Social Icons

Wednesday, August 31, 2016

প্রবাসীরা স্বর্ণ আনার আগে অবশ্যই জেনে নিন এয়ারপোর্টের নতুন নিয়ম

নতুন ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী ২৩৪ গ্রাম স্বর্ণবার সকল প্রকার শুল্ক ও কর পরিশোধ সাপেক্ষে আনা যাবে। প্রবাসীরা স্বর্ণ আনা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যাবলী জেনে নিন।
ক) স্বর্ণালংকারঃ শুল্ক-কর ব্যতীত সর্বোচ্চ ১০০ গ্রাম আনা যাবে। তবে এক প্রকারের অলংকার ১২টির বেশি হতে পারবে না। ১০০ গ্রামের অতিরিক্ত গ্রাম প্রতি ১৫০০/- টাকা হারে শুল্ক-কর পরিশোধ সাপেক্ষে আনা যাবে।
ব্যাখ্যাঃ ১০০ গ্রামের অতিরিক্ত পরিমাণ অলংকার সঙ্গে থাকলে বিমানে সরবরাহকৃত “ব্যাগেজ ঘোষণা ফরম” এর সংশ্লিষ্ট কলামে অবশ্যই “হা”-তে টিক দিতে হবে। কোনভাবে এই ঘোষণায় ব্যর্থ হলে কাস্টম চেকিং এর সময় নিজ থেকে তা কর্তৃপক্ষের কাছে মৌখিকভাবে ঘোষণা করতে হবে। ঘোষণা না করলে গোপন করার দায়ে কিংবা ঘোষণা দিয়ে বাণিজ্যিক পরিমাণ অলংকার আনলে সম্পূর্ণ স্বর্ণালংকারই জব্দ করে আপনাকে ডিএম (ডিটেনশন মেমো) দেয়া হবে। এই ডিএম নিয়ে ২১ দিনের মধ্যে কাস্টম হাউজে নির্ধারিত ট্রাইবুনালে যেতে হবে এবং শুনানি শেষে ট্রাইবুনাল কর্তৃক নির্ধারিত শুল্ক-কর/জরিমানা দিয়ে তা ছাড়িয়ে আনতে হবে। বেশি পরিমাণ হলে স্মাগলিং মামলা হবে।
খ) স্বর্ণবার বা স্বর্ণপিন্ডঃ শুল্ক-কর পরিশোধ সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ২৩৪ গ্রাম আনা যাবে। প্রতি ১১.৬৬৪ গ্রামে (এক ভরি) ৩০০০/- টাকা শুল্ক-কর পরিশোধ করতে হবে।
ব্যাখ্যাঃ অবশ্যই ঘোষণা করতে হবে। গোপন করলে কিংবা বার/পিন্ডের মোট পরিমাণ ২৩৪ গ্রামের উপরে হলে উপরে বর্ণিত ডিএম নিয়ম প্রযোজ্য হবে। তবে এই ক্ষেত্রে সাধারণত ২৩৪ গ্রাম পর্যন্ত ডিএম নিয়মের সুযোগ দেয়া হয়। এর অতিরিক্ত হলে স্মাগলিং এর দায়ে মামলা হতে পারে।
স্বর্ণালংকার এবং স্বর্ণবারের হিসেব সম্পূর্ণ আলাদা। যেমন…আপনি ইচ্ছে করলে ১০০ গ্রাম শুল্কমুক্ত অলংকার এবং ২৩৪ গ্রাম শুল্কযুক্ত বার/পিন্ডসহ মোট ৩৩৪ গ্রাম স্বর্ণ আনতে পারেন।

হয়রানির শিকার হলে আইজিপির কাছে যেভাবে অভিযোগ করবেন

অনেকেই নানা হয়রানির শিকার হয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বরাবরে অভিযোগ করতে চান। কিন্তু কীভাবে করবেন সেটা তারা জানেননা। সঠিকভাবে অভিযোগ করতে না পারার কারণে প্রতিকারও পাননা তারা। অথচ এ ক্ষেত্রে পুলিশ সদর দফতরে একটি আলাদা সেল রয়েছে। হাতে হাতে কিংবা ডাকযোগেও দেওয়া যায় এ অভিযোগ কিংবা আবেদনপত্র।
পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের সেবা প্রদানকারী একটি প্রতিষ্ঠান। দেশের সব নাগরিকের সমান আইনগত অধিকার পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। দেশের বিভিন্ন থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাতে পারেন যে কেউ। থানা-পুলিশ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আইনগত সহায়তা দিতে বাধ্য। সেক্ষেত্রে কেউ হয়রানির শিকার হলে সংশ্লিষ্ট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) কিংবা সহকারী পুলিশ সুপার সার্কেলের কাছে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করতে পারবেন।
এসি কিংবা এএসপি (সার্কেল) যদি কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করেন, তাহলে তিনি উপকমিশনার (ডিসি) কিংবা পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে আবেদন করবেন। এ কর্মকর্তাও যদি কোনও কারণে ব্যবস্থা না নেন তাহলে ডিআইজি বরাবর আবেদন করতে পারেন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি। এক্ষেত্রেও ব্যর্থ হলে প্রতিকার চেয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবর আবেদন কিংবা অভিযোগ করতে পারেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি। এ বিষয়ে কাজ করতে পুলিশ সদর দফতরে একটি সেল রয়েছে।
ওই সেলের কাজই হচ্ছে, সাধারণ মানুষের অভিযোগ নিয়ে কাজ করা। একজন সাবইন্সপেক্টর (উপপরিদর্শক) ওই সেলের দায়িত্বে রয়েছেন। অভিযোগ পেয়ে তিনি সেটি আইজিপির দফতরে পেশ করবেন। অভিযোগের ধরন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ডিসিপ্লিন কিংবা ক্রাইম বিভাগে পাঠানোর নির্দেশ দেন আইজিপি।
লিখিত অভিযোগ পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে আইজিপির নির্দেশে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে অভিযোগকারীকে জানানো হয়। এক্ষেত্রে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হওয়া ব্যক্তির বক্তব্য শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে অভিযোগকারীকে জানাবেন।
অভিযোগ পাঠানোর ঠিকানা: বরাবর, মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি), বাংলাদেশ পুলিশ, ৬, ফিনিক্স রোড, ফুলবাড়িয়া, ঢাকা।

বাংলাদেশের যেসব তারকারা আত্নহত্যা করেছেন !

“আত্নহত্যা” শব্দটি আমাদের মধ্যে এক ধরনের অস্হিরতা ও এক রকমের হাহাকার সৃষ্টি করে। আত্নহত্যা যেন হত্যাকান্ডের চেয়েও ভয়াবহ একটা ব্যাপার। পৃথিবীর বেশিরভাগ ধর্মে আত্নহত্যা ক্ষমাহীন অপরাধ। তারপরেও প্রাচীন কিছু ধর্মমতে নিরিবিলি পরিবেশে দেহত্যাগের কথা উল্লেখ আছে।

১. ডলি আনোয়ার

মনে আছে বাংলাদেশের এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ডলি আনোয়ারের কথা? তার পিতা একজন চিকিৎসক, মাতা বিখ্যাত নারী নেত্রী ডঃ নীলিমা ইব্রাহিম। চিত্রগ্রাহক আনোয়ার হোসেন এর সাথে ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’ চলচ্চিত্র তৈরির সময় ডলি ইব্রাহিমের পরিচয় হয় এবং পরবর্তীতে তারা বিয়ে করেন। পরিবার, সম্পদ, যশ, খ্যাতির কমতি ছিলনা, তবুও ১৯৯১ সালের জুলাই মাসে ডলি আনোয়ার বিষপান করে আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যার পর নানা রকম গুজব শোনা যায়। বলা হয়, ডলি আনোয়ারের স্বামী আনোয়ার হোসেন তাকে তালাকনামা প্রেরণ করেন যা সহ্য করতে না পেরে ডলি আনোয়ার বিষপান করেন। এই গুজবের কোন সত্যতা প্রমাণিত হয় নি, ফলে আরও অনেকের মতই ডলি আনোয়ারের এই মৃত্যু রহস্যই থেকে যায়।

২. সালমান শাহ

জনপ্রিয় এই নায়ক নব্বইয়ের দশকের বাংলাদেশে সাড়া জাগানো অনেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তিনি ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অকালে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যুবরণ করেন। অভিযোগ উঠে যে, তাকে হত্যা করা হয়; কিন্তু তার সিলিং ফ্যানে ফাঁসিতে হত্যাকাণ্ডের কোনো আইনী সুরাহা শেষ পর্যন্ত হয়নি। তুমুল জনপ্রিয়তায় থাকা একজন অভিনেতা কেনো এভাবে হুট করে আত্মহত্যা করলেন সে প্রশ্নের এখনো কোনো সঠিক উত্তর পাওয়া যায়নি।

৩. মিতা নূর

মিষ্টি মেয়ে মিতা নূরের কথা নিশ্চই মনে আছে সবার। এক সকালে খবর পাওয়া গেলো এই অভিনেত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে নিজ ফ্ল্যাটেই আত্মহত্যা করেন। পারিবারিক কলহের কারণেই তিনি আত্মহত্যা করেন বলে খবর রটে সে সময়। তবে অনেকেই ধারণা করেন, ক্যারিয়ারের প্রতি হতাশ হয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।
৪. সুমাইয়া আজগর রাহা
প্রেমিক চলচ্চিত্র নায়ক অনন্ত জলিল, বয়ফ্রেন্ড শাকিব ও নিজ পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েনের কারণে লাক্স তারকা সুমাইয়া আজগর রাহা আত্মহত্যা করেছেন বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল মিডিয়াপাড়ায়। ২০১০ সালে মুক্তি পাওয়া নায়ক অনন্তর ‘খোঁজ দ্য সার্চ’ ছবিতে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন রাহা। তখন থেকেই অনন্তর সঙ্গে রাহার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই ছবিরই নায়িকা বর্ষাকে ২০১১ সালে বিয়ে করেন অনন্ত। এতে রাহার সঙ্গে সম্পর্কের কিছুটা ভাটা পড়ে। পাশাপাশি মিডিয়ারই এক ছেলের সঙ্গেও রাহা প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। স্বামীর প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি বর্ষা জানার পর তাদের দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়। রাহার ঘনিষ্ঠজনরা বলেছেন, রাহার পরিবার ধর্মভীরু। তার বাবা-মা ধর্মীয় অনুশাসন কঠোরভাবে মেনে চলেছেন। কিন্তু রাহা ছিলেন ঠিক এর উল্টো। তার উগ্র চলাফেরা ও কর্মকাণ্ডে কখনোই সায় দেননি তারা। বরং এ বিষয়ে মেয়েকে অনেকবারই সাবধান হতে বলেন। মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কের তিক্ততা ছিল চূড়ান্ত। কিন্তু কোনো কিছুই রাহাকে দমাতে পারেনি। নিজ ফ্ল্যাটে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন রাহা। কিন্তু এখনো এই আত্মহত্যার কেনো কারণ পাওয়া যায়নি।

৫. নায়লা

মূলত অভিনেত্রীই হতে চেয়েছিলেন নায়লা। সেই লক্ষ্য নিয়েই মিডিয়ায় তার পথচলা শুরু হয়েছিল। কিন্তু নায়লা তখনো জানেনি এই রঙিন দুনিয়ায় প্রতিষ্ঠিত হওয়া খুব একটা সহজ না। শিল্প আর শিল্পীর মূল্যায়ন খুব কমই হয় এখানে। তারপরেও চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন নবাগতা নায়লা। লোকনাট্য দল বনানীর একজন সদস্য ছিলেন তিনি। মঞ্চে কাজ করে নিজের অভিনয়ের দক্ষতাও বাড়াতে থাকেন। ‘ললিতা’, ‘পা রেখেছি যৌবনে’, ‘অ-এর গল্প’ ও ‘মুম্বাসা’সহ বেশ কিছু টিভি ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ করেই হতাশায় পেয়ে বসে তাকে। সম্প্রতি তার মা মারা যাবার পর তিনি আরো বেশি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন এবং তিনি তার ফেসবুকে হতাশামূলক স্ট্যাটাস দিতেন বলে জানান তার সহকর্মীরা। কি কারণে তার এই হতাশা, সে প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই এ বছরের ২০ মার্চ তিনি না ফেরার দেশে চলে যান। শ্যামলীর বাসা থেকে নায়লার সিলিং ফেনে ঝুলানো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শনিবারে তাকে দাফন করা হয় মিরপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে।

৬. মঈনুল হক অলি

বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত শিল্পী, থিয়েটার-কর্মী, মডেল ও অভিনেতা মঈনুল হক অলি তার বাসায় আত্মহত্যা করেছিলেন। ২০০৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর পারিবারিকভাবে অলি বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে তার দাম্পত্য জীবন ভালো যাচ্ছিলো না বলে অলির ঘনিষ্ঠজনরা জানান। আর নিজের ক্যারিয়ার নিয়েও হতাশ ভুগছিলেন এ অভিনেতা। এসব কারণেই অলি আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে করেন অনেকেই।

৭. পিয়াস রেজা

পিয়াস রেজার রাজধানীর ভাষানটেকে ঈদের দিন ফ্যানের সঙ্গে প্রেমিকার ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। তার পুরো নাম নাঈম ইবনে রেজা ওরফে পিয়াস (২১)। জানা গেছে, গত রোজার ঈদের দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিজ ঘরে আত্মহত্যা করেন পিয়াস। ‘একমুঠো সুখ’ ‘অবশেষে’ ‘সাদাকালো মন’- এর মতো বেশকিছু জনপ্রিয় গান রয়েছে তরুণ এই কণ্ঠশিল্পীর। আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজে পড়ার সময় সহপাঠীর সঙ্গে পিয়াসের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ভালোই চলছিল। হঠাৎ করে কয়েক দিন আগে ওই মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি ঘটে। ওই মেয়ের একটি ওড়না পিয়াসের কাছে ছিল। সেই ওড়না দিয়েই পিয়াস আত্মহত্যা করেছেন।

বিমানবন্দরের ভোগান্তি : সাবিনা ইয়াসমিনও বললেন, ‘অভ্যাস হয়ে গেছে’

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। রোববার (২৮ আগস্ট) বিকেল সোয়া ৫টা। কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকায় উড়ে এসেছে বেসরকারি রিজেন্ট এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট আর এক্স ৭৯২।
বেল্টে লাগেজের জন্যে অপেক্ষা করছেন দেশবরেণ্য কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন। তার চারপাশে তখন রিজেন্টের সবগুলো আসন পূর্ণ করে আসা প্রায় দুইশ’ যাত্রী।
প্রায় চার দশক ধরে বাংলা গানের উচ্চাঙ্গ, ধ্রুপদী, লোকসঙ্গীত, আধুনিক বাংলা গানসহ চলচ্চিত্রের গান— সবক’টি ধারায় আলো ছড়ানো শিল্পীর দৃষ্টি তখন বেল্টে। কখন আসবে লাগেজ?
পাশেই দেশবরেণ্য শিল্পী। অন্য সময় হলে হুড়োহুড়ি পড়ে যেতো। কেউ সেলফি, কেউ বা অটোগ্রাফের আবদার নিয়ে ছুটে যেতেন শিল্পীর কাছে।
কিন্তু এখানে সবাই বিরক্ত। স্বল্প বা দীর্ঘ যাত্রা করেও সময়মতো লাগেজ না পাওয়ায় সবাই হতাশ।
দীর্ঘ লাইনে ইমিগ্রেশন শেষ করে বেল্টের কাছে এসেই হতাশ যাত্রীরা। ‘নিশ্চল বেল্ট। সচল হবে কখন? আর ভালো লাগে না। এ ভোগান্তির কি অবসান নেই!’- এসব আক্ষেপ আর হতাশায় ডুবে থাকা বেল্ট এরিয়ায় এসব প্রশ্নের জবাব দেওয়ারও নেই কেউ।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এমন অব্যবস্থাপনায় দিন দিন বাড়ছে যাত্রী ভোগান্তি। যাত্রীসেবার মানও হচ্ছে নিন্মগামী।
পড়শি দেশ ভারতের একটি রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা। সেখানকার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন শেষ হওয়া মাত্র যাত্রীদের লাগেজ বেল্টে পৌঁছে যায়। আর ঢাকায় কোনো কোনো ফ্লাইটের যাত্রীদের শুধু লাগেজ পেতেই সময় লাগে দুই থেকে তিন ঘণ্টা। দীর্ঘ সময়ে বিদেশিরা যেমন বিরক্ত হন, তেমনি অসুস্থও হয়ে পড়েন অনেকে। বিশেষ করে বৃদ্ধ যাত্রীরা।
গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অব্যবস্থাপনার কারণে এসব ভোগান্তি এখন যাত্রীদের গলার কাঁটা। এর বাইরে লাগেজ লাপাত্তা। লাগেজ থেকে মূল্যবান সামগ্রী চুরি। একযোগে সব পাল্লা দিয়ে চলায় সেবার মান নিয়ে আর প্রশ্নই খুঁজে পান না যাত্রীরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রিজেন্টের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘পরম আতিথেয়তা আর আন্তরিকতায় যাত্রী বহন করে বিমানবন্দরে আসার পর এ ধরনের সার্ভিস সত্যিই দুঃখজনক। অনেকে না বুঝে আমাদের মতো বিমান সংস্থাকেও দায়ী করেন’।
‘তারা এটা বুঝতে বা মানতে চান না যে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এয়ারপোর্ট সার্ভিস বলে একটি বিভাগও রয়েছে। যদিও বিমানবন্দরের বেল্টের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব সিভিলিএভিয়েশন অথরিটির’।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বর্তমানে প্রতিদিন সব মিলিয়ে শতাধিক উড়োজাহাজ ওঠা-নামা করে। তবে যাত্রী বাড়লেও বাড়েনি সেবার মান। অবকাঠামো ব্যবস্থাপনা আর গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সার্ভিস নিয়ে যাত্রীদের দুর্ভোগ যেন পিছু ছাড়ছেই না।
নিয়মিত যাত্রী হিসেবে খ্যাতনামা শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন বললেন, ‘এসব দুর্ভোগ মোকাবেলা করতে করতে রীতিমতো তা নিয়মিত অভ্যেস হয়ে গেছে’।

স্ত্রীর কারনে হার্ট অ্যাটাক বেশি হয় পুরুষদের

আজকের দুনিয়ায় স্ট্রেস একটি দৈনন্দিন সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর তাই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সমস্যাও ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। বাড়ছে মৃত্যুর ঝুঁকিও। আর এই স্ট্রেসকে দূরে সরিয়ে রাখতে বিজ্ঞানীরা
এবার নতুন এক উপায় বের করেছেন। তবে, তা বেশিভাবে প্রজোয্য পুরুষদের ক্ষেত্রেই। তাঁদের এই নতুন পন্থা ইতিমধ্যেই নাকি সফলভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে পুরুষদের উপর।

বৈজ্ঞানিকদের মতে শত ব্যস্ততার মাঝেও সময় বের করে স্ত্রীর সঙ্গে সময় কাটালে, কথা বললে নাকি ভালো থাকা যায়। প্রচণ্ডরকম ক্লান্তিতে বা বিষাদগ্রস্ততায় স্ত্রীর সঙ্গে মনের সব কথা শেয়ার করলে হৃৎপিণ্ডটি সুস্থ থাকবে।

ছেলের অভাবে বিয়ে করতে পারছে না সিরিয়ার নারীরা ! কিন্তু …

বিয়ের জন্য পাত্র খুঁজে পাচ্ছেন না সিরিয়ার নারীরা। চাকরি খোঁজার মতো উপযুক্ত পাত্র খুঁজে বেড়াচ্ছেন তারা। তবে যা পাওয়া যাচ্ছে তার সিংহভাগই হলো অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক। দেশটিতে এখন প্রায় ৭০ শতাংশ নারী বিবাহযোগ্য। তবে সে তুলনায় ছেলের সংখ্যা হাতে-গোনা।
৩২ বছর বয়সেও অবিবাহিত শুকরান। তার অধিকাংশ পুরুষ বন্ধু ও সহকর্মীরা যুদ্ধে মারা গেছেন। কেউবা নির্বাসিত হয়েছেন, কেউবা কারাগারে। আবার কেউ পালিয়ে গেছেন পাশের দেশে। তিনি বলেন, এখন প্রতিদিনই সিরিয়া থেকে পুরুষ হারিয়ে যাচ্ছে। এতে করে অবিবাহিত নারী ও বিধবার সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। একজন ছেলে বন্ধু খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে গেছে। কারণ সিরিয়ার নারীরা অন্য জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সম্পর্ক করাকে ভালোভাবে দেখে না।
শুকরানের সর্বশেষ সম্পর্ক হয়েছিল গত বছর। কিন্তু ওই যুবক খৃষ্টান সম্প্রদায়ের হওয়ায় তাদের সম্পর্ক ভেঙ্গে যায়। দামেস্কের নারী গুফরান। বয়স ৩৫ বছর। এখনও বিবাহ হয়নি। পাত্র খুঁজে পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, বেশির ভাগই টিনেজার ছেলে। তারা এখনও ‘স্কুলগামী’।
তিনি বলেন, বেশির ভাগ পুরুষ যুদ্ধে মারা যাচ্ছে। অনেকেই সরকারের আগ্রাসনের শিকার হচ্ছে। কেউ জীবন বাঁচাতে পালাচ্ছে। এর ফলে সিরিয়ার জনসংখ্যায় একটি স্থায়ী কমতি শুরু হয়েছে। একজন নারী মূলত চায় বিয়ে করে সুখী সংসার গড়তে। কিন্তু নারীদের এই চাওয়া- পাওয়ার কোনো দাম থাকছে না।
সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরুর পর থেকে একের পর এক মানুষের প্রাণহানিতে পুরুষের শূন্যতা শুরু হয়েছে বেশ আগে থেকে। দামেস্কসহ পাশ্ববর্তী অঞ্চলগুলোতে এই হার কয়েকগুণ বেড়েছে।
সরকার অনেককে জেলে পুরে রেখেছে। অনেকে পালিয়ে জীবন রক্ষা করেছে পাশ্ববর্তী দেশে। আবার অনেক পুরুষের আয় না থাকায় বিবাহের জন্য সক্ষমতা অর্জন করতে পারছে না। বয়সীরা তরুণীদের জন্য যোগ্য স্বামী পেতে প্রার্থনা করেও উপায় মিলছে না।

প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে অসাধারন এক দেশ

পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের প্রায় ৬০০ দ্বীপ নিয়ে গঠিত মাইক্রোনেশিয়া। চারটি বৃহৎ দ্বীপকে কেন্দ্র করে দেশটি প্রধানত চারটি রাজ্যে বিভক্ত। এগুলো হলো কোছরেই, পনপেই, চুক ও ইয়াপ। মহাসগারের বিশাল অংশজুড়ে এর অবস্থান, যা ফ্রান্সের আয়তনের প্রায় পাঁচ গুণ। প্রকৃতপক্ষে সব দ্বীপকে একত্র করলে এর আয়তন দাঁড়ায় মাত্র ২৭১ বর্গমাইল। আকার আয়তনের দিক দিয়ে এটি একটি অদ্ভুত দেশই বটে। এর পাশে ক্যারোলিন দ্বীপপুঞ্জ আরো একটু দূরে অবস্থিত ফিলিপাইন। দক্ষিণে নিউগিনি। আরো দক্ষিণে চলে গেলে অস্ট্রেলিয়া সোলোমন দ্বীপপুঞ্জ। পূর্বে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ। পশ্চিমে পালাউ ও ফিলিপাইন। প্রশান্ত মহাসাগরের সীমাহীন জলরাশি ছুঁয়ে আছে মটরদানার মতো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা দ্বীপগুলোকে। মূলত ক্যারোলিন দ্বীপ থেকেই প্রায় চার হাজার বছর আগে আগত মানুষ মাইক্রোনেশিয়ায় প্রথম জনবসতি গড়ে তোলে।

স্বাধীন দেশ হিসেবে জাতিসঙ্ঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে স্বীকৃত হলেও কার্যত একটি পরনির্ভরশীল দেশ। ‘কমপ্যাক্ট অব ফ্রি অ্যাসোসিয়েশন’ নামক চুক্তির মাধ্যমে আমেরিকার অধীন রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বপরিসরে তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতি যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ন্যাস্ত। মার্কিনিরা চাইলে সেখানে সামরিক ঘাঁটি তৈরি করতে পারবে। তৃতীয় কোনো দেশ নাক গলাতে পারবে না ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা দ্বীপমালায়। উড়োজাহাজ থেকে প্রশান্ত মহাসাগরের সীমাহীন নীল পানিতে এগুলোকে ছোট ছোট মটরদানার মতোই দেখায়। মনে হয় বিস্তৃত একটি অঞ্চলে কেউ যেন ভাসিয়ে দিয়েছে এগুলোকে। দিগন্তবিস্তৃত মহাসাগরে কিছু গাছপালা নিয়ে চরগুলোকে রহস্যময় মনে হয়। শত শত মাইলের স্বচ্ছ নীল পানিতে সবুজাভ এসব ক্ষুদ্র দ্বীপ। ইউরোপীয়দের লোলুপ দৃষ্টি এড়িয়ে যায়নি অতি ক্ষুদ্র এ দ্বীপগুলোকে। ইউরোপের বিভিন্ন জাতি যখন সম্পদ আর ব্যবসার বিস্তৃতি বাড়ানোর নেশায় বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে, সেই সময়ে জার্মান, ব্রিটিশ আর স্প্যানিশদের মধ্যে এ দ্বীপগুলোর দখল নিয়েও প্রতিযোগিতা হয়েছে।

প্রায় চার হাজার বছর আগে মাইক্রোনেশিয়া জনবসতি ওঠার প্রমাণ পাওয়া গেছে। জনবসতি গড়ে ওঠার প্রথম দিকেই গোত্রব্যবস্থার উন্মেষ ও বিকাশ ঘটে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দীপে ভিন্ন ভিন্ন গোত্রের জনবসতির বিকাশ ঘটে। ইউরাপীয় উপনিবেশ স্থাপনকারীরা লোভাতুর দৃষ্টি নিয়ে পৌঁছায় ষোড়শ শতকে। প্রথমে আসে পর্তুগিজরা তাদের অনুসরণ করে আসে স্প্যানিশরা। সম্পদের লোভ তাদের গভীর মহাসমুদ্রে টেনে নিয়ে আসে। একপর্যায় স্পেন দখল করে নেয় দ্বীপগুলো। ১৮৯৯ সালে স্প্যানিশদের তাড়িয়ে দেশটির কর্তৃত্ব নেয় জার্মানরা। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় এটি দখল করে জাপান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরাজয়ের মধ্য দিয়ে জাপানও বিদায় নেয়। জাতিসঙ্ঘের ট্রাস্ট টেরিটরির আওতায় আসে এটি। তখন প্রধান চারটি অঞ্চল পৃথক ছিল। ১৯৭৯ সালে এ চার অঞ্চল নিয়ে একটি সাংবিধানিক কাঠামোর আওতায় ফেডারেটেড স্টেট অব মাইক্রোনেশিয়া রাষ্ট্র গঠিত হয়। ১৯৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে প্রথম কমপ্যাক্ট অব ফ্রি অ্যাসোসিয়েশন চুক্তি স্বাক্ষর করে। ২০০৪ সালে এ চুক্তি নবায়ন করা হয়।

একনজরে মাইক্রোনেশিয়া
নাম
ফেডারেটেড স্টেটস অব মাইক্রোনেশিয়া
রাজধানী
পালিকির
আয়তন
৭০০ বর্গকিলোমিটার
জনসংখ্যা
১ লাখ ১১ হাজার
প্রধান ভাষা
ইংরেজি, পনপিয়ান, ইয়াপস, ট্রুকস ও কসরিয়ান
ধর্ম
খ্রিষ্টান
গড় আয়ু
৬৮ বছর (পুরুষ) ৬৯ বছর (মহিলা)
মুদ্রা
ডলার
প্রধান রফতানিদ্রব্য
মাছ, পোশাক, কলা
মাথাপিছু আয়
২ হাজার ৩০০ ডলার

ক্ষুদ্র রাষ্ট্রটির এক কক্ষবিশিষ্ট আইন সভা। এর সদস্যসংখ্যা ১৪। এর মধ্যে চারজন চার রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করবেন। তাদের কার্যকাল চার বছর। বাকি ১০ জন ১০টি নির্বাচনী জেলা থেকে নির্বাচিত হবেন। এদের মেয়াদ দুই বছর। প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করে আইন সভা। তারা রাজ্যের প্রতিনিধিত্বকারী চার সিনেটরের মধ্যে থেকে হয়ে থাকেন। রাষ্ট্রের প্রধান দু’টি পদে নির্বাচন হওয়ার পর সংসদের ওই দু’টি খালি আসনের পুনর্নির্বাচন হয়। একটি মন্ত্রিসভা গঠন করা হয় তারা প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টকে সহায়তা করে। দেশটিতে কোনো আনুষ্ঠানিক রাজনৈতিক দল নেই। রাজ্যগুলো ব্যাপক স্বাধীনতা ভোগ করে। কার্যত কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো দায়িত্ব থাকে না।

দেশের অর্থনীতি বিদেশী সাহায্যনির্ভর। চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র বড় ধরনের সাহায্য দিয়ে থাকে। ১৯৮৬ থেকে ২০০১ সালে ১ লাখ জনসংখ্যার দেশটি ২০০ কোটি ডলার সাহায্য পায় আমেরিকা থেকে। ২০০৪ থেকে পরবর্তী ২০ বছরে আরো ২০০ কোটি ডলার সাহায্য দেয়ার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো, সরকারের সামর্থ্য বাড়ানো, ব্যক্তি খাতের উন্নয়ন ও প্রধান সরকারি কর্মকর্তাদের বেতনভাতা বাবদ বিশেষত এ অর্থ ব্যয় হয়। জাপান ও অস্ট্রেলিয়াও মাইক্রোনেশিয়ানদের অর্থসাহায্য করে থাকে। 
তাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বড় ভূমিকা রাখে কৃষিকাজ ও সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ। উচ্চ মানসম্পন্ন ফসফেট খনি রয়েছে এখানে। পর্যটন শিল্পেরও ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর অভাব আর অনেকটা বিচ্ছিন্ন অবস্থানের কারণে পর্যটকরা মাইক্রোনেশিয়া নিয়ে তেমন আগ্রহ দেখাননি।

বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বাস মাইক্রোনেশিয়ায়। বেশিরভাগই আশপাশের দ্বীপগুলোর বংশধর। এদের মধ্যে প্রায় ৪৯ শতাংশ চুক, পনপিয়ান ২৪ শতাংশ, কোছরেইয়ান ৬ শতাংশ, ইয়াপস ৫ শতাংশ বাকিদের বেশিরভাগই এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন সময়ে এসেছে। এদের বড় একটা অংশের পূর্বপুরুষরা জাপান থেকে এসেছে। জাপানি ঔপনিবেশিক আমলে এই অভিবাসন ঘটে। চীনা ও ফিলিপিনো বংশোদ্ভূতদেরও দেখা যায়। সাম্প্রতিক সময়ে আমেরিকা ও ইউরোপীয় মানুষের সংখ্যা বাড়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ইংরেজি কমন ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার মাধ্যমও ইংরেজি।
রাজধানী পালিকির ও চারটি রাজ্যের রাজধানী ছাড়া প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ নিজস্ব ভাষায় কথা বলে। ৩ শতাংশ হারে জনসংখ্যা বাড়ছে দেশটিতে। বাকি বিশ্ব থেকে আলাদা বিচ্ছিন্নভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা জনগোষ্ঠী শিক্ষা-সংস্কৃতি আর সভ্যতার ছোঁয়া থেকে দূরেই ছিল। অধীনতামূলক স্বাধীনতা চুক্তির আওতায় ব্যাপক সুযোগ-সুবিধা পেয়েছে। তারা শিক্ষা-দীক্ষায় ইতোমধ্যে বেশ এগিয়ে গেছে। ঘরে ঘরে এখন আমেরিকা প্রবাসী। সেখানে গিয়ে তারা উচ্চশিক্ষা নিচ্ছে। একটা অধীনতামূলক স্বাধীনতার সুযোগ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল জনস্রোতের সাথে মিশে গেছে।

ভৌগোলিক কারণে ফিলিপিনো সংস্কৃতি এদের জীবনে প্রাধান্য বিস্তার করে। প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে আশপাশের অঞ্চলের জনসংস্কৃতির প্রভাবও পড়েছে। অস্ট্রেলিয়া, মেলেনেশিয়া আর পলিনেশিয়ার জীবনযাত্রার ছাপ রয়েছে মাইক্রোনেশিয়ার জনগণের মাঝে। প্রতিটি রাজ্যের আলাদা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রয়েছে। প্রতিটি দ্বীপের জনসাধারণের মধ্যে সামাজিক বন্ধন সুদৃঢ়।

জনসংখ্যা আর ক্ষুদ্র স্থলভাগ হলেও দেশের ভৌগোলিক বিস্তৃতি মোটেও ছোট নয়। নিরাপত্তার জন্য তাদের তৎপর থাকতে হয়। একটি মেরিটাইম পুলিশ ইউনিট রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র দেশটির যাবতীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে। মজার বিষয় হচ্ছে, এ দেশের জনগণ চাইলে মার্কিন সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পারে। এ জন্য আলাদা করে তাদের আমেরিকার নাগরিকত্ব নেয়ার প্রয়োজন হয় না।

বর্তমান প্রেসিডেন্টের নাম ইমানুয়েল মানি মুরি। ২০০৭ সালে শপথ নেয়া মুরি দেশটির সপ্তম প্রেসিডেন্ট। সবচেয়ে বেশি জনঅধ্যুষিত রাজ্য চুকের বাসিন্দা তিনি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক্সিকিইটভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। মুরি জাপানি বংশদ্ভূত।

মাইক্রোনেশিয়ায় কোনো দৈনিক সংবাদপত্র নেই। কেন্দ্রীয় সরকার একটি পাক্ষিক পত্রিকা বের করে। এটি সরকারের যাবতীয় কর্মকাণ্ডের সাময়িক ফিরিস্তিতে ভরা থাকে। রাজ্য সরকারগুলো বের করে একটি করে নিউজলেটার। কেন্দ্রীয় সরকার ও ধর্মীয় সংগঠনগুলো মিলে বেশ কয়েকটি রেডিও স্টেশন চালায়। পনপেই ও চুকেতে ক্যাবল টেলিভিশন সহজলভ্য।

বৈঠকে ঘুমিয়ে পড়ায় মন্ত্রী ফায়ারিং স্কোয়াডে

বৈঠককালে ঘুমিয়ে পড়ার অপরাধে প্রাণই দিতে হলো উত্তর কোরিয়ার এক মন্ত্রীকে। তিনি দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী কিম ইয়ং জিন। পিয়ংইয়ংয়ের সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের নির্দেশে গত মাসে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার পুনরেকত্রীকরণ মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়েছে। খবর বিবিসি ও হাফিংটন পোস্টের।

দক্ষিণ কোরিয়ার পুনরেকত্রীকরণ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জিয়ং জুন-হি জানান, উপ-প্রধানমন্ত্রী কিম ইয়ং জিনের প্রাণদণ্ড গত মাসে কোনো একসময় কার্যকর করা হয়। তিনি দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্বে ছিলেন। গত মাসে দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের দায়ে তাকে ফায়ারিং স্কোয়াডে নিয়ে হত্যা করা হয়। উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের অধীনে একাধিক উপ-প্রধান শাসক আছেন। ইয়ং জিন ছিলেন তাদের মধ্যে একজন।

সিউলের কর্মকর্তারা জানান, কিম ইয়ং জিন ছাড়াও উত্তর কোরিয়া সরকারের আরও দুই শীর্ষ ব্যক্তি

নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা নিশ্চিত নয়। এরা তিনজনই উনের সঙ্গে বৈঠককালে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। তবে জিনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে বলে জানায় সিউল। যদিও পিয়ংইয়ংয়ের এসব তথ্য তারা ঠিক কীভাবে পেলেন, তা স্পষ্ট করেননি দক্ষিণ কোরীয় কর্মকর্তারা।

প্রসঙ্গত, মে মাসে উত্তর কোরিয়ার এক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যার খবর প্রচার হলেও পরে তিনি বেঁচে আছেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। এমনকি পরে তাকে দেশটির সরকারি অনুষ্ঠানেও যোগ দিতে দেখা যায়। সাম্প্র্রতিক সময়ে কার্যকর হওয়া কিম ইয়ং জিনের মৃত্যুদণ্ডের খবর যদি মিথ্যা হয়, তবে শিগগির হয়তো তাকে কোনো না কোনো গণঅনুষ্ঠানে দেখা যাবে।

রাষ্ট্রের কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রাণদণ্ড কার্যকর করলে সে খবর উত্তর কোরিয়া সাধারণত দেয় না। সর্বশেষ সঠিক যে খবর দেশটি দেয়, তা হলো_ ২০১৩ সালে বিরোধের জেরে নিজের ফুপা চ্যাং সং থিককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মেরেছিলেন কিম জং উন।

ছেলেকে পাওয়ার পরই প্রাণভিক্ষার বিষয়ে জানাবেন মীর কাসেম

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর সঙ্গে দেখা করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।

কাশিমপুর কারাগার পার্ট-২-এর কারাধ্যক্ষ নাশির আহমেদ সমকালকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মীর কাসেম আলী কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ বন্দি রয়েছেন।

কারাধ্যক্ষ নাশির আহমেদ জানান, বুধবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে মীর কাসেম আলীর পরিবারের ৯ সদস্য কারা ফটকে পৌঁছানোর পর কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে তারা ভেতর প্রবেশ করেন।

প্রায় দুই ঘণ্টা পর বিকাল পৌনে ৪টার দিকে কারাগার থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মীর কাসেম আলীর স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন।

তিনি জানান, ছেলে ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাসেমকে ফিরে পাওয়ার পর তার সঙ্গে কথা বলে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন তার স্বামী।

কারা ফটকে কাসেমপত্মী বলেন, তাদের  ছেলে ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাসেম নিখোঁজ রয়েছেন। তাকে কিছুদিন আগে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার স্বামী মীর কাসেম আলী তাকে বলেছেন- ছেলে ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত তিনি কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না। ছেলে ফিরে এলে তার সঙ্গে কথা বলেই প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি-না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত  নেবেন।

ছেলেকে কাছে পাওয়াই এখন তাদের একমাত্র লক্ষ্য বলে জানান মীর কাসেমের স্ত্রী। এরপর আর কোন কথা না বলে অ্যাম্বুলেন্সে চড়ে চলে যান যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর পরিবারের সদস্যরা

জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাওয়া অন্যরা হলেন- তার দুই মেয়ে তাহেরা তাসনীম ও সুমাইয়া রাবেয়া, দুই পুত্রবধূ শাহেদা তাহমিদা আক্তার ও তাহমিনা আক্তার, ভাতিজা মো. হাসান জামান ও তিন শিশু।

এর আগে মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ রিভিউ আবেদনের শুনানি শেষে মীর কাসেমের ফাঁসি বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন।

এর পর বিকেল সোয়া ৫টার দিকে ২৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। পরে এই যুদ্ধাপরাধীর দণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ হওয়ার রায় বুধবার সকালে তাকে পড়ে শোনানো হয়।

২০১০ সালের ২৯ জুন থেকে মীর কাসেম কাশিমপুর কারাগারে আছেন। মীর কাসেমের রিভিউ খারিজের পর কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগার ও আশপাশের এলাকায় সতর্কতা বাড়ানো হয়। কারাগারের নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়।

বিএনপির সামনে কঠিন দিন

বিএনপি এখন রাজনীতির ঘূর্ণিপাকে। ২০০৭ সালে ওয়ান-ইলেভেনের রাজনৈতিক বিপর্যয়ের পর দীর্ঘ নয় বছরেও নাজুক পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারছে না বৃহৎ এই দলটি। দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনের 'ভুল' সিদ্ধান্তে প্রধান বিরোধী দলের 'মর্যাদা' হারিয়েছে বিএনপি। মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি আদায়ের সম্ভাবনাও ক্ষীণ। নাশকতা-বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় রাজপথেও কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের অনুমতি দিচ্ছে না আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। চার দেয়ালের ভেতর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মিলনায়তনের মধ্যেই পালন করতে হচ্ছে 'বিক্ষোভ সমাবেশে'র মতো রাজপথের কর্মসূচি। আগামী এক

বছরের মধ্যে দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাগারে যাওয়ার আশঙ্কাও করছেন নেতাকর্মীরা। লন্ডনে অবস্থানরত সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ মামলার জালে কেন্দ্রীয় ও মাঠপর্যায়ের অধিকাংশ শীর্ষস্থানীয় নেতা। আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই খালেদা-তারেকসহ অনেক শীর্ষ নেতা সাজাপ্রাপ্ত হয়ে নির্বাচনে 'অযোগ্য' হওয়ারও শঙ্কা রয়েছে। সব মিলিয়ে বিএনপির সামনে কঠিন দিন। অবশ্য বিএনপির শীর্ষ নেতারা মনে করেন, আঁধার কেটে গিয়ে আলো ফুটবেই।

জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে দল পুনর্গঠন করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে তারা। পদবঞ্চিত ও অবমূল্যায়নের কারণে দলে ক্ষোভ-অসন্তোষ বিরাজ করছে। নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ার হুমকিও দিচ্ছেন অনেকে। সাড়ে চার মাস পর ঘোষিত নতুন কমিটি নিয়ে নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হননি, হতাশায় ডুবেছেন। মাঠপর্যায়েও কাউন্সিলের আগে সব জেলা কমিটি পুনর্গঠন করা হয়নি।

এই দুর্বল সাংগঠনিক অবস্থা নিয়েই নতুন করে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার 'বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের ডাক'ও হালে পানি পায়নি। জামায়াতের সঙ্গ ছাড়ার শর্ত দিয়েছে প্রগতিশীল কয়েকটি রাজনৈতিক দল। ভোটের হিসাব মাথায় থাকায় খালেদা জিয়া কোনো হিতোপদেশ শুনছেন না। সর্বশেষ রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ বন্ধে জনমত পক্ষে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ অবস্থার মধ্যেও আগামী বছরের প্রথম দিকে সরকার সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে পারে বলে ক্ষীণ আশা রয়েছে দলটির মধ্যে।

সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির সামনে কঠিন সময়। শীর্ষ নেতাদের বিচারাধীন মামলা-মোকদ্দমাসহ ক্ষমতাসীন দলের নানামুখী চাপের মুখে দলটিকে তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করা কঠিন চ্যালেঞ্জ। বিগত নয় বছরেও দলটি ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। আগামী নির্বাচনের আগে কীভাবে সুসংগঠিত হবে, তা দেখার বিষয়।

এহেন পরিস্থিতিতে বিএনপির ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ বুধবার। এ উপলক্ষে একদিনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে দলটি। দলের জন্মদিন উপলক্ষে এক বাণীতে দলের নেতাকর্মী-সমর্থক ও দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমকালকে বলেন, বিএনপি ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল সম্পন্ন করেছে। এখন অবশিষ্ট জেলা কমিটিগুলো পুনর্গঠনের কাজ চলছে। বিএনপির সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা। বর্তমান সরকারের দমননীতির কারণে উদার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির স্বাভাবিক রাজনৈতিক কার্যক্রম সংকুচিত হয়ে পড়েছে। বিএনপির মূল শক্তি তৃণমূলের সমর্থকরা। সারাদেশে কোটি কোটি সমর্থককে সংগঠিত করার মাধ্যমে দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করে আন্দোলন সফল করতে হবে। এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এটিই অঙ্গীকার।

বিশ্লেষকদের চোখে :বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ সমকালকে বলেন, দেরিতে হলেও বিএনপির নতুন কমিটি হয়েছে। কর্মসূচি বাস্তবায়নের কাঠামো হয়েছে। তৃণমূলও পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ খুবই সুসংগঠিত। তাদের কার্যক্রম মোকাবেলা করে বিএনপির টিকে থাকা এবং এগিয়ে যাওয়াই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। তার ধারণা, সরকার আগামী বছরের প্রথম দিকে সাধারণ নির্বাচন দিতে পারে। নির্বাচনে ভালো ফল করতে হলে বিএনপিকে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত সাংগঠনিকভাবে সুসংগঠিত করা দরকার।

সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার সমকালকে বলেন, বর্তমান সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করছে। ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপিও একই চেষ্টা করেছে। এ আত্মঘাতী রাজনীতি থেকে সবাইকে সরে আসতে হবে। তেমনি বিএনপিকেও গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক একটি শক্তিশালী দল হিসেবে বিকশিত হওয়া জরুরি। বিএনপি যদি অর্থবহ গণতান্ত্রিক রাজনীতি না করে এবং বিলুপ্তির পথে যায়, তাহলে তাদের কর্মীরা সাম্প্রদায়িক ও উগ্রবাদী দলে যোগ দিতে পারে। এটি কারও জন্য কাম্য নয়।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সম্প্রতি একটি খোলা চিঠি দিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী। বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত না হলেও নানা সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসনকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকেন তিনি। জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী সমকালকে বলেছেন, দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে বিএনপিকে বাঁচাতে হবে, টিকেও থাকতে হবে। জনতাকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় নামতে হবে এবং ভারতের বাংলাদেশবিরোধী কার্যক্রম উন্মোচন করতে হবে। বিএনপিতে গণতন্ত্র স্থাপন করতে হবে। এককেন্দ্রিকতা পরিহার করতে হবে। অবশ্য চিঠিতে খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে বলেছেন, আপনার হাতে সময় আছে বড়জোর ৯ মাস। সম্ভবত এ সময়ের মধ্যে আপনার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় রাজনৈতিক আলোকে বিচারের রায় বের হবে।

ষষ্ঠ কাউন্সিলেও ঘুরে দাঁড়ানোর আকাঙ্ক্ষা, বাধাও কম নয় :২০০৯ সালে পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলে বিপর্যস্ত দলকে 'নবরূপে' ঘুরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে সফল হয়নি বিএনপি। আট বছর পর নাজুক সাংগঠনিক পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে গত ১৯ জানুয়ারি দলের ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল করেও একই ঘোষণা দিয়েছিল দলটি। এমনকি কাউন্সিলে আগামীতে সরকার গঠন করতে পারলে কীভাবে দেশ পরিচালনা করবেন_ তারও একটি কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেন চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

অবশ্য কাউন্সিলে দলের নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা না করে দীর্ঘ কালবিলম্ব করায় নেতাকর্মীরা চাঙ্গা হওয়ার বদলে হতাশ হয়ে পড়েন। ত্যাগী ও যোগ্য নেতাদের মূল্যায়নের কথা ঘোষণা দিলেও সাড়ে চার মাস পর ঘোষিত কমিটিতে অনেককে সঠিক মূল্যায়ন করা হয়নি_ অভিযোগ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকে। এ পরিস্থিতিতে অনেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ার কথা বলছেন অনুসারীদের। বিশেষ করে দলের সহসভাপতি আবদুল্লাহ আল নোমানকে স্থায়ী কমিটির সদস্য না করায় চট্টগ্রামে তার অনুসারীরা গণপদত্যাগ করারও হুমকি দিয়ে রেখেছেন।

এদিকে কেন্দ্র থেকে মাঠপর্যায়ে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-কোন্দলে লিপ্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা। দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের সদস্যদের মধ্যে আস্থার সংকট চলছে। গুলশান কার্যালয় ও নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়কে ঘিরেও তৈরি হয়েছে একটি 'শক্তিশালী সিন্ডিকেট'। কার্যালয়ের কতিপয় কর্মকর্তার ওপর ক্ষুব্ধ দলের কেন্দ্রীয় ও মাঠপর্যায়ের অধিকাংশ নেতা। ওই সিন্ডিকেটটি এত প্রভাবশালী যে, দলের পদ ও মনোনয়নবাণিজ্যে জড়িত 'বিতর্কিত' নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ পদপদবি দিতেও তারা খালেদা জিয়াকে প্রভাবিত করেছেন। দলের বৃহত্তর স্বার্থের কথা বাদ দিয়ে নিজ নিজ 'এজেন্ডা' বাস্তবায়নে ব্যস্ত ওই সিন্ডিকেটটি। এমনকি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকেও মহাসচিবের পুরো সাংগঠনিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে দিচ্ছেন না তারা। সিনিয়র নেতাদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব না দেওয়ায় তারাও অনেকটা নিষ্ক্রিয় রয়েছেন।

বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মনে করেন, দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সময়ের মতো এবং ১৯৯১-এর মতো দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। অন্যথায় বিএনপি শক্তিশালী একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। একইসঙ্গে তারা বলেন, দলের ভেতর গণতন্ত্র চর্চা, সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামকে কার্যকর এবং জাতীয় নির্বাহী কমিটির নিয়মিত বৈঠকের মাধ্যমে দলকে গতিশীল করতে হবে।

মাঠ নেতারা আরও বলেন, দলের ভেতর অবিশ্বাস-সন্দেহ ও সংশয় দূর করে সিনিয়র নেতাদের আস্থায় আনতে হবে বিএনপি নেত্রীকে। অন্যথায় শুধু কিছু সাবেক আমলা ও অরাজনৈতিক ব্যক্তির পরামর্শে দল পরিচালনা করলে নির্বাচনে অংশ না নেওয়া এবং ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে সাক্ষাৎ না করার মতো ভুল পরামর্শে দল আরও পিছিয়ে যাবে।

নাম প্রকাশ না করে বিএনপির কয়েকজন নেতা সমকালকে জানান, সত্যিকারের যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন না করে ব্যক্তিগতভাবে তেলবাজ ও চাটুকাররাই কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে জুনিয়রদের গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়ার পর তাদের অধীনে সক্রিয় রাজনীতি করা কঠিন।

বিএনপির সম্পাদক (বিশেষ দায়িত্বে) ড. আসাদুজ্জামান রিপন সমকালকে বলেন, বিএনপি মূল রাজনীতি ধরে এগোতে চেষ্টা করলে দলটির পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো খুবই সম্ভব। এমনকি ঘুরে দাঁড়ানোর সব বাস্তব পরিস্থিতি বিদ্যমান।

ইস্যু খুঁজছে বিএনপি :রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা হয়ে জনস্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যুতে মাঠে সরব হওয়ার চেষ্টা করছে বিএনপি। এখন সামনে যে ইস্যু পাচ্ছে, সেটাকেই কাজে লাগিয়ে জনসমর্থন আদায় ও রাজপথে নামার ক্ষেত্র তৈরির চেষ্টা করছে দলটি। অনেক দিন পর জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ঢাকায় জঙ্গিবিরোধী একটি জাতীয় কনভেনশন করারও উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তবে তা বেশিদূর এগোয়নি। জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করার আগে বিএনপির সঙ্গে কোনো ঐক্য হতে পারে না বলে জানিয়ে দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ অন্য দলগুলো। এ পরিস্থিতিতে এখন জাতীয় পর্যায়ে গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক দলকে নিয়ে ঐক্য গড়া এবং জামায়াতের ভোট ব্যাংকের হিসাব-নিকাশ কষছেন খালেদা জিয়া। জাতীয় ঐক্যের উদ্যোগ আর বেশিদূর এগোবে না বলে আভাস পাওয়া গেছে।

কর্মসূচি :প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে আজ বিকেলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা করবে বিএনপি। রাজধানীতে র‌্যালি করার অনুমতি চাইলেও তা পায়নি। এ ছাড়া আজ ভোরে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ১০টায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হবে। সারাদেশে সকল ইউনিট বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করবে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ ক্রোড়পত্র, পোস্টার ও লিফলেট প্রকাশ করা হয়েছে।

দুই বোন একই সঙ্গে বোয়িং চালিয়ে নজির গড়লেন বিশ্বে

দুই বোন একই সঙ্গে চালালেন একটি বোয়িং-৭৭৭ বিমান। এই প্রথম। দু’জনেই পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সে (পিআইএ) বিমান চালিয়েছেন বহু দিন। আলাদা আলাদা ভাবে। দুই বোন একই সঙ্গে একই বিমানের পাইলট হলেন এই প্রথম। বিশ্বে নজিরও গড়ে ফেললেন।
পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র ড্যানিয়েল গিলানি জানিয়েছেন, দুই বোনের নাম মরিয়ম মাসুদ ও ইরম মাসুদ। পিআইএ-র দক্ষ পাইলট হিসেবে তাঁরা বোয়িং-৭৭৭-এর মতো বড় বিমান চালাচ্ছেন বহু দিন ধরেই। দু’জনেই বিমানের ফার্স্ট অফিসার। তবে দু’জনে এই প্রথম একই সঙ্গে চালালেন বোয়িং-৭৭৭ বিমান। বিশ্বের কোনও দেশে দুই বোন একই সঙ্গে বিমান চালিয়েছেন, এমন নজির রয়েছে বলে আমাদের অন্তত জানা নেই।

বেকার নায়কদের ভিলেনগিরি

‘মানুষ মরে গেলে পচে যায় আর বেঁচে থাকলে বদলায়। কারণে অকারণে বদলায়, বারবার বদলায়’। কথাটি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় তার বিখ্যাত উপন্যাস ‘পদ্মা নদীর মাঝি’-তে বলে গেছেন। গতিশীল এ জীবনে নানা কারণে মানুষকে বদলে যেতে হয়। সেই সঙ্গে নানা কারণে বদলে যায় তার পেশাগত দিক। শোবিজ অঙ্গনের মানুষের বদলে যাওয়ার দিকটা চোখে পড়ে আরও বেশি। কয়েক বছর আগেও এফডিসিতে পরিচালক যাদের পিছনে পিছনে ঘুর ঘুর করেছেন তাদের অনেককেই এখন পরিচালকের কাছে ধর্না দিতে হয়, কাজের জন্য। বেঁচে থাকার জন্য। অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য। চরিত্রের গভীরতা থাকুক আর না থাকুক, কাজ করতেই হবে! এক সময়ের দাপট দেখানো অনেক নায়ক-নায়িকাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি লক্ষ্য করা যায়। হাতে কাজ না থাকায় আকাশ থেকে মাটিতে পড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা কারও কারও। কেউ কেউ তো একেবারেই অন্তরালে চলে গেছেন। ঢাকাই ছবির এমন অনেক নায়কই রয়েছেন যাদের একসময় সিনেমাঙ্গনে দাপুটে বিচরণ ছিল। তার ছবি মানেই সুপার ডুপার হিট। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় সেই হিট নায়কই হয়ে গেছেন বেকার নায়ক। তাই বাধ্য হয়ে সিনেমাঙ্গনে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে কেউ বেছে নিয়েছেন টিভি পর্দা। কেউ ছেড়ে দিয়েছেন অভিনয়, কেউ বা আবার চলচ্চিত্রের খলনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চালিয়ে গেছেন বা যাচ্ছেন। সিনেমার নায়ক থেকে ভিলেনের কাতারে দাঁড়ানোর তালিকায় সত্তর ও আশির দশকের নায়ক থেকে নব্বই দশকের আলো ছড়ানো নায়কেরাও রয়েছেন। তবে সত্তর-আশির দশকের নায়কদের চেয়ে নব্বই দশকের নায়কদের ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করার উদাহরণই বেশি। কারণ এ সময়ের পর থেকে ঢাকাই ছবির বাজার পড়তে শুরু করে। ফলে অনেক নায়কের হাত থেকে ফসকে যেতে থাকে ছবির কাজ। বেকার হয়ে পড়তে থাকেন নায়কেরা। বেকারত্ব গুছাতে অনেকে আবার খুলে বসেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কেউ আবার টিভি পর্দায় মুখ দেখানো শুরু করেন। এ তালিকায় বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন ওমরসানী, আলেক জান্ডার বো, অমিত হাসান, মেহেদি, শাকিল খান, রিয়াজ ও আমিন খান। এদের মধ্যে রিয়াজ ও আমিন খান নতুন প্রজন্মের দর্শকদের কাছে ছোট পর্দার অভিনেতা হিসেবেই বেশি পরিচিত। বর্তমানে মাঝে মাঝে উৎসবকেন্দ্রিক নাটকগুলোতে তারা। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ওমর সানী। স্ত্রী মৌসুমী এখনও চলচ্চিত্রে আলো ছড়াতে থাকলেও ওমরসানী এক প্রকার বেকার হয়েই বসে আছেন। কয়েক বছর আগে অত্যধিক মুটিয়ে যাওয়ার কারণে সিনেমার কোনো চরিত্রেই আর ফিরতে পারছিলেন না তিনি। তাই নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সিনেমার ভিলেন হয়ে ফের পর্দায় আসেন ওমারসানী। কিন্তু ভিলেন হয়েও শংকিত ছিলেন। পরে স্বাস্থ্য কমিয়ে অনেকটা নায়কোচিত চেহারা ফিরিয়ে আনলেও নায়ক হিসেবে ডাক পাননি সিনেমায়। ফলে এক প্রকার বেকার হয়ে ঢাল-তলোয়ারহীন নিধিরাম সরদারের মতোই এফডিসি পাড়ায় বিচরণ করতে হচ্ছে তাকে। তবে ইদানীং কয়েকটি বিজ্ঞাপনে অংশ নিলে এ ক্ষেত্রেও তেমন আলোচিত হতে পারছেন না সাবেক এ নায়ক। তাই বর্তমানে ঢাকাই ছবির বেকার নায়কদের তালিকায়তেই থাকতে হচ্ছে ওমরসানীকে। এক সময় নায়ক হিসেবে বেশ পরিচিতি মুখ ছিল অমিত হাসান। মূলত বিরহ ধারার ছবি করে দর্শকদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু নায়ক হিসেবে শেষ পর্যন্ত নিজেকে টিকিয়ে রাখতে পারেননি। তাই বাধ্য হয়ে খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় করতে হচ্ছে তাকে। নায়কের মতো খলনায়কের ভূমিকাতেও আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি। কারাতে মাস্টার রুবেল এখনও নায়কের চরিত্রে অভিনয় করে যাচ্ছেন। তবে মাঝে মাঝে ভিলেনের চরিত্রে দেখা যায় তাকে। তবে ভিলেন হলেও তার মধ্যেও একটি ইতিবাচক চরিত্র পাওয়া যায়। মাঝে অশ্লীল সময়ের নায়ক খেতাব পাওয়া আলেক জান্ডার বো। দীর্ঘদিন সিনেমা থেকে আড়ালে থাকার পর হঠাৎ করেই খলনায়ক হিসেবে আবির্ভূত হন। এক্ষেত্রেও তেমন আলোচনায় আসতে পারেননি তিনি। এখনও আড়ালেই রয়েছেন এ নায়ক। একসময়ের আইটেম গানের নায়ক মেহেদী। তিনিও বর্তমানে ভিলেন চরিত্রে ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠা করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। তার চেষ্টা খুব একটা সফল হয়ে ধরা দেয়নি। মোট কথা নিজেদের নামের সঙ্গে অভিনেতা শব্দটি বাঁচিয়ে রাখতেই চলচ্চিত্রের নায়ক না হলেও খল চরিত্রে অভিনয় করতে আগ্রহ সাবেক এ নায়কদের মধ্যে। কিন্তু নায়ক থেকে খল চরিত্রে অভিনয় করা এ নায়কদের খুব একটা ভালোভাবে নিচ্ছেন না দর্শকরা।

ইয়েমেনে সৌদি জোটের বিমান হামলায় ১৬ বেসামরিক নিহত

ইয়েমেন সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলায় অন্তত ১৬ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত বার্তা সংস্থা। বুধবার দেশটির সাদা শহরে এই হামলা চালানো হয়।
 
বার্তা সংস্তা সাবা জানায়, আল সাহান শহরে হাউতি শিবিরে করা ওই হামলায় তিন পরিবারের সদস্য মারা যান। নিহতদের মাঝে শিশুও ছিল।
 
বিদ্রোহী সংগঠন হাউতির বিরুদ্ধেই মূলত বিমান হামলা চালায় সৌদি জোট। এদিকে ইয়েমেনের কর্তৃপক্ষ জানায়, সোমবার আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা ৭২ হয়েছে। ইতোমধ্যে এই হামলার দায়ভার স্বীকার করেছে জঙ্গি সংগঠন আইএস। বস্টন হেরাল্ড
 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates