.army.mil.bd এবং Join Bangladesh Army, লিংকঃ https://joinbangladesharmy.army.mil.bd। সেনাবাহিনীর ফেসবুক পেজের নাম Bangladesh Army লিংকঃ https://facebook.com/bdarmy.army.mil.bd ও ইউটিউব চ্যানেলের নাম Bangladesh Army, লিংকঃ https://www.youtube.com/channel/UCpkg5RjtYqjRbxwL9Gf5Tfw । এগুলো ছাড়া অন্যান্য সকল ভুয়া (Fake) ওয়েবসাই/ফেসবুক পেজ/ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য ও প্রপাগান্ডার ব্যাপারে জনসাধারণকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ রা হলো।
একই সঙ্গে সর্বসাধারণকে সেনাবাহিনীর সম্পর্কে ভুয়া তথ্যসংবলিত পোস্ট শেয়ার করা থেকে বিরত থাকার জন্যও অনুরোধ করা হলো।

Saturday, December 22, 2018

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট মাইকেল টেমারকে দুর্নীতি ও অর্থপাচারের দায়ে অভিযুক্ত করেছেন দেশটির শীর্ষ কৌঁসুলি রাখেয়েল ডজ।

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট মাইকেল টেমারকে দুর্নীতি ও অর্থপাচারের দায়ে অভিযুক্ত করেছেন দেশটির শীর্ষ কৌঁসুলি রাখেয়েল ডজ। আগামী জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়তে যাচ্ছেন টেমার।
২০১৭ সালে একটি ডিক্রি জারিতে ঘুষ বিনিময়ের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। ওই ডিক্রিতে দুটি বন্দর চুক্তি ৭০ বছর পর্যন্ত বাড়াতে অনুমোদন করা হয়েছিল। সে বিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর বুধবার তাকে অভিযুক্ত করা হয়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে এক বিবৃতি দেশটির প্রেসিডেন্ট ভবন জানায়, তিনি প্রমাণ করবেন যে এতে কোনো দুর্নীতি হয়নি। কোনো কোম্পানি অবৈধভাবে সুবিধা নেয়নি।

২০২৩ সাল পর্যন্ত ইউভেন্তুসে ব্রাজিলের সান্দ্রো

কেন হুট করে ব্রাজিলে গেলেন নেইমার?

কোনোরকম পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ব্রাজিল সুপারস্টার নেইমারের প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন (পিএসজি) ছেড়ে নিজ দেশ ব্রাজিলে ফিরে যাওয়া নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। আবার কোনো বিবাদে জড়াননিতো 'ওয়ান্ডার বয়'? তবে জানা গেল, সেরকম কিছুই নয়।  অনুমতি নিয়েই নেইমার ব্রাজিলে ফিরে গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন পিএসজি কোচ থমাস টাচেল। শনিবার নানটেসের বিপক্ষে লিগ ওয়ানের বিপক্ষে হোম ম্যাচে এজন্য তিনি থাকছেন না।
সাম্প্রতিক সময়ে ইনজুরি নিয়েই খেলেছেন নেইমার। এর মধ্যে লিভারপুল ও রেড স্টার বেলগ্রেডের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচগুলোও ছিল। এ কারনেই ২৬ বছর বয়সী এই তারকা স্ট্রাইকারের বিশ্রাম প্রয়োজন বলে টাচেল মনে করেন।
এক সংবাদ সম্মেলনে টাচেল বলেন, 'আমার অনুমতি নিয়েই নেইমার ব্রাজিলে গেছে। সে ইনজুরিতে ভুগছে। রেড স্টারের বিপক্ষে আমরা ঝুঁকি নিয়েই তাকে খেলিয়েছি। সে প্রতিটি ম্যাচই খেলতে চায়। কিন্তু এ ব্যাপারে আমাদের অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। দুই সপ্তাহের জন্য তার বিশ্রামের প্রয়োজন রয়েছে।'
মিডফিল্ডার আদ্রিয়েন রাবোয়িট নিজের আত্মবিশ্বাস হারিয়েছেন বলে অক্টোবরে মার্সেইর বিপক্ষে তাকে দল থেকে বাদ দেয়া হয়েছিল। সেটা একটি বড় ম্যাচ ছিল। যে কারণে ভালো খেলতে থাকা জুলিয়ান ড্রাক্সলারকে খেলানো হয়েছে। এখানে অন্য কোন কারন নেই। এটা ক্লাবের সিদ্ধান্ত ছিল বলেও টাচেল মন্তব্য করেছেন।
জানুয়ারিতে ট্রান্সফার উইন্ডোতে বিশেষ করে মধ্যমাঠের খেলোয়াড়ের উপর বেশি গুরুত্ব দিবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন পিএসজি বস। গোলরক্ষক হিসেবে আলফোনসে আরেয়োলার ২০২৩ পর্যন্ত চুক্তি বৃদ্ধির বিষয়টিকেও স্বাগত জানিয়েছেন টাচেল।

নির্বাচনে জামায়াত নেই, সবাই ধানের শীষের প্রার্থী: বিএনপি

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর কোনো প্রার্থী নেই জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, জামায়াতের যেসব নেতা বিএনপি থেকে নির্বাচন করছেন, তারা বিএনপির মনোনীত প্রার্থী। বিএনপির দলীয় প্রতীক ধানের শীষে নির্বাচন করছেন। তারা জামায়াত মনোনীত প্রার্থী নন।
আদালতের আদেশে বাতিল হওয়া বিএনপির প্রার্থীদের আসনে নির্বাচন স্থগিত অথবা প্রার্থিতা পরিবর্তনের সুযোগ চেয়ে শনিবার দুপুরে সিইসির কাছে চিঠি দিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
ধানের শীষের মনোনয়ন পাওয়া জামায়াত নেতাদের পদ-পদবি তাদের দলীয় ওয়েবসাইটে উল্লেখ আছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম বলেন বলেন, ওয়েব সাইটে পদ-পদবি থাকুক। আপনারাও যদি আমাদের কাছে মনোনয়ন চান, আমরা দিতে পারি। কোনো ওয়েবসাইটে আপনার নাম কীভাবে আছে সেটা পরের ব্যাপার। আমরা আইনের মাধ্যমে দিতে পারি কি-না সেটা হলো বিষয়। 
জামায়াত কোনো নিবন্ধিত দল নয় উল্লেখ করে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা আরও বলেন, কারা কারা জামায়াত করে সেই তালিকাও আমাদের কাছে নাই। আমরা যাদের মনোনয়ন দিয়েছি, তারা আমাদের দলের প্রতীক ধানের শীষ পেয়েছে। এটা যদি অবৈধ হতো তাহলে নির্বাচন কমিশন আগেই বলত- তাদের প্রার্থিতা অবৈধ। তাদের যদি প্রতীক দেয়া বেআইনি হতো, যখন প্রতীক বরাদ্দ করা হয় তখন নির্বাচন কমিশন কেন প্রতীক বরাদ্দ করল। 
''আওয়ামী লীগ সব সময় বলে নির্বাচন কমিশন যা করে তাই আমরা মেনে নিব, বাধা সৃষ্টি করব না। এখন কেন আওয়ামী লীগ ইসির কাজে পদে পদে বাধা সৃষ্টি করছে'', প্রশ্ন রাখেন তিনি।
নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, এখন পর্যন্ত আদালত ১২-১৪ জনের প্রার্থিতা বাতিল করেছে। এ সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এসব আসনের নির্বাচন স্থগিত রেখে আবার নির্বাচনের দাবি করছি। অথবা এসব আসনে আমাদের প্রার্থী পরিবর্তনের সুযোগ দেয়া হোক। নির্বাচন কমিশন প্রার্থিতা বৈধতা দেয়ার কারণেই তাদেরকে আমরা মনোনীত করেছি। কমিশন যদি সেই সময় অবৈধ ঘোষণা করত তাহলে আমরা সেখানে অন্য প্রার্থী দিতাম।
নির্বাচন কমিশনে নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালি, বিজনকান্তি সরকার, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates